ডুয়েটের জব ফেয়ার
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই হলো প্রথম কথা। আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে এবারের ডুয়েটে অনুষ্ঠিত জব ফেয়ার নিয়ে কথা বলার জন্য। আসলে বাংলাদেশের চিত্র দেখেন তাহলে দেখবেন বেকারত্বের সংখ্যাটাই বেশি এদেশে! বলতে গেলে সেটার সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু কমছে না। এ বেকারত্বের কারণ কি? আমি বলবো আমাদের এডুকেশনাল সিস্টেম । কারই একাডেমিক বই পড়ে আমরা জাস্ট সার্টিফিকেট অর্জন করি এছাড়া তেমন কাজে আসছে না। বর্তমান দুনিয়ায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই প্র্যাকটিক্যাল কাজে নজর দেয়া জরুরি! আপনি অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে দেখেন, সেসকল দেশে একাডেমিক এর পাশাপাশি প্র্যাকটিক্যাল এর দিকে নজর দেয়া হয় বেশি। এজন্য ঐ দেশগুলো অনেক উন্নত।
অন্যান্য দেশ মানুষকে মানব সম্পদে রূপান্তরিত করে। আর একটা মানুষকে মানব সম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলেই ঐ দেশ উন্নত হবে। বাংলাদেশের যে কয়টি ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি আছে পাবলিক আমি মনে করি সেখানে একজন মানুষকে মানব সম্পদে কিভাবে রূপান্তরিত করা যায় সেটা নিয়েই কাজ করে। যার ফলে হয় কি ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার পর বেকার থাকতে হয় না। কোনো না কোনো একটা জবে ব্যবস্থা
হয়ে যায়।।
গতকাল শুরু হয়ে গেল ডুয়েটে জব ফেয়ার। যেখানে দেশের ৪৬ টা কোম্পানি এসেছে। ডুয়েট প্রাঙ্গনেই সেসব কোম্পানির প্রদর্শনী দেখলাম। এটি মূলত ছিল যারা ডুয়েট থেকে পাশ করে বের হয়েছে তাদের জন্য। বিভিন্ন কোম্পানি এসেছে, পাশকৃত ডুয়েটিয়ানদের সিভি নিচ্ছে। হয়তো ভালো চাকরির একটা সুযোগ এটি। কেএসআরএম, মেঘনা গ্রুফ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর মতো দেশের নামকরা সব কোম্পানি এসেছিল। যেহেতু ডুয়েটে মেলা হবে তাই ভাবলাম ঘুরে দেখে আসি। মেলা শুরু হয়েছিল সকাল আটটা থেকে যেটা চলবে বিকাল চারটা অবধি।
আমি চারটার দিকেই গেলাম। এজন্য দেখলাম স্টলগুলো সব ক্লোজড করার মতো! তবে বেশ কিছু স্টল দেখলাম খোলা ছিল। আমি তখন ঘুরে ঘুরে বাকি স্টলগুলো পরিদর্শন করলাম। খেয়াল করলাম অনেকেই স্টলের ভিতরের মানুষদের সাথে কথা বলছে এবং তারা সিভি কালেক্ট করছে। মোটামোটি সব ডিপার্টমেন্ট এর জন্যই সিভি জমা দেয়া উন্মুক্ত ছিল। তবে কাঠের একটা কোম্পানি দেখলাম তাদের চাওয়া হলো কেমিকেল, ফুড ডিপার্টমেন্ট এর সিভি কালেক্ট করা। আমি সে স্টলে গিয়ে তাদের বিভিন্ন কাঠের নমুনা দেখার ট্রাই করলাম।
আসলে ভার্সিটির এ উদ্যোগটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দেশের নামকরা সব কোম্পানিকে একসাথে জড়ো করা সেই সাথে সাবেক ডুয়েটিয়ানদের চাকরির সুযোগ করে দেয়ার মতো উদ্যোগ সত্যি বলতে প্রশংসার দাবি রাখে। আমি আশা করি প্রতিবছরই জব মেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং অনেকের চাকরির সুযোগ পাবে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | DUET |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet