অদ্ভুত অসুস্থতা
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে নিজেদেরকে অনেক ভালো মনে হয়। এই জেনারেশনকে অনেক বেশি ভালো মনে হয়। কিন্তু এরপরে আসলে জেনারেশন টাকে মনে হয় অনেক বেশি খারাপ। এইসব ভাবতে ভাবতে আবার আমার এটা মাথায় আসে যে, প্রতিটি পর্যায়েই ভালো খারাপ দুটোই থাকে। অর্থাৎ আমি যখন কোনো জেনারেশন কে ধরে কথা বলবো। সেটা বোধহয় অনেকটা অন্যায় হয়ে যায়। তবে আমি আজকে যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে এসেছি। সেটা হলো, আমি আসলে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এখন যেটা লক্ষ্য করেছি। সেটা হচ্ছে, এক ধরনের অসুস্থতা। যেই অসুস্থতা আমাদের প্রায় প্রতিটি বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে।
আমার টাইটেল এবং উপরে লেখাগুলো দেখে হয়তো অনেকেই ভাবছেন যে, আমি কোনো শারীরিক অসুস্থতার কথা বলবো। কিন্তু মোটেও তা নয়। আমি একটি মানসিক অসুস্থতার কথা বলবো এবং সেই অসুস্থতা টি হলো দোষ স্বীকার না করার অসুস্থতা। আমার কাছে সত্যিই এটা একটা রোগের মতোই মনে হয়।
এটা আসলে একটি রোগের মতোন মনে হওয়ার কারণ হলো,আমরা অনেক সময় অনেক মানসিক রোগ দেখি। যেগুলো খুব গুরুতর অবস্থা না হলেও অনেক কিছুই অনেক সময় অদ্ভুত লাগে। ঠিক তেমনটাই হলো, আমরা কেনো যেনোবদোষ করতে দ্বিধাবোধ করি না। কিন্তু সেই দোষটি করার পরে কোনোভাবেই আর স্বীকার করতে চাই না। এমনকি আমরা যতোটা নিম্নে যাওয়া যায়, ততোটা নিম্নে আমরা পৌঁছাতে পারি শুধুমাত্র নিজের দোষটাকে লুকানোর জন্য এবং আমার কাছে মনে হয় এটা অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ।
অদ্ভুত এই অসুস্থতা থেকে যদি আমরা বের হয়ে না আসতে পারি। তাহলে আসলে আমাদের জীবনটাই বৃথা। কারণ দোষে গুনেই মানুষ। একটা মানুষের জীবনে অনেক গুণ থাকবে, অনেক দোষ থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় নিজেকে ভালো দাবি করা, নিজের দোষ গুলোকে স্বীকার না করা। এগুলো সত্যিই অনেক বেশি অসুস্থতার লক্ষণ এবং আমার মনে হয় আমাদেরকে এই অসুস্থতা শীঘ্রই কাটিয়ে উঠতে হবে।
দোষ শিকার না করা একটি মানসিক অসুস্থতা। এই অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া সত্যি অনেক কঠিন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। নিজেদের দোষ স্বীকার করতে চায়না অনেকেই।