সূর্যমুখী ফুলবাগানে একদিন
07-05-2024
২৪ বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সবাই বৃষ্টির শীতলতায় আশা করছি হৃদয়কে পরিপূর্ণ করতে পেরেছেন! বহুল প্রতীক্ষিত বৃষ্টি! আসলে দুদিন ধরে এখন একটানা বৃষ্টি হচ্ছে! মানুষ যেখানে হায় হুতাশ করছিল বৃষ্টির জন্য সেখানে এখন শীতলতায় ভরপুর! আসলেই প্রকৃতির রূপ বোঝা বড় কঠিন। যাইহোক, আজকে চলে এলাম আপনার সাথে সূর্যমুখী ফুলের বাগানের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। বাড়িতে যখন ছিলাম তখন মূলত সূর্যমুখী বাগানে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ির পাশেই সূর্যমুখী বাগানটা তৈরি করা হয়েছে। তবে সে বাগানটি তৈরির জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন একটা অর্গানাইজেশন সাহায্য করেছে। আমাদের আচারগাও মধ্যপাড়া গ্রামের বেশ কয়েকজন তরুণ তরুণী এ সংস্থার সাথে জড়িত। ওয়ার্ল্ড ভিশনের কাজ হচ্ছে গ্রামের তরুণ-তরুণীদের নিয়ে একটা সংস্থা গড়ে তোলা যেখানে তারা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করবে।
মজার ব্যাপার হলো আমাদের গ্রামের অনেক তরুণ-তরুণী নিঃস্বার্থভাবে এ সংস্থার সাথে জড়িত থেকে কাজ করছে। ওয়ার্ল্ড ভিশনের পক্ষ থেকেই মূলত বাগানটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। আমি গ্রামের কয়েকজন তরুণের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম। বাগানটি নাকি ওয়ার্ল্ড ভিশনের এবং জমিটা একজন ভদ্রলোক দিয়েছে। তবে ভদ্রলোক কিছু টাকা দিতে হবে। সেটাও নাকি ঐ সংস্থা ম্যানেজ করেছে। আমি যখন বাড়িতে গিয়েছিলাম বাড়ির পাশে এমন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখে সত্যি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বাগানের ভিতরে অনেক রকমের গাছ লাগালেও সেখানে সূর্যমুখী ফুলই বেশি দেখলাম। বলতে গেলে বহুবছর পর খুব কাছ থেকে সূর্যমুখী ফুল দেখেছিলাম। হলুদ রঙের এ ফুলগুলো দূর থেকেও দেখতে চমৎকার লাগে।
এই সূর্যমুখী ফুলের জন্য ছোটবেলায় তো একবার দৌড়ানি খেয়েছিলাম। বাড়ির পাশেই সূর্যমুখী ফুল ছিল। আমি চুরি করতে গিয়েই দৌড়ানিটা খেয়েছিলাম, হাহা! ঘটনাটা মনে পরে নিজেরই হাসি পাচ্ছিল। তবে ঐ দিন যখন বাগানে গেলাম। সূর্যমুখী ফুল দেখে তাড়াতাড়ি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। ফুলের সৌন্দর্য গাছ থেকেই উপভোগ করতে হয়। আমি চাইলেই একটা ফুলকে ছিড়ে ফেলতে পারতাম! কিন্তু এতে ফুলের আসল সৌন্দর্যটা উপভোগ করা হবে না। সূর্যের আলোয় সূর্যমুখী ফুলগুলোও দেখতে চমৎকার লাগছিল। বাগানের চারিপাশটা আমি ঘুরে ঘুরে অনেকক্ষণ দেখছিলাম আসলে। রোদের জন্য বেশিক্ষণ থাকা যায়নি সেখানে। কিছুক্ষণ সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে চলে এলাম। আসলে ওয়ার্ল্ড ভিশনে অর্গানাইজেশনজে ধন্যবাদ দিতে হয় গ্রাম পর্যায়ে এমন উদ্যোগ হাতে নেয়ার জন্য।
আমি আশা করছি ওয়ার্ল্ড ভিশনের সেবাটা সব জায়গায় ছড়িয়ে পরবে। এমন সংস্থাগুলো সব জায়গায় ছড়িয়ে যাওয়ায় উচিত! এতে সমাজের অসহায়দের জন্য কাজ করতে পারবে এবং আর্থিক সফলতা লাভ করবে। যাইহোক, আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌸
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | Nandail, Mymensingh |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
অনেক সুন্দর একটি স্থানে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন ভাই। এরকম সৌন্দর্যময় স্থানে সময় কাটালে মনটা বেশ প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। সূর্যমুখী ফুলের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখে প্রাণটাও জুড়িয়ে যায়। যাহোক আজকে আপনার পোস্টে সূর্যমুখী ফুলের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
twitter share
আপনাদের গ্রামের পাশে এত সুন্দর একটি ফুলের বাগান। আমার তো এখন যেয়ে দেখতে ইচ্ছে করতেছে। যেহেতু ওয়ার্ড ভিশন কর্তৃক সহায়তায় এই জায়গাটিতে এত সুন্দর ফুল বাগানের ব্যবস্থা করেছেন। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সব জায়গায় বেশ ভালোভাবে কাজ করে। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমাদের গ্রামে অনেক কাজ করেছে উন্নয়ন মূলক কাজ রাস্তাঘাটের। এই সংস্থার সাথে আমিও দীর্ঘদিন যাবত জড়িত ছিলাম। আপনি এত সুন্দর একটি বাগানে যেয়ে ঘোরাঘুরি করলে। সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনাদের এলাকার অনেক তরুণ তরুণী এই সংস্থাটা সঙ্গে জড়িত। আমি মনে করি বর্তমান সময়ে অনেক তরুণ তরুণীরা অনেক ভালো ভালো সংস্থার সঙ্গে জড়িত রয়েছে যেগুলো সমাজের জন্য অনেক বেশি উপকার। যাইহোক সূর্যমুখী ফুল বাগানে দারুন একটা অতিবাহিত করেছেন যদিও ছোটবেলার সূর্যমুখী ফুল বাগান থেকে দৌড়ানি খেয়েছিলেন হাহাহা। এরকম একটা জায়গায় সময় কাটাতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরার জন্য।
আপনার গ্রামের পাশে সূর্যমুখীর এত সুন্দর একটি বাগান। সত্যিই এই বাগানটি দেখতে পেয়ে যেন ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর সূর্যমুখী ফুলের দৃশ্যগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াল্ড ভিষন সংস্থার নাম আমি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার শুনেছিলাম। আপনার এলাকায় ওয়ার্ল্ড ভিশন অর্গানাইজেশন সংস্থা একটি সূর্যমুখী ফুলবাগান তৈরি করতে সাহায্য করেছে জেনে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।ফুল বাগানের সৌন্দর্য ও বেশ সুন্দর ভাবে গড়ে তুলেছে। আপনি সূর্যমুখী ফুলবাগানের মধ্যে বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন।
সূর্যমুখী বাগান গুলো আমার নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে ভাই। বেশ কিছুদিন আগে কয়েকটি সূর্যমুখী বাগান আমি দেখেছিলাম। কিন্তু যাওয়ার সময় পাই নাই। বিশেষ করে সূর্যমুখী ফুলগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে কারণ এগুলো অনেক বড় আকারের হয়। ওয়ার্ল্ড ভিশন অর্গানাইজেশন সংস্থার কথা শুনে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো ভাই। সমাজের মানুষদেরকে নিয়ে কাজ করে এই বিষয়টা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটি গ্রামে এ ধরনের সংস্থাগুলো থাকা খুব প্রয়োজন।
আসলে বর্তমানে চাকরি পাওয়াটা খুবই কঠিন। আর এই জন্য তরুণ তরুণীদের নিয়ে এই ধরনের সংস্থা কিংবা কাজগুলো খুবই ভালো লাগে। কারণ যারা চাকরি পায় না তারা এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত হলে অন্তত তাদের অনেক বেশি উপকার হয়। আপনি সূর্যমুখী ফুল বাগানে ঘুরতে গিয়ে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করলেন। যেটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তার সাথে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো ও অসাধারণ ছিল।