ঢাকা ক্যাপিটাল্সের দারুন জয়!
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। তবে দুদিন ধরে প্রচন্ড জ্বর সেই সাথে মাথা ব্যাথায় ভুগছি! আসলে শরীর ভালো না থাকলে কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। এখন কিছুটা সুস্থ্য অনুভব করছি। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম। আজকে চলে এলাম খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলছে। আজকে আমি ঢাকা ক্যাপিটাল্স ও দূর্বার রাজশাহীর ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার। এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটাল্স যে হাইভ দিয়ে খেলা শুরু করেছিল সেটা ঢাকা ক্যাপিটাল্স দেখাতে পারেনি! টানা ছয়টা ম্যাচ ঢাকা ক্যাপিটাল্স হেরেছে। ঢাকাকে নিয়ে দর্শকদের যেমন এক্সপেকটেশন ছিল সেটা দেখাতে পারেনি।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দূর্বার রাজশাহী। এবারের বিপিএলে ব্যাটিং পিচ বলা যেতে পারে। এখন পর্যন্ত আগে যারা ব্যাটিং করেছে সব টিমই স্কোরবোর্ডে ভালো একটা টোটাল দাড়ঁ করাতে পেরেছে। দেখার বিষয় ছিল ঢাকা ক্যাপিটাল্স কেমন ব্যাটিং করে। ঢাকা আগের ম্যাচেও ভালো একটা টোটাল দাড়ঁ করাতে পারে কিন্তু শেষ অবধি জিততে পারেনি। বলতে গেলে ঢাকার বোলিং ব্যাকআপ যথেষ্ট উইক দেখা যাচ্ছিল। তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। লিটন দাসের পারফর্মেন্স যাচ্ছে তাই। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড থেকে লিটন দাস বাদ পরেছে। শুরুতেই লিটন দাস ও তানজিদ তামিম দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকে।
চার ছক্কার ফুলঝুরি তে দূর্বার রাজশাহীর বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে। তবে একটা সুযোগ অবশ্য পেয়েছিল দূর্বার রাজশাহী! ৫ ওভারের মাথায় সানজামুলের বলো মিড অন দিয়ে ক্যাচ তুলে দেয় তানজিদ তামিম। কিন্তু ফিল্ডার রায়ান বার্ল ক্যাচটা লুফে নিতে ব্যর্থ হয়। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকায়নি দুজন। চার ছক্কার ফুলঝুরিতে দুজনই ব্যক্তিগত শতক হাকিয়ে নেই! বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম ওপেনার পার্টনারশিপ হিসেবে ২৪১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় দুজন। তানজিদ তামিম ব্যক্তিগত শফিউলের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! শেষ অবধি লিটন দাস অপরাজিত থেকে ঢাকা ক্যাপিটাল্স ২৫৪ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।
টি-টোয়েন্টি তে ২৫৪ রান চেইস করে জেতা খুবই কঠিন! তবে দেখার বিষয় ছিল দূর্বার রাজশাহীর ব্যাটাররা কেমন ব্যাটিং করে। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে যায় রাজশাহীর ব্যাটাররা। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। কারণ এমন একটি ম্যাচে আগে থেকেই প্লেয়ারদের মাথায় প্রেসার থাকে যে, কিছুটা এগ্রেসিভ মোডে খেলতে হবে। আর এগ্রেসিভ মোডে খেলে এমনিতেই উইকেট যাবে। দলীয় রান যখন ৬৭ তখনই সাত উইকেট হারিয়ে বসে দূর্বার রাজশাহী। তবে রায়ান বার্ল চেষ্টা করেছিল খেলাটাকে যতটা সম্ভব চালিয়ে নেয়ার। কিন্তু তার সাথে তেমনভাবে কেউ সাপোর্ট দিতে পারেনি। রাজশাহীর ইনিংস থামে ১০৫ রানে। ১৪৯ রানের ব্যবধানে ঢাকা ক্যাপিটাল্স জিতে যায়। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ হয় লিটন দাস।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
শেষের দিকের ম্যাচে এসে ঢাকা ক্যাপিটাল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল গতকাল। আসলে বেশ কিছু দিন ধরে একের পর এক একটি ম্যাচের মধ্যে হার ঢাকা ক্যাপিটালের। কিন্তু গতকাল লিটন দাস একদম আগুনের মতো পারফরম্যান্স করে ঢাকা ক্যাপিটাল কে জয়ের দিকে এগিয়ে যায়। খেলা টি দেখে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে।
আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল ভাই, দেখার মতো ব্যাটিং করেছিল লিটন ও তানজিদ।
এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ । তাছাড়া এযাবতকালের বিপিএল ইতিহাসের সেরা ম্যাচ ছিল । যে ম্যাচটি আমি নিজে উপভোগ করেছি ।আপনি দেখছি খুব সুন্দর করে রিভিউ দিয়েছেন। তারা দুজন খুবই ভালো খেলেছে লিটন দাস এবং তামিম। পুনরায় আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
একদম! রেকর্ড ব্রোকেন পার্টনারশিপ ইন বিপিএল! খুব উপভোগ করেছিলাম।
লিটন দাস এবং তানজিদ তামিম দুজনেই অফ ফর্মে ছিল কিন্তু তাদের এই পারফর্ম সত্যিকার অর্থেই ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য অবিস্মরণীয়। শুধু ঢাকা ক্যাপিটালস না পুরো বিপিএল জুড়েই ইতিহাস। যাইহোক দুজনের কৃতিত্বে ঢাকা ক্যাপিটালস রাজশাহীকে ২৫৪ রানের টার্গেট দেয় যার ফলশ্রুতিতে রাজশাহী দুর্বার মাত্র 105 রান করতে পারে। যার ফলে ঢাকা জিতে যায়। রাজশাহী এবং ঢাকার মধ্যাকর ম্যাচটির রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
হুমম, এক ম্যাচেই দুজনে ফর্মে এসেছে। আশা করছি ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে তাদের।
অনেক সাধনার পর তারা অনেক বড় ধরনের একটি ম্যাচ জিতছে।তবে ওইদিনের খেলা টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এবং এই দুর্দান্ত ইনিংস রিকোর্ড হয়ে থাকবে।যাইহোক আপনার পোস্ট টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।