[প্রসঙ্গঃনাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৪ এর পর্ব:৫ // ১০% ভালোবাসা @shy-fox]
সবাইকে-অভিনন্দন
আমি @hayat221 বাংলাদেশ🇧🇩🇧🇩 থেকে
ভালোবাসা নিবেন,
আজ- ২২ই, চৈত্র / ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ / বসন্তকাল / বুধবার /
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। বরাবরের মত আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য কে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করতে চলেছি। আমি আজকে শেয়ার করতে চলেছি, নাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট" সিজন-৪ এর পর্ব:৫। চলুন তাহলে রিভিউ পড়ে নেয়া যাক।
বাংলাদেশ নাটক বিখ্যাত। সব নাটক অনেক ভালো লাগে। তার মধ্যে থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সেরা নাটক বেচেলার পয়েন্ট। আজ থেকে তিন বছর আগে শুরু হয়েছিল বেচেলার পয়েন্ট। বেচেলার পয়েন্ট এর পর। চলে আসল সিজন-১ এমনকি পর্ব হয়ে। এভাবে চলতে থাকলো। সবাই দেখতে লাগল অনেক আনন্দের সাথে। হঠাৎ করো না আসার পর মাঝখানে বন্ধ ছিল। আবারো চলে আসলো সিজন-২ এভাবে চলতে চলতে সিজন-৩ চলে আসলো এমনকি সেটাও শেষ হলো। কিছুদিন হচ্ছে সিজন-৪ আসার। আমার অনেক পছন্দের ও জনপ্রিয় নাটক। আশাকরি শুধু আমার না সবার। যাইহোক একটু আলোচনা কর নেই কে কে আছে অভিনয়।
আসুন জেনে নেই কে কে ছিল অভিনয়ে। সবার মধ্যে সেরা কয়েকজন। ১. জিয়াউল হক পলাশ (কাবিলা),
২. মোহাম্মদ রাসেল হক (পাশা),৩. মিশু সাব্বির (শুভ),৪. চাষী আলম (হাবু ভাই)। এরা হচ্ছে জনপ্রিয় সেরা অভিনেতা আমার কাছে, আরো অনেকেই আছে।
তার মধ্যে থেকে কাবিলার কথা না বললেই নয়। যেখানেই নাটক সেখানেই কাবিলা। কাবিলার কথা বলার ভাবভঙ্গি ও স্টাইল অন্যরকম। সে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্রাশ।
নাটকটির পরিচালকঃ কাজল আরেফিন অমি।
রিভিউ পঞ্চম পর্ব
তারপর এদিকে কাবিলা যার সাথে মাডার অর্থাৎ মারামারি করে জেলের ভেতরে গেছে তাকে দেখা গেল। তাকে দেখা গেল সে কার সাথে জানি কথা বলতেছে ফোনে। পিছন থেকে দৌড়ে এসে শিমুল তার পাছায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে ধরার চেষ্টা করলেও তাকে ধরতে পারে না।
তারপর নাটক শুরু হয়ে যায়, পুনরায় আবার জেল থেকে শুরু হয়। যে আসামি নামাজ পড়লে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলো সে আর কেউ নয়। সে হচ্ছে একজন দালাল। সে হাবু ভাইয়ের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তার কাছে অনেক টাকা নেয়। এপাশে হাবু ভাই সবগুলো টাকাপয়সা সবার কাছ থেকে নিয়ে একসাথে করে ওই ব্যক্তিকে দিয়ে দেয়। ভাগ্যের কি পরিহাস সে অবশেষে জেলখানায়। তার সাথে দেখা হয় কাবিলার জেলের ভেতরে। কাবিলা দুঃখ প্রকাশ করে, হাবু ভাই আপনাকে কত বিশ্বাস করে টাকাগুলো দিয়েছিল। আমরাও সবাই হাবু ভাইকে সাহায্য করেছিলাম। আমাদের সেমিস্টারের ফি বাবদ টাকাগুলো দিয়ে। আর আপনি এদিকে সবগুলো মেরে খেয়ে বসে আছেন। আপনার কি ভাগ্য আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তবুও আমি আপনাকে কিছু বলতে পারতেছি না, কারণ জেলের ভেতরে আছি বলে।
অবশেষে পরের দিন সকালবেলা কাবিলা যার সাথে মারামারি করেছিল তার বাবা চলে আসে শুভ দের কাছে। শুভ দের কাছে এসে বলে সে কাবিলার মামলাটা তুলে নিবে। এটা তুলে নেওয়ার কারণ হচ্ছে শিমুল তার ছেলেকে পাছায় আঘাত করেছিল ছুরি দিয়ে এটাতে ভয় পেয়েছে। সেই লোক শুভদের বলে কে জানি আমার ছেলের এই কাজটা করেছে। কেউ বলতেছে ছিনতাইকারী করছে আবার কেউ বলতেছে তোমরা করছো। তখন এই শুভ বলে ওঠে না না আঙ্কেল আমরা কেন এসব পড়তে যাব। আমরাতো কাবিলার যাবিন নামা নিয়ে ব্যস্ত। ওই ভদ্রলোক বলে জানিনা কে করছে তবে আমি মামলাটা তুলে নেব। আর বলতেছে আমার ছেলে অনেক অসুস্থ। সেই বাথরুম পর্যন্ত যাইতে পারতেছে না। তার কারণ হচ্ছে শিমুল তার পাছায় কোপ মেরেছে তাই। অবশেষে ওই ভদ্রলোক তাদের কাছে তার ছেলের জন্য দোয়া চায়।
তারপর শুভ শিমুলের হাত ধরে টেনে নিয়ে একটু সামনে নিয়ে যায় বলে এটা ষকে করছে আমি নিশ্চিত এটা তুই করেছিস। যখনই আমি শুনেছি পাছায় কোপ মেরেছে তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম। আর এদিকে পাশা ভাই শুভর কথা না শুনেই বলে দেয়, নিশ্চিত আমার ভাই ব্রাদাররা এই কাজটা করেছে। তখনই শিমুল বলে দেয় আপনার ভাই ব্রাদার কখনো খুর দেখেছে। এই আপনি ক্রেডিটটা নিয়ে নিলেন। শুভ তখন বলে পাশা ভাই আপনি থামেন তো, এটা শিমুল করেছে আমি নিশ্চিত। শুভ তখন বলে তুই এটা করতে গেলি কেন, শিমুল বলে ভাই ঐসব বাদ দেন তো কাজতো হয়েছে কাবিলা ভাইকে জেল থেকে বের করানোর উপায়। পরিশেষে পাশা ভাই বলে দেয় ঘটনাটা আমি ঘটাইতে চাইছিলাম, সেটা শিমুল করেছে ওই একই ব্যাপার। তখন শুভ পাশা কে বলে আপনার চাপা মারা বাদ দেন তো।
অবশেষে পরের দিন সকালে কাবিলাকে জেল থেকে বার করে নিয়ে আসে। এবার হবে আসল নাটক। জেলের পর্ব শেষ। জেল থেকে বেরিয়ে এসে শুভর সাথে কথোপকথন করে। শুভ বলে সবার বিপদে আপদে সবাই সবার পাশে থাকে যেমনটা পাশা ভাই ও ছিল। এটা বলে কাবিলাকে। তারপর কাবিলা নেহাল ও আরিফিন এর কথা শুনতে চায়। শুভ তখন বলে তাদেরকে আমি ফোন দিছিলাম কিন্তু তারা কোন সাড়া দেয়নি। তখন কাবিলা বলে আমি চিনছি রে বন্ধুবান্ধব কেমন। পরিশেষে শুভ বলে আমরা আর এইরকম ঝামেলাতে জড়াবো না। আমাদের উপরে কেউ যদি জাপটে পড়ে অর্থাৎ গায়ে পড়ে তাও আমরা কোন ঝামেলা করব না।
এদিকে হাবু ভাই কাবিলার মার সাথে অনেক কথপোকথন করতেছে। তারমধ্যে কাবিলার মা জিজ্ঞেস করে তাকে বিদেশের কথা। হাবু ভাই বলে আবার নতুন করে বিদেশ যাওয়ার কাগজপত্র ঠিক করতেছি। তবে এবার কাতার যাবোনা আমেরিকা যাব। আমেরিকা যাওয়ার আগে ভাবতেছি একটা বিয়ে করবো। এটা শুনে কাবিলার মা অনেক খুশি হয়। আর বলে আলহামদুলিল্লাহ ভালোতো সুখবর একটা। তো বিয়েটা করে ফেলো কোন পছন্দ থাকলে তোমার। তখন হাবু ভাই বলে আমার কোন পছন্দ নাই আপনারাই তো দেখে দিবেন।
পরে আবার হাবু ভাইয়ের সাথে কাবিলার দেখা হয় তাদের মধ্যে অনেক কথা হয়।হাবু ভাই বিদেশের ঘটনাগুলো ঘটে যাওয়ার, প্রেক্ষাপট গুলো কাবিলার সাথে শেয়ার করে। এমনকি এক পর্যায়ে হাবু ভাই কাবিলা কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে। তখন কাবিলা হাবু ভাইকে নানান রকমের কথা বলে সান্ত্বনা দেয়।
তারপরে কাবিলা দেখা করে বাসার মালিকের সাথে। তাদের সাথে একসাথে খেতে বসে। খেতে খেতে আন্টি আঙ্কেল তাকে অনেক প্রশ্ন করে। তুমি অনেক ভদ্র ঘরের ছেলে হয়ে এইরকম কাজ কেমনে করলা। তারপর কাবিলাকে আরো অনেক কিছু বললো তুমি অনেক ভদ্র ছেলে তুমি এসবই যাও কেন। জেলে যাওয়া মানে কি বোঝো তুমি। যাইহোক জেলের ভেতর থেকে আসছ আর এমন কাজ করো না যাতে আবার যেতে হয়। এইসব শুনতে শুনতে কাবিলা ভাই তার চাপা মারা কথাগুলো শুরু করে দেয়। সেখান থেকেই শেষ হয়ে যায় পর্ব: ৫।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার নাটক রিভিউটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। আজকে এখানেই শেষ করলাম। সবাই সুস্থ থাকবেন।
@hayat221
ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের সব কয়টা সিজন আমি এখন পর্যন্ত দেখেছি। খুব ভালো লাগে আমার নাটকটি। আমার কাছে সবার অভিনয় অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে হাবু এবং কাবিলার অভিনয় এক কথায় অসাধারণ। তবে সবচেয়ে ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দর করে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক টির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
সত্যি কথা বলতে বেচালার পয়েন্ট মানে আমাদের ভালোবাসা এবং আমাদের ইমোশনের একটি জায়গা, আমরা এই নাটকটা কে অনেক ভালোবাসি বলেই এতগুলো সিরিজ চলে এসেছে , এই নাটকের প্রত্যেকটি পর্ব আমাদের দেখা বা আমাদের অন্তরে গিয়ে লেগেছে আপনি খুব চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
মজাদার নাটক। খুবি ভাল লাগে। দেখা হয়ে গেছে পর্বটি। সিজন ৪ এর সবগুলো পর্ব শেষ করেছি। নতুনের অপেক্ষায় আছি। রিভিউ টি ভালই করেছেন। বর্ননা এবং উপস্থাপনা সুন্দর ছিল ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
আমার পছন্দের এক সিরিজ ব্যাচেলর পয়েন্ট। সেই সিজন ১ থেকে এই সিরিজ এর ফ্যান আমি। এক এক করে এখন সিজন ৪ চলতেছে। ভালোই লাগে। এই পর্বটিও বেশ মজার ছিলো। ভালো লেগেছে আমার কাছে। খুব সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন ভাই। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আপনি দেখছি এই সিরিজের নাটকটির বেশ ফ্যান। আসলে মাঝেমধ্যে আমিও এই নাটকের ভিডিও ক্লিপগুলো ফেসবুকে দেখে থাকি ভালোই লাগে। যাই হোক দারুন ছিল আপনার উপস্থাপনা শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের কথা আর কি বলব। এই সিজনের যতগুলো এপিসোড রিলিজ হয়েছে প্রায় সবগুলোই দেখা হয়েছে। আপনি খুব ভালোভাবে রিভিউ করেছেন ভালো লাগলো।
ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকটি প্রাই সবাই দেখেছি। খুব মজার একটি নাটক। আপনি চমৎকার ভাবে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন। শুভ কামনা রইলো।
বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় একটি নাটকের নাম হচ্ছে বেচেলার পয়েন্ট। আমি প্রতিনিয়ত ও প্রত্যেক সপ্তাহে অপেক্ষায় থাকি এই নাটকটি দেখার জন্য। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।