জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ধারণ করা দ্বিতীয় ভিডিওগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমণে ধারণ করা দ্বিতীয় ভিডিওটি আপনাদের মাঝে প্রকাশ করলাম। এই ভিডিওটায় একদম স্মৃতিসৌধের সম্মুখীন এরিয়াটা ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি। মনে করি, ভিডিওটা প্লে করলে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমরা সকলেই জানি আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত ঢাকা সাভার নবীনগরে। বিশাল এক এরিয়াকে কেন্দ্র করে এর সৌন্দর্য তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এই জায়গাটা জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখানে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সহ অনেক মানুষের কবর রয়েছে। ভিডিও প্লে করলে আপনারা ভিডিও রেকর্ডের সম্মুখে স্মৃতিসৌধের মাঝ বরাবর যে সমস্ত জায়গাগুলো দেখছেন ফুল গাছ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে নির্দিষ্ট করা রয়েছে। সে সমস্ত জায়গাগুলোতে সাইনবোর্ডে লিখে রাখা হয়েছে বিষয়বস্তু। কিছু কিছু জায়গায় রয়েছে সেখানে কবর থাকায় সাইনবোর্ডে লিখে দিয়েছে উপস্থিত হওয়া নিষিদ্ধ। তবে দর্শনার্থীদের জন্য স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো রয়েছে। এখানে যে কোন জায়গায় বসে থেকে স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
দেশের যে প্রান্তে আপনারা থাকেন না কেন যদি ঢাকা শহরে উপস্থিত হয়ে থাকেন অবশ্যই চেষ্টা করবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখার জন্য। আমি মনে করি ঢাকা শহরে রমনা পার্ক, ধানমন্ডি ৩২ লেক, সাফারি পার্ক সহ বিভিন্ন জায়গাগুলো যেমন অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেয়। তার চেয়ে বেশি প্রশান্তি দিতে পারে এই জায়গাটা। এই জায়গাটা যেমন মনোরম পরিবেশ দ্বারা সমৃদ্ধ তেমনি সমৃদ্ধ অতিথি ইতিহাস দ্বারা। ২৬ শে মার্চ এবং 16 ই ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে এখানে অনেক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। স্মরণ করা হয় একাত্তরের শহীদদের। ১৯৭১ সাল আমাদের মনে করিয়ে দিয়ে শত শত মা-বোনের চিৎকারের কথা। শত শত ভাইদের তাজা রক্ত বিলিয়ে দেওয়ার কথা। ১৪ই ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল পাক হানাদার কর্তৃক। কত মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা। তাই আমাদের এই স্থানে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই অতীতের ইতিহাস গুলো জানতে হবে স্মরণ করতে হবে। তখনই আপনার মধ্যে এক গৌরব অনুভব হবে। সুন্দর এর স্মৃতিসৌধের প্রতি আত্মসম্মান বেড়ে যাবে।
কোটি কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের এরিয়াটা সুন্দরভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে গেটে প্রবেশ করতে আপনার এক টাকাও খরচ করতে হয় না। আরো সুবিধা রয়েছে এখানে বিভিন্ন জায়গায় পানি পান করার সুব্যবস্থা। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ রয়েছে। পাবলিক টয়লেট রয়েছে। পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মত সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা রয়েছে চারপাশে। এখানে পুলিশ দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে অনেক। কখনো যদি আপনি মনে করেন আমি সারাদিনের জন্য সেখানে উপস্থিত থাকবো। তাহলে আপনাকে সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে। যতটা জানি সকাল ৯ টার পরে গেট খুলে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের জন্য। বিকেল চারটার পরে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশ্যই এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে এবং গেটের সিকিউরিটি গার্ড দের কাছে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করবেন। আমি মনে করি এখানে আসলে আপনি যত টাকা ব্যয় করে আসেন না কেন, আপনার টাকা বৃথা যাবে না। মনোরম এই পরিবেশটা আপনার মনে অন্যরকম প্রশান্তি বয়ে আনবে। তখনই মনে হবে বারবার ছুটে আসি এই জায়গায়। আর সুন্দর স্থান গুলো আপনি ভিডিও ধারণ করতে পারবেন মনের মতন। পরামর্শ থাকবে প্রচন্ড রোদের দিন না আসার। অতিরিক্ত বৃষ্টির মুহূর্তে না আসার। তবে মেঘাচ্ছন্ন নরমাল আবহাওয়ার দিনে আসলে ভালো লাগাটা একটু বেশি থাকবে।
Video link
ভিডিওগ্রাফি | জাতীয় স্মৃতিসৌধ |
---|---|
লোকেশন | w3w |
YouTube channel | Link |
ভিডিওগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভেরিফাইড ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
Twitter-promotion
দারুন ক্যাপচার করেছেন স্মৃতিসৌধের ভিডিওগ্রাফিটি। স্মৃতিসৌধে না গিয়েও আপনার ভিডিওর মাধ্যমে স্মৃতিসৌধ ও তার প্রকৃতি দেখে জাস্ট আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি খুব সুন্দর করে স্মৃতিসৌধের ও তার পাশে প্রকৃতির ভিডিওগ্রাফি ধারণা করেছেন। মনে হচ্ছিল সত্যি যেন আমি স্মৃতিশোধ সামনাসামনি দেখতে পাচ্ছি। ভিডিওগ্রাফিটি সুন্দর মিউজিক দিয়ে এডিট করাতে আরো ভালো লাগছে।
একদিন ঘুরে যাবেন
আমার আজকের টাস্ক
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর ভিডিও ধারণ করে দেখানোর জন্য। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ আমিও করেছি। আমার কাছেও বেশ অনেক ফটো ভিডিওগ্রাফি রয়েছে কিন্তু প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি এখনও। জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্মরণ করিয়ে দেয় একাত্তরের কথা। তাই আমাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে এবং স্বাধীনতা কে মূল্যায়ন করতে হবে। ভালো লাগলো স্মৃতিসৌধের ভিডিওটা দেখে।
একদম ঠিক বলেছেন
অনেক সুন্দর একটি ভিডিও করেছেন ভাইয়া। জাতীয় স্মৃতিসৌধে আমার যাওয়া হয়নি। আমার অনেক ভালো লাগে সুন্দর স্থানের ভিডিও গুলো দেখতে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই ভিডিওটা দেখে। একদম স্পষ্ট স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম।
ক্যামেরা ভালো ছিল তাই
আপনি আজকে স্মৃতিসৌধ থেকে দারুন একটি ভিডিওগ্ৰাফি ক্যাপচার করেছেন। আপনার ভিডিওটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি এর আগে ও একটা ভিডিও শেয়ার করেছেন সেটাও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আপনার পরবর্তী ভিডিওর অপেক্ষায় রইলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি ভিডিও আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব শীঘ্রই শেয়ার করব
আসলে এখন পর্যন্ত কোন দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ধারণ করা একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন। আপনার মাধ্যমে জাতীয় স্মৃতিসৌধের খুবই সুন্দর একটি দৃশ্য দেখতে পারলাম। তবে, আমার ইচ্ছা আছে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধে কোন এক দিন ঘুরতে যাওয়ার।
আশা করি এভাবে বসে থাকবেন
জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ধারণ করা আজকে তোমার ভিডিওগ্রাফি পোস্টটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ভিডিওগ্রাফিতে স্মৃতিসৌধের আশপাশের পরিবেশটা দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। ভীষণ ভালো লাগলো ভিডিওগ্রাফিটি দেখে।
ধন্যবাদ