ডিম দিয়ে নুডুলস রান্নার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আমরা ছোট-বড় কমবেশি সবাই নুডুলস পছন্দ করি। নুডুলস খেতে অনেক ভালো লাগে। আজকে আমি অনেক সুন্দর করে নুডুলস রান্না করে দেখাবো। আশা করব আমার নুডুলস রান্না আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন নুডুলস রান্না করি।
প্রয়োজনীয় উপাদান
প্রয়োজনীয় উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
ঝাল | ৯ পিস |
পেঁয়াজ | ৪ পিস |
নুডুলস | ৩ প্যাকেট |
পাকা টমেটো | ৪ পিস |
ডিম | দুইটা |
ধনিয়া পাতা | কিছু পরিমাণ |
পানি | পরিমাণ মতো |
সস | তিনটা |
লবণ | পরিমাণ মতো |
![]() | ![]() | ![]() | ![]() |
---|
প্রস্তুত প্রণালীর ধাপ:
প্রথম ধাপ:
কড়াইটা প্রস্তুত করে নিয়ে আসলাম। এরপর চুলার উপরে কড়াই বসিয়ে, তার মধ্যে কিছু পানি দিলাম। পানি গরম হতে থাকলো। গরম পানির মধ্যে তিন প্যাকেট থেকে নুডুলস বের করে দিয়ে দিলাম। নুডুলস সিদ্ধ হতে থাকল গরম পানিতে।
দ্বিতীয় ধাপ:
ভালোভাবে সিদ্ধ করে নেয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেয়া হলো। এরপর কিছুটা সময় ধরে অপেক্ষা করলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর নুডুলস সিদ্ধ হয়ে গেল।
তৃতীয় ধাপ:
এবার চুলা থেকে কড়াইটা নামিয়ে নিলাম। কড়াইয়ের মধ্যে সিদ্ধ নুডুলস একটি প্লাস্টিকের ঝুড়ির মধ্যে নামিয়ে নিলাম। গরম পানি গুলো বের হয়ে গেল। এদিকে সিদ্ধান্ত নুডুলস নামানো থাকলো ঝুড়ির মধ্যে।
চতুর্থ ধাপ:
এবার কড়াইটা পরিষ্কার করে নিয়ে চুলার উপর বসিয়ে দিলাম। তার মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। কিছুটা সময় ধরে তেল গরম হলো।
পঞ্চম ধাপ:
এবার গরম সয়াবিন তেলের মধ্যে ঝাল পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে দিলাম। এছাড়াও লবন দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ:
এখন কড়াই এর মধ্যে দুইটা ডিম ভেঙে দিলাম। এভাবে একপ্রকার ডিম ভাজা হতে থাকলো। আমি খুনতি দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকলাম।
সপ্তম ধাপ:
এরপর সিদ্ধ করার নুডুলস গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপর খুন্তি দিয়ে কড়াই এর মধ্যে সবকিছু একসাথে মিশাতে থাকলাম।
অষ্টম ধাপ:
এবার কড়াই এর মধ্যে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিলাম। ধনিয়া পাতা ও খুন্তি দিয়ে সবকিছুর মধ্যে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে দিলাম। আর এভাবেই সিদ্ধ হতে থাকলো আমার সুস্বাদু নুডুলস রান্না রেসিপি।
নবম ধাপ:
এক পর্যায়ে পাকা টমেটো সাথে আরো কিছু লবণ দিলাম কড়াইয়ের মধ্যে। ঠিক একই রকম ভাবে খুন্তি দিয়ে টাকা টমেটো মিক্সচার করতে থাকলাম।
শেষ ধাপ:
শেষ পর্যায়ে সকল উপাদান গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হলো এবং যথেষ্ট কালার পরিবর্তন হলো। একই সাথে খুব সুন্দর বাসনা বের হতে থাকলো নুডুলস এর মধ্য থেকে। এরপর হালকা একটু বারো মিশালি মসলার গুড়া দিয়ে দিলাম আর একটু সুস্বাদু হওয়ার। থেকে এভাবে একটি পর্যায়ে আমানুডুলস রান্না শেষ হলো।
🧆পরিবেশন🧆
নুডুলস রান্না শেষ হলে একটি প্লেটের মধ্যে উঠিয়ে নেওয়া হয়। এরপর প্লেটটি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয় প্রিয়জনের মাঝে। আর এভাবে আবার নুডুলস এর রেসিপি তৈরি করা সম্পন্ন হয়। বেশ আনন্দ সহকারে নুডুলস খেয়ে মনের তৃপ্তি মিটাই।
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ব্লগার | @helal-uddin |
ডিভাইস | Huawei mobile |
ঠিকানা | মেহেরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভেরিফাইড ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
Twitter-promotion
আমার আজকের টাস্ক
ভাইয়া আপনি কিন্তু রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ দারুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিভিন্ন সবজি দিয়ে নুডুলস রান্না করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে নুডুলস রান্না রেসিপিটা ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম মজাদার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন
আমার নাস্তার মধ্যে সবথেকে প্রিয় নাস্তাটি হলো নুডুলস। নুডুলস যে আমার কতটা প্রিয় বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু আজকে আপনার থেকে নুডুলস রান্না করা নতুনভাবে শিখে গেলাম। তিনটি নুডুলস দুটি ডিম,টমেটো আবার ধনিয়া পাতা দিয়ে একেবারে লোভনীয় ভাবে নুডুলস তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটা ধাপ যেহেতু খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। তাই ভাবতেছি আপনার আজকের নুডুলস তৈরির রন্ধন প্রণালী গুলি অনুসরণ করে বাসায় তৈরি করবো। আপনার পোস্টটি আমার জন্য উপকারী ছিলো কেননা নতুন করে নুডুলস রান্না করা শিখে গেলাম।
অনেক ভালো লাগলো তো যদি আমার থেকে জানতে পারেন।
আপনি মজাদার নুডুলস রান্না শেয়ার করেছেন ভাই। নুডুলস আমারও অনেক ভালো লাগে। প্রায় মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়িতে নুডুলস রান্না করে থাকে। অনেক ভালো লাগলো চমৎকার এই নুডুলসের রেসিপি দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
নুডলস হলো একটি জাতীয় খাবার যা সকলেরই খুব পছন্দের ছোট বড় সবার।আমার বাসাও প্রায় সময় নুডুলস রান্না করে খাওয়া হয়।ভাই আপনি অনেক সুন্দর করে ডিম দিয়ে নুডুলস রান্না করেছেন দেখেই লোভ লেগে গেলো!লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু
ভাইয়া আপনি আমার অনেক পছন্দের একটা রেসিপি শেয়ার করছেন।নুডলস আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে বিকেলে বা সন্ধ্যায় নাস্তা করা হয়।আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে নুডলস টি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
অনেক খুশি হলাম মন্তব্য দেখে
ডিম দিয়ে নুডুলস রান্নার খুবই সুন্দর একটা পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নুডুলসের রেসিপি সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর এসেছে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন ভাইয়া
নুডুলসের প্রধান উপকরণ হলো ডিম।ডিম ছারা নুডুলস্ অসম্পূর্ণ। ডিম দিয়ে নুডুলস্ রান্না করলে খেতে অসাধারণ সুন্দর লাগে।আপনার নুডুলস্ রেসিপিটি ভীষন সুস্বাদু হয়েছে। রন্ধন প্রনালী দুর্দান্ত ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় নুডুলস রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপু