গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য || আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গ্রামের ভিতরে কিছু মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেের মোহনীয় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গ্রাম। গ্রামগুলোর অপার প্রকৃতির সৌন্দর্য চারদিকে ছড়িয়ে আছে। একইসঙ্গে রয়েছে গ্রামের অপরূপ নয়নাভিরাম ও বৈচিত্রময়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্টে যায় নতুন রুপে, নতুন বৈশিষ্ট গ্রামগুলো। যদিও বর্তমানে নগরায়নের ফলে গ্রামের সৌন্দর্য এখন বড় হুমকির মুখে রয়েছে। বর্তমানে গ্রামের সেই ঐতিহ্যময় দিন গুলোর সৌন্দর্য এখন দেখতেই পাওয়া যায় না। এই দেশের অনেক কবি গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য নিয়ে তাদের কবিতায় তুলে ধরেছেন।
যাইহোক, আজকে আমি আপনাদের সাথে গ্রাম বাংলার মনোরম সৌন্দর্য গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এবার ঈদের সময় যখন আমি বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে যাওয়ার পর আমি গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলোর অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম এবং গ্রাম গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম।
গ্রামের ভিতরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো দেখে আমি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর হয়ে গিয়েছিলাম। গ্রামের প্রকৃতি এত সৌন্দর্যতা কখনোও কল্পনা করতে পারি নাই। আমি প্রতিটি গ্রামের ভিতরে মোটরসাইকেল দিয়ে ঘুরে ছিলাম।
আমি ঈদের সময় যতদিন গ্রামে ছিলাম। আমি এবং আমার চাচাতো ভাই আমরা দুইজনে মোটরসাইকেল দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উপভোগ করেছিলাম। আমরা মোটরসাইকেল করে এই গ্রাম থেকে ঐ গ্রামে গিয়েছিলাম এবং মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সৌন্দর্যগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম।আমরা যখন মোটরসাইকেল দিয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমরা বিভিন্ন নানা বিচিত্র বিভিন্ন রকমের দৃশ্য দেখেছিলাম।
রাস্তার পাশে রয়েছে বিভিন্ন গাছপালা, বাগান, জঙ্গল এবং পুকুর বিভিন্ন ধরনের অনাবিল নানাবিধ বিভিন্ন রকমের বাড়িঘর।যা দেখে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। এগুলো সাধারণত শহরের মধ্যে দেখা যায় না। শহরের মধ্যে রয়েছে শুধু চারদিকে দালান কোটা।আমরা যে রাস্তার উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম ঐ রাস্তাগুলো এখনোও কাঁচারাস্তা।
রাস্তাগুলোর পাশে রয়েছে ছোট ছোট চায়ের দোকান তা আমরা লক্ষ্য করেছিলাম। চায়ের দোকানের মধ্যে ছিল লোকজন, তারা চা খাচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের গল্প আড্ডায় মেতে আছে। দোকানের ভিতর এ ধরনের দৃশ্যগুলো দেখে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমরাও মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাদের সাথে চা খেয়েছি এবং বিভিন্ন ধরনের গল্প আড্ডায় মেতেছি।
তখন আমি এবং আমার চাচাতো ভাই আমরা দুইজনেই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি যা এ ধরনের দৃশ্যগুলো শহরে দেখা যায় না। আজকের মত এখানেই শেষ করছি,গ্রামের দারুন মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে পরে আবার শেয়ার করবো,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | সদর উপজেলা,নোয়াখালী |
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1807341018708410542?s=19
ছোটবেলায় গ্ৰামে যেই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতাম সময়ের সাথে সাথে তা অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তবে এটা ঠিক যতটুকু রয়েছে তা শহরের থেকে অনেক ভালো। গ্ৰামের খোলামেলা পরিবেশ আর শীতল হাওয়ার সাথে শহরের তুলনা করা যাবে না। আমাদের মতো যারা শহরে থাকে তাদের সবসময়ই গ্ৰামের সৌন্দর্য দিকে টানে, কিন্তু কিছুই করার নেই বাধ্য হয়ে চারদেয়ালের মধ্যে থাকতে হয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে করছে ছুটে যাই গ্ৰামে। এই সৌন্দর্য সবসময় আমাদের মুগ্ধ করে। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া গ্ৰামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এর সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করার জন্য।
গ্রামীন এই ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলে আসলেই অনেক ভালো লাগা কাজ করে। আপনি ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছেন আর সেখানকার সুন্দর পরিবেশে সময় অতিবাহিত করেছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর পরিবেশ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যতই দেখি ততই ভালো লাগে। আর এত সুন্দর দৃশ্যগুলো উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। গ্রামীণ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তগুলো সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই বেশ দারুন হয়ে থাকে । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।