নাটক রিভিউঃ- " দূর থেকে ভালোবাসি "
06-02-2025
২৫ মাঘ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকাটাই হলো মূলবিষয়। গত দুদিন ধরে প্রচন্ড মাথা ব্যথায় ভুগছিলাম। আজ আলহামদুলিল্লাহ্ অনেকটাই সুস্থ্য আছি। তাই আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য। নাটকটির নাম হচ্ছে দূর থেকে ভালোবাসি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাম | দূর থেকে ভালোবাসি। |
---|---|
পরিচালনা | মজুমদার শিমুল। |
রচনা | মজুমদার শিমুল। |
স্ক্রিপ্ট | নাসির খান। |
প্রযোজক | মোঃ কামরুজ্জামান। |
অভিনয়ে | জোভান, নিহা, পারসা, শিল্পী সরকার অপু,মোঃ শাহীদ উন-নবী, শাহবাজ সানি, সায়েদা দিশা, নাবিলা খান, নিয়াজ উদ্দিন তামুর সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | আবরাল সাহির। |
দৈর্ঘ্য | ৫০ মিনিট ৫২ সেকেন্ড। |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব। |
মুক্তির তারিখ | ০৬ ই ফেব্রুয়ারি , ২০২৫ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
রাতুলঃ
ইয়াশ রোহান।ময়নাঃ
তানজিম সায়েরা তটিনী।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, ময়না কাদঁতে কাদঁতে তার খালুজানের বাড়িতে যায়। যেখানে ময়না ও তার মা কাজ করে। কিন্তু ময়নার বাবা একজন চোর। দুদিন পর পর চুরি করে ধরা খায় আর তখন পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে। তেমনি ময়নার বাবা স্বর্ণ চুরি করতে গিয়ে ধরা পরেছে। কেঁদে কেঁদে তার কাকাকে বলে। আরও কয়েকবার তার বাবাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গিয়েছিল আর তখন তার জামসেদ কাকা পুলিশ থেকে ছাড়ায় নিয়ে আসে। ভোরবেলা যেহেতু ময়না এসেছিল তাই জামসেদ কাকা ময়নাকে বলে এতো সকাল সকাল গেলে ছাড়ায় নিয়ে আসতে পারবে না। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গেলে পুলিশের ডিউটি যখন শুরু হবে তখন ছাড়ায় নিয়ে আসতে। সেটা শুনে ময়না বাড়ির যখন রওনা দেয়।
পিছন দিক দিয়ে ডাক দেয় জামসেদ কাকার একমাত্র ছেলে রাতুল। প্রথমে রাতুলকে চিনতে পারেনি। তারপর যখন জানতে পারে সে জামসেদ কাকার ছেলে তখন ময়না চিনতে পারে। রাতুল তখন ময়নাকে বলে কেন তার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। ময়না তখন উত্তর দিতে চাইনি। তারপর বলে যে তার বাবা চুরি করেছে এজন্য তাকে ধরে নিয়ে গেছে। এটা শুনে রাতুল কিছুটা অবাক হয়। কারণ রাতুল শহরে থেকে পড়াশোনা করে। সে জানে না যে ময়নার বাবা চুরি। তারপর ময়নাকে সান্তনা দিয়ে বাড়িতে পাঠায়। এদিকে ময়নার বাবাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনে জামসেদ কাকা। তারপর এলাকার লোকদের সামনে শপথ বাক্য পাঠ করায়। ময়নার বাবা বলে সে কখনো আর চুরি করবে না।
ময়নার মা ও ময়না রাতুলদের বাড়িতে কাজ করে। রাতুল ময়নাকে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পরে যায়। তারপর বাড়িতে যখন কাজ করতে আসে ময়নার দিকে তাকিয়ে থাকে রাতুল। ময়না কলেজ ও স্কুলে গোল্ডেন পেয়ে পাশ করেছে। কিন্তু তার বাবার জন্য সে পড়ালেখা করতে পারছে না সে। তারপর একদিন রাতুল বলে পড়ালেখা কন্টিনিউ করার জন্য। কিন্তু সবাই চোরের মেয়ে বলে কোটা দিবে এটা ময়না মেনে নিতে পারবে না। একদিন রাতে ময়নাদের বাড়িতে যায় রাতুল। সবাই খেতে বসেছে। তখন ময়না রাগ করে না ভাত খাই না। কারণ তার বাবা চুরি করে কেন? তারপর তার বাবা বলে যে সে আর কখনো চুরি করবে না। তখন ময়না ভাত খাইতে চাই। কিন্তু যখন বলে ময়নার পড়ালেখার করার দরকার নেই তখন সে রাগ করে চলে যায়।
এদিকে ময়নার বাবা চুরির কাজ ছেড়ে অন্যের বাড়ির কাজ করে মজুরি এনে দেয়। এটা নিয়েও এলাকার মানুষ টিটকারি দেয়। কিন্তু ময়নার বাবা তা আমলে নেয়নি। রাতুল তার মাকে বলে বিয়ের কথা। রাতুলের মা ভাবে যে সে শহরের কোনো মেয়েকে হয়তো পছন্দ করেছে। রাতুল একদিন বাজার থেকে ময়নাকে নিয়ে যায় নির্জন জায়গায়। সেখানে নিয়ে রাতুল তার মনের কথা বলে দেয় ময়নাকে। কিন্তু ময়নার পক্ষে সে ভালোবাসা গ্রহণ সম্ভব না। কারণ এ সমাজ তাদের ভালোবাসা মেনে নিবে না। তারপর থেকে ময়না রাতুলকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু রাতুল ময়নার চোখে তার ভালোবাসা দেখতে পায়। তাদের ভালোবাসার ব্যাপারটা জেনে যায় রাতুলের বাবা। তারপর থেকে ময়নাদের রাতুলদের বাড়িতে কাজ করা না করে দেয়।
রাতুলের বাবা রাতুলকে বুঝায়! কাজের মেয়ের সাথে এসব করছে কেন। কিন্তু রাতুল তার বাবার মুখের উপর বলে দেয় সে ময়নাকেই ভালোবাসবে। রাতুল তখন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এদিকে রাতুলের বাবা প্লেন করে ময়নার বাবাকে চুরির অপবাদে ফাসায়। গ্রামের মানুষের সামনে নালিশে ময়নাদের পরিবারকে সহ পরিবারে গ্রাম ছাড়া হতে বলে। তখন রাতুল গিয়ে তার বাবার মুখোশ উন্মোচন করে দেয়। গ্রামের যত কুখ্যাতি হয়েছে তার পিছনে রাতুলের বাবার হাত ছিল। ময়নার বাবাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রাম ছাড়ার প্লেন রাতুলের বাবারই। আর তখন পুলিশ এসে রাতুলের বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। অবশেষে রাতুল ও ময়নার ভালোবাসার পূর্ণতার মধ্যে দিয়েই নাটকটির সমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। আসলে ভালোবাসায় উঁচু-নিচু এসব দেখে হয় না। ভালোবাসা হয় দুটি মনের মধ্যে। তারই প্রমাণ রাতুল ও ময়নার ভালোবাসা। ময়না নিচু শ্রেণীর হওয়ার পরেও রাতুল তাকে ভালোবেসেছিল এবং শেষ অবধি তাকেই ভালোবেসেছে। নাটকটির সিনেমাটোগ্রাফি দারুণ ছিল। গ্রামের সিনগুলো আসলে দেখতেও ভালো লাগে। তটিনী ও ইয়াশ দারুণ অভিনয় করেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯.৭/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও সময়ের কারণে নাটক দেখা হয় না কিন্তু আপনার নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে একটি নাটকের গল্প সম্পর্কে জানতে পারলাম। চোরের মেয়ে এবং একটা শহরে ছেলের প্রেমের পূর্ণতা পেল এই নাটকের মধ্যে যা জেনে বেশ ভালো লাগলো। যদিও মাঝখানে অনেক রকমের ঘটনা ঘটে গেছে। আপনার নাটক রিভিউ টা পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দূর থেকে ভালোবাসি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি।আমি তেমন একটা নাটক দেখার সুযোগ পাই না, তবে সময় পেলেই হিন্দি মুভি দেখি।আর মাঝে মাঝে আপনাদের নাটক রিভিউ পড়ার চেষ্টা করি, আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে নাটক রিভিউ পড়লে আমার মনে হয় আর নাটক দেখার প্রয়োজন হবে না।
না দেখা সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনার রিভিউ করে নাটক সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পেলাম আর সেই সুযোগে ভিডিও অন করে একটু দেখার মাধ্যমে নাটক সম্পর্কে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো। এমন সুন্দর নাটক রিভিউ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দূর থেকে ভালবাসি। নাটকের নামটাও যেমন অভিনয়টাও ঠিক সেভাবেই সাজানো। বর্তমান সময়ে খুব সুন্দর সুন্দর নাটক আমরা লক্ষ্য করে থাকি। এই নতুন নতুন নাট্যকারদের নাটকের অভিনয় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এখানে ভালোলাগা ও ভালোবাসার অন্যতম প্রকাশ মিলেছে।
নাটকের রিভিউ করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ নাটকের কাহিনী জেনে নেওয়া যায়। আপনার নাটক রিভিউ থেকে নাটক সম্বন্ধে অনেকটা ধারণা পেলাম। সত্যি ভালোবাসা কখনো উঁচু -নিচু, জাত-পাত দেখেনা। ভালোবাসা হয়ে থাকে দুটি মনের মধ্যে। নাটকটির মাধ্যমে চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর একটি নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
twitter share
Puss tweet
নাটকটি খুব দারুন কিন্তু দেখারতো সময় পাইনা ভাইয়া।তবে এটা কিন্তু ঠিক যে নাটকের রিভিউ পড়লে নাটকের চিত্র মাথায় চলে আসে।যাইহোক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দূর থেকে ভালোবাসি নাটকটি অনেক সুন্দর ছিল। আর আমার কাছেও নাটকটা দেখতে খুব ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এই নাটকের পুরো কাহিনীটা অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে তটিনির নাটকগুলো অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। এখনো পর্যন্ত নাটকটা দেখি নিই, তাই ভাবছি নাটকটা দেখবো।
এই নাটকটার শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম কিন্তু নাটকটা এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে আমার কাছে নাটকটা অনেক সুন্দর লেগেছিল। আজকে আপনি নাটকের রিভিউটা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো দেখতে আমি অনেক ভালোবাসি। মাঝেমধ্যেই নাটক দেখা হয় আমার। তবে ব্যস্ততার জন্য সব সময় দেখা হয় না।