পর্বঃ০২ || সাফারি পার্ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা
28-01-2025
১৫ মাঘ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
১ম পর্বের পর
যতই সামনে আগাচ্ছিলাম ততই যেন বেশ কিছু অচেনা প্রাণী সামনে আসছিল। তাদেরকে জালের ভিতরের একটা ঘরে আটকা রাখা হয়েছে। সামনে আগাতেই চোখে পরলো বানরের মতো দেখতে লেমুর প্রাণী। আমি শুরুতে দেখে তো বানরই মনে করেছিলাম। তারপর উপরে দেখলাম লিখে দেয়া আছে এটা লেমুর প্রাণী। তবে এদের চোখগুলো ভয়ানক ছিল। একাধারে চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ থাকতে পারবে না। ভিতরে দেখলাম লেমুর দুটি প্রাণী খেলা করছে। সামনে এদেরকে খাবার দেয়া হয়েছে। এদেরকে পাউরুটি কলা এসব উন্নত মানের খাবার দেয়া হয়েছে দেখলাম, হাহা। ব্যাপারটা দেখে অবশ্য ভালোই লাগছিল। একটু সামনে আগাতে চোখে পরলো পাখিদের ঘর। সেখানে মেবি ঈগল পাখি ছিল। সিরিয়াল করে বসে ছিল বেশ কয়েকটা পাখি সেখানে।
আসলে পাখিগুলো এভাবে সংরক্ষণ করে রাখতেও ভালো লাগছিল না। তবে ঈগল পাখি আসলে বিলুপ্ত প্রায়। পার্কের মতো জায়গায় সংরক্ষণ না করলে পরিবেশ থেকেই একদিন হারিয়ে যাবে। সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে মনে হয় ঠিকই আছে। তো আমরা ঘুরাঘুরি করে সবাই টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিলাম। সকালে হালকা নাস্তা করে বের হয়েছিলাম। সামনে আগাতেই চোখে পরলো একটা রেস্টুরেন্ট। বলতে গেলে জঙ্গলের ভিতরে রেস্টুরেন্ট এমন মনে হলো। সেখানে অনেক মানুষ বসে খাওয়া দাওয়া করছে। আমরা যেহেতু পাচঁজন ছিলাম, তাই ভাবলাম একটা করে চিকেন অর্ডার দেয়। তবে দাম শুনে রীতিমতো সবাই অবাক। নরমালি বাহির থেকে একটা অর্ডার করলে সেটার প্রাইজ রাখে ৬০-৭০ টাকা করে। কিন্তু পার্কের ভিতরে সেটার দাম ১২০ টাকা করে!
তার মানে ডাবল দাম রাখে। এজন্য আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা যদি কখনো পার্কে যাওয়ার চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই বাহির থেকে খাবার কিনে নিয়ে যাবেন। এমনকি পানির বোতলটাও। নরমালি পানির বোতল রাখে ২০ টাকা। এসব জায়গায় সেটা হয়ে যাবে ৪০ টাকা! বেশি পর্যটক পেয়ে ওদের ব্যবসাটাও ভালো চলে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সামনে আগালাম। ঘড়িতে তখন ১টা বাজে। সামনে আগাতেই চোখে পরলো কুমিড়! বিশাল বড় সাইজের একটা কুমিড় দেখলাম ডাঙায় উঠে বসে আছে। তার একটু সামনে আগাতে খেয়াল করলাম বড় সাইজের ঘাড়িয়াল। আমি শুরুতে ভেবেছিলাম এগুলাও কুমির হবে হয়তো। কিন্তু বড় সাইজের ঘাড়িয়াল ছিল এটি।
তারপর সামনে আগাতে খেয়াল করলাম শিয়ালের মতো দেখতে এক প্রাণী। তবে সেটি শেয়াল না, পেন্টাগনিয়ান মারা! এটা আর্জেন্টিনাইন প্যান্টাগন মারা। আমি যতদূর জানতে পারলাম সীমান্ত দিয়ে চারটা প্যান্টাগনিয়ান মারা পাচারের সময় বিজিবি ধরে পাচারকারীকে। তারপর এগুলো এ পার্কে সংরক্ষণ করা হয়। নতুন প্রজাতিটি দেখে অবশ্য ভালোই লাগছিল। এতো কাছ থেকে কখনো প্রাণী দেখার সৌভাগ্য হয়নি ।
চলবে,,,,,
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Twitter share
Puss tweet
সাফারি পার্ক ভ্রমরের আজকের পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। সাফারি পার্কে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। আমার নিজের কাছেও পার্কে যেতে খুব ভালো লাগে। পার্কে গেলে অনেক পশু পাখি দেখা যায় এবং তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। আপনারা বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলেই ঠিক বলেছেন আজিম ভাই। পার্কে গেলে অনেক কিছু সম্পর্কে জানা যায়।
আপনার আজকের ভ্রমণ পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সাফারি পার্ক ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। একই সাথে সাফারি পার্কের বিভিন্ন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ভাবে শেয়ার করেছেন। আপনারে ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এবং আপনারা ভ্রমন পোষ্টের সবগুলো ফটোগ্রাফির মধ্যে কুমিরের ফটোগ্রাফিটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
সাফারি পার্কে ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মাঝেমধ্যে পার্ক ভ্রমণটা আমি খুবই পছন্দ করি। পাক ভ্রমণ করলে অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায় এবং অনেক বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারা যায়। অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই ভ্রমণ পোস্ট। অসাধারণভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। খুব খুব খুশি হলাম।
আমিও আপনার মতো ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
লেমুর প্রাণীটা আমি সাফারি পার্ক থেকেই দেখেছিলাম। বেশ অদ্ভূত ধরনের এই প্রাণীটা। কুমির টা সাইজে বেশ বড় দেখছি। বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন সাফারি পার্কে ভাই। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে নিয়েছেন। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমার কাছেও দেখে তাই মনে হলো, বেশ অদ্ভূত রকমের ছিল।