[প্রসঙ্গঃনাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৪ এর পর্ব:৪ // ১০% ভালোবাসা @shy-fox]
সবাইকে-অভিনন্দন
আমি @hayat221 বাংলাদেশ🇧🇩🇧🇩 থেকে
ভালোবাসা নিবেন,
আজ- ১৭ই, চৈত্র / ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ / বসন্তকাল / শুক্রবার /
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। বরাবরের মত আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য কে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করতে চলেছি। আমি আজকে শেয়ার করতে চলেছি, নাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট" সিজন-৪ এর পর্ব:৪। চলুন তাহলে রিভিউ পড়ে নেয়া যাক।
বাংলাদেশ নাটক বিখ্যাত। সব নাটক অনেক ভালো লাগে। তার মধ্যে থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সেরা নাটক বেচেলার পয়েন্ট। আজ থেকে তিন বছর আগে শুরু হয়েছিল বেচেলার পয়েন্ট। বেচেলার পয়েন্ট এর পর। চলে আসল সিজন-১ এমনকি পর্ব হয়ে। এভাবে চলতে থাকলো। সবাই দেখতে লাগল অনেক আনন্দের সাথে। হঠাৎ করো না আসার পর মাঝখানে বন্ধ ছিল। আবারো চলে আসলো সিজন-২ এভাবে চলতে চলতে সিজন-৩ চলে আসলো এমনকি সেটাও শেষ হলো। কিছুদিন হচ্ছে সিজন-৪ আসার। আমার অনেক পছন্দের ও জনপ্রিয় নাটক। আশাকরি শুধু আমার না সবার। যাইহোক একটু আলোচনা কর নেই কে কে আছে অভিনয়।
আসুন জেনে নেই কে কে ছিল অভিনয়ে। সবার মধ্যে সেরা কয়েকজন। ১. জিয়াউল হক পলাশ (কাবিলা),
২. মোহাম্মদ রাসেল হক (পাশা),৩. মিশু সাব্বির (শুভ),৪. চাষী আলম (হাবু ভাই)। এরা হচ্ছে জনপ্রিয় সেরা অভিনেতা আমার কাছে, আরো অনেকেই আছে।
তার মধ্যে থেকে কাবিলার কথা না বললেই নয়। যেখানেই নাটক সেখানেই কাবিলা। কাবিলার কথা বলার ভাবভঙ্গি ও স্টাইল অন্যরকম। সে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্রাশ।
নাটকটির পরিচালকঃ কাজল আরেফিন অমি।
রিভিউ চতুর্থ পর্ব
আর এদিকে এয়ারপোর্টের ভিতরে শিমুল ও পাশা ভাই একটু দৌড়াদৌড়ি করে ধরা খেল পুলিশের হাতে। এর মাঝখানে কাদের মধ্যে আলাপ হয় পুলিশের সাথে আর পাশা ভাই পুলিশের কাছে বলে তারা অনেক ভালো। অবশেষে ফিরে আসে শুভ। শুভ পুলিশদেরকে বুঝিয়ে তারা সবাই চলে যায়।
অবশেষে তারা বাসায় পৌঁছানোর পর হাবুকে তারা সব খুলে কয়। হাবু তখনি চলে যায় পাশা ভাই এর কাছে। হাবু পাশা ভাই এর সামনে কান্নাকাটি করে অনেক কিছু বুঝায়। দাদু হাবু ভাইয়ের সুন্দর একটা চরিত্র। পাশা ভাই কে হাবু ভাই দাদু বলে ডাকে। যাইহোক তখনই হাবু ভাই তার দাদুকে অর্থাৎ পাশা ভাইকে বলে সেতো জেলখানায় আগে ছিলনা সে অনেক কষ্টে আছে তার দিকে একটু দেখেন দাদু। এসব বলে আর কান্নাকাটি করে। তখন পাশা ভাই বলে মাইয়ামাইনষের মত এত কান্নাকাটি শুরু করছস কেন, মনে করবি সে বাসায় আছে জেলখানায় নয়। আমি আমার ভাই ব্রাদার দের বলে দিতেছি সে ভালো থাকবে জেলের ভেতরে। মনে করবি আমার ভাই- ব্রাদার সাথে সে বাসায় আছে।
পরের দিন সকালবেলা হাবু ভাইকে নিয়ে চলে যায় কাবিলার কাছে দেখা করতে। কাবিলার সাথে দেখা হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় হাবু ভাই। কাবিলা হাবু কে কান্না করতে মানা করে দেয়। আর বলে তুমি এইখানে কেন তোমার তো থাকার কথা কাতারে। কাবিলা শুভ দেরকে বলে আমাকে দেখার জন্য কাবিলাকে ডেকে নিয়ে আসছো কেন। তখন শুভ বলে তার কাগজ পাতি ভেজাল থাকার কারণে সে কাতার ঢুকতে পারেনি। তখন এই হাবু ভাই কে কাবিলা বলে দেয় আমিতো জেলের ভেতরে কট খেয়ে বসে আছি। এটা শুনে আমার অনেক হাসি পেয়েছিল।
অবশেষে শিমুল কাবিলার মাকে বলেই দেয় কাবিলা জেলের ভেতরে আছে সেই কথা। কাবিলার মা বলে কবে থেকে জেলের ভেতরে কাবিলা। তখন শিমুল বলে দেয় সাত দিন থেকে। কাবিলার মা বলে সাত দিন থেকে কাবিলা জেলের ভেতরে আর তোরা আজকে আমাকে বলতেছিস। আমি ঢাকায় আসতেছি তোরা থাক এই বলে কাবিলার মা ফোন কেটে দেয়।
অবশেষে হাবু ভাইয়ের সাথে কথা বলে যে বাসায় থাকে সে বাসার মালিক রা। মালিকরা তাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসে। তাকে অনেক বুঝায় বিদেশে যাওয়ার মাথা থেকে ভুত নামানোর। তাকে দেশেই কোন কিছু ব্যবস্থা করতে বলেন। আর বিয়ে করতে বলেন। এসব এর প্রতি কিছু গুরুত্ব না দিয়ে সে আবার বলে অর্থাৎ হাবু ভাই সে আবার আমেরিকায় যাবে। তখনই বাসা ভাড়ার মালিকরা তাকে বলে তুমি যে আমেরিকায় যাবে তুমি কি ইংরেজিতে কথা বলতে পারো। হাবু ভাই শুনে আর নিচ পাশে তাকিয়ে থাকে। তখনই হাবু ভাই বলে আমি তো বিয়ে করতে চাই আপনারা তো বিয়ে দেন না।
তারপর অন্যদিকে কাবিলা ভাই। তার চরিত্র টাই যেন এক বিশেষত্ব এই নাটকের মুহূর্তে। সে জেলের ভেতরে পরিচিত হওয়ার পর অর্থাৎ পাশা ভাই তাকে পরিচয় করে দেওয়ার পর সে অনেক ভাবসাব নেয় জেলের ভেতরে। সে জেলের ভেতরে কান ধরিয়ে এক পায়ের উপর দাঁড় করিয়ে রাখছে।কাবিলার ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে সে যেন ওখানকার ওস্তাদ। পরের দিন সকালে হাবু ভাই ও শিমুল অনেক গল্প করে। শিমুল হাবু ভাইকে বলে তাকে আমেরিকায় অর্থাৎ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেবে শিমুল। সেজন্য ৫০০০ টাকা চায় তার কাছ থেকে। হাবু ভাই এখন অনেক চালাক হয়ে গেছে। তখন হাবু ভাই রাগ হয়ে বলেন তুই আমারে বিদেশ পাঠাইবা তোর চৌদ্দগুষ্টি কখনো বিদেশে গেছে। তাকে চর মারানোর হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
অবশেষে কাবিলার মা চলে আসে। এসেই শুভকে একটা চড় মেরে দেয়। ভিতরে সবাই একসাথে বসে কাবিলার মা কে বোঝায়। তারা সবাই বলে আন্টি কাবিলা আমাদের মানা করে দিয়েছিল যেন বিষয়টা আপনি না জানতে পারেন। আপনি জানতে পারলে আপনার অনেক খারাপ লাগবে এই জন্যই বলি নি। কাবিলার মা কাবিলার জন্য অনেক দুঃখ প্রকাশ করল। তাকে ছেড়ে আনার জন্য সবাই অনেক প্রতিশ্রুতি দিল। অবশেষে পার্ট-৪ শেষ হয়ে যায়।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার করা নাটক রিভিউ টি ধৈর্য সহকারে দেখার জন্য। আজকে এখানেই শেষ করলাম। সবাই ভাল থাকবেন।
@hayat221
ব্যচেলর পয়েন্ট নাটকটি দেখেনি এরকম মানুষ বোধহয় খুব কমই আছে। আপনি চমৎকার ভাবে ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর ও সাবলীল একটা কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
বাংলাদেশে বেচেলার পয়েন্ট কেউ দেখেনাই এমন মানুষ অনেক কমই আছে। ব্যাচেলর পয়েন্ট এর প্রতিটি সিজেন আমার দেখা। আবার কিছুদিন হলো শুরু হয়েছে ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ফোর। সত্যিই অসাধারণ কিছু গল্প নিয়ে শুরু হয়েছে এই সিজন। ভরপুর বিনোদন ভরা এই নাটক মন খারাপকেও ভালো করে দেয়। এই পর্বটি আমি দেখেছি। এই নাটকে আমার সবথেকে প্রিয় চরিত্র কাবিলা।
জি ভাইয়া খুঁজে খুবই কম পাওয়া যাবে অত্যন্ত যুবকদের থেকে। ঠিক বলেছেন প্রত্যেকটা পর্ব সুন্দর গল্প নিয়ে ঘেরা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
এই নাটকের কোন পর্ব নেই যে বাদ গেছে দেখা। আমার সবথেকে ভালালাগার একটি নাটক। বাস্তবিক ভাবে ব্যচলররা কি করে তা এখানে খুবি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বহু প্রতিক্ষার পর সিজন ৪ চালু হলো।এখন প্রতিক্ষায় আছি রোকেয়ার। ধন্যবাদ।
জি ভাই আছি বলেছেন বাস্তবতায় ব্যাচেলার রা যা যা করে সব কিছু পাওয়া যায় এই নাটকের মধ্যে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
আমার সবথেকে পছন্দের একটি নাটক ব্যাচেলর পয়েন্ট। ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের সবগুলো সিজন আমার দেখা। আমার পছন্দের একটি নাটক রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল একটা কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে জনপ্রিয় ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই নাটক যুবক সমাজের কাছে অনেক জনপ্রিয় আমি ওই নাটক দেখি। কাবিলা অভিনয় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কি বলব ভাইয়া যুবকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় নাটক। আমারও অনেক পছন্দ কাবিলার অভিনয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
ভাই ব্যাচেলর পয়েন্ট এই নাটকটি আমাদের বাসার সবাই প্রত্যেকটা পর্ব সুক্ষ সুক্ষ ভাবে দেখে থাকে। আমারও মাঝেমধ্যে দেখা হয় তবে সেভাবে প্রত্যেকটা পর্ব দেখা হয়না। আপনার আজকের এই চতুর্থ পর্বের সিজন 4 রিভিউ দেখে পুরো নাটকটা আমার দেখা হয়ে গেল কারণ এর আগের পর্বগুলো আমার দেখা হয়েছিল অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি রিভিউ এর মাধ্যমে নাটকটিকে পুরোপুরি বোঝার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। আসলেই আমরা অনেকেই জানি বিভিন্ন কাজের চাপ একটু বিনোদন নিতে সুযোগ পাই না। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
এই নাটকের প্রতিটি পর্ব আমার অনেক প্রিয়। আপনার রিভিউ করা পর্বটি আমি আগেই দেখেছি। এই নাটকের প্রতিটি অভিনেতা একদম পারফেক্ট অভিনয় করে। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক মজা পেলাম। চালিয়ে যান আপনার এই রকম রিভিউ।
জি ভাইয়া প্রতিটা পর্বে সবার সামনে তুলে ধরব। সবাই অনেক আনন্দের সাথে পড়ে দেখার মজা নিয়ে নেবে। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
আমার খুবই পছন্দের একটি সিরিজ এটি। অনেক অপেক্ষার পর সিজন ৪ পেলাম। এখনো এক পর্ব জমে আছে আমার। কমেন্ট করা শেষ হলে দেখতে বসবো। এই পর্বটিও খুব সুন্দর ছিলো। শুভেচ্ছা রইলো ভাই।