পর্বঃ০১ || সাফারি পার্ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই আসলে প্রধান কথা! যেহেতু ওয়েদারের রূপ পরিবর্তন হচ্ছে। এই সময়ে সুস্থ্য থাকাটাও চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে। দুদিন আগেও ভালো গরম পরেছিল এখন দেখছি ঠান্ডা শুরু হয়ে গিয়েছে। আজকে সারাদিন বলতে গেলে কুয়াশায় ঢাকা ছিল সবকিছু। দুপুরের দিকে কিছুক্ষণের জন্য অবশ্য সূর্যের দেখা পেয়েছিলাম। এমন ওয়েদারে আসলে কিছু করতেও ভালো লাগে না। হঠাৎ করে আবারও অসুস্থ হয়ে গেলাম। সবার কাছে দোয়া চাই। আসলে অসুস্থ হলে কিছু করতেও ভালো লাগে না। পোস্টটা লিখতে বসলাম। কিন্তু শরীর একদম সায় দিচ্ছিল। তারপরেও মনের বিরুদ্ধে গিয়ে লিখছি। আজকে আপনাদের সাফারি পার্ক ভ্রমণ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
আমি গাজীপুরে আছি গত আড়াই বছর ধরে। কিন্তু এখানে যে সাফারি পার্ক আছে সেটা জানতাম না!! আসলে এডমিশন টাইমে এতো বের হয়নি। বলতে গেলে পড়ার টেবিলেই সময় কেটেছে বেশি। গত মাসে আমার রুমমেট ছোটভাই দুজন বললো ভাই চলেন পার্ক থেকে ঘুরে আসি। আমি বললাম কোন পার্ক থেকে! তখন সে বলেছিল সাফারি পার্ক থেকে। এটা নাকি গাজীপুরের সবচেয়ে বড় পার্ক। দেখার মতো অনেক কিছুই নাকি আছে। আমি তখন তাদের বললাম এতমিশনে এসে তোমাদের এতো ঘুরার চিন্তা আসে কি করে? তারা নাকি সবসময় চিল মুডে থাকে। আসলে জীবনে চিল মুডে থাকাটাই জরুরি।
আমি যেহেতু ফ্রি আছি তাই ভাবলাম যে ঘুরে আসি। কোথাও ঘুরতে পারলে মনটাও ভালো হয়ে যাবে। সে ভাবনা থেকেই ওদের সাথে বের হলাম। মোট পাচঁজন আমরা গিয়েছিলাম সাফারি পার্কে। সাধারণত গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাসে করে যাওয়া যায়। বাসে করে গেলে ২০ মিনিটের মতো লাগতে পারে। আমাদেরকে একদম সাফারি পার্কের মেইন রাস্তার পাশে নামিয়ে দিল। সেখান থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দিয়ে গেলে বেশিক্ষণ সময় লাগে না। যেহেতু আমরা পাচঁজন ছিলাম তাই একটা অটো রিজার্ভ দিয়ে নিয়েনিছিলাম। অটো দিয়ে সাফারি পার্কে মেইন গেইটের সামনে যেতে ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। গিয়ে তো পুরাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এতো মানুষ এখানে আসে! গেইটের সামনেই অনেক দোকানপাট। তবে সাফারি পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে হলে আগে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
ভিতরে প্রবেশ করতে হলে টিকেট লাগবে। দেখলাম বেশ কয়েকজন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করছে। তবে একটা বিষয় ভালো লাগলো। সবার লাইনে দাড়াঁনোর প্রয়োজন নেই, যেকোন একজন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করলেই হবে । প্রতি টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা করে! তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে টিকেটের মূল্য ১০ টাকা করে! আমরা সবাই মূলত স্টুডেন্ট তবে আইডি কার্ড ছিল না আমার। সেজন্য আমার জন্য ৫০ টাকার টিকেট সেটাই সংগ্রহ করতে হলো। সাফারি পার্কের ভিতরের এরিয়াটা অনেক বড়! অনেক পশু পাখি ভিতরে রয়েছে। ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পরলো বাচ্চাদের খেলার জিনিসপত্র!
পার্কের যত ভিতরে যাচ্ছিলাম তত পশু পাখিদের সংখ্যাটাও বাড়ছিল। যাওয়ার পথে দেখা পেলাম বানরের! বানর তো দেখি এক গাছ থেকে আরেক গাছে লাফ দিয়ে যাচ্ছে। তবে বানরের সাথে বেয়াদবি করলে কিন্তু প্রবলেম! আপনার গাঢ়ে এসে বসে থাপ্পর দিয়ে অজ্ঞান বানিয়ে ফেলবে! তার সামনে এগোতেই চোখে পরলো বিশাল বিশাল উটপাখি! দেখে মনে হচ্ছিল উটপাখিগুলো অনেক পুরনো! বয়স হয়েছে উটপাখিগুলোর! ভিতরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
চলবে,,,,,
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
সাফারি পার্ক ভ্রমণের প্রথম পর্বটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এ পার্ক ভ্রমণ দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে ভ্রমণ করতে গেলে পার্কে বিভিন্ন রকমের কিছু দেখতে পাওয়া যায় আর নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
আসলেই ভাই পার্কে গিয়ে অনেক কিছুই দেখতে পেয়েছিলাম।
সাফারি পার্ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার পোস্টটি দেখে মনে হচ্ছে আপনি অনেক ইনজয় করেছেন। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
হহুমম ভাই, ভালোই এনজয় করেছিলাম সেখানে।