১ম ওয়ানডেতে দারুণ জয় বাংলার
01-04-2024
১৮ চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা সকলেই জানেন যে আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের সাথে কোনো খেলা নিয়ে আলোচনা করতে। তারই ধারাবাহিকতায় আজও চলে এলাম। তো বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার মধ্যে দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজ চলছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ একটিতে হেরেছে। তবে আজ আলোচনা করবো ওয়ানডে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ নিয়ে। বাংলাদেশ ওয়ানডেতে বরাবরই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আর দেশের মাটিতে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে । টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ। তারপরেও আমি আশাবাদী ছিলাম যে ওয়ানডে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ।
গত ১৩ই মার্চ, বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংলার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয় চৌধুরী জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে। সেদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা। ব্যাটিং করতে আসে নিসাংকা ও আবিস্কা ফার্নান্দো! যেহেতু ওয়ানডে ম্যাচ এতো তাড়া থাকে না ব্যাটিংদের। তবে বোলারদের টার্গেট থাকে পার্টনারশিপ গড়ার আগেই যেন উইকেট ফেলতে পারে। শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম দশওভারে বাংলাদেশের বোলাররা খরচে বোলিংটা করেছে। দশ ওভারে ৭১ রান দিয়েছিল। তার বিপরীতে মাত্র উইকেট পড়েছিল একটি। আবিস্কা ফার্নান্দোকে আউট করে প্রথম উইকেট শিকার করে তানজিম সাকিব। ঠিক এক ওভার পরেই ফর্মে থাকা পাথুম নিসাঙ্কাকে আবারো আউট করে সাকিব। এরই মাঝে ওপেনিং দুই ব্যাটার আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়।
তারপর কুশাল মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমা আসে মাঠে। কুশাল মেন্ডিসের খেলা আমার ভালোই লাগে। খুবই ঠান্ডা মাথার প্লেয়ার। এমনভাবে খেলে রান তুলে ফেলে বুঝা যায় না। তবে ভয়ের কারণ হতে পারে কুশাল মেন্ডিস। কারণ মাঠ থাকলে রান হবেই। তো সামারাবিক্রমা মাঠে নামার পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। আবারো তানজিম সাকিবের শিকার হয় সামারাবিক্রমা। তারপর ক্যাপ্টেন আসালাঙ্কা মাঠে আসে। আসালাঙ্কাকে সাথে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে কুশাল মেন্ডিস। কুশাল মেন্ডিা দেখে খেলতে থাকলেও আসালাঙ্কা বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। ব্যক্তিগত ১৮ রান করে মাঠ ছাড়ে। তারপর কুশাল মেন্ডিস ও লিয়াঙ্গে মিলে দুজন খেলাটাকে চালিয়ে। দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পায় । শেষে লিয়াঙ্গের হাফ সেঞ্চরির সুবাধে শ্রীলংকার সংগ্রহ দাড়াঁয় ১০ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের।
৫০ ওভারের খেলায় ২৫৫ রান কমই বলতে গেলে। তবে সেটাও কঠিন হয়ে যায় যখন ব্যাটসম্যানরা মাঠে থাকতে না পারে। ৩০০ বলের খেলায় বড় বড় দুটি পার্টনারশিপ হয়ে গেলেই খেলায় জয় চিনিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। দেখার বিষয় ছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা কিভাবে শুরু করে। তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। অনেকদিন পর সৌম্য আর লিটন দাসকে ওপেনিং জুটিতে মাঠে নামতে দেখলাম। তবে হতাশার বিষয় হলো দুজনই ব্যর্থ হয়। মাত্র ১৫ রানেই বাংলাদেশের দুই উইকেট হারিয়ে বসে। তারপর মাঠে থাকে শান্ত ও হৃদয়। কিন্তু হৃদয়ও মধুসানের বলে বোকা হয়ে যায়। ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে হৃদয়। তারপর মাঠে আসে মাহমুদুল্লাহ। খেলার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ হেরেই যাবে। কারণ ২৩ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে।
তবে শান্ত ও মাহমুদুল্লাহর ব্যটিং বাংলাদেশী সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি এনে দেয়। শান্তকে সাথে নিয়ে মাহমুদুল্লাহ দেখে শুনেই খেলতে থাকে। কিন্তু কুমরার বলে পুল শট খেলতে গিয়ে ক্যাচে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। তারপর মাঠে আসে মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ডিপেন্ডেবল প্লেয়ার মুশফিক। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দুই ব্যাটার মিলেই জয়ের প্রান্তে চলে যায়। সেদিন শান্ত সেঞ্চুরি করে এবং মুশফিকুর হাফ সেঞ্চুরি করে। দুজনেই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল। বাংলাদেশ ছয় উইকেটে জয়লাভ করে। এরই মাধ্যমে সিরিজের ১-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিল শান্ত।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ আমিও দেখেছিলাম। খুবই সুন্দর খেলা উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের খেলা অসাধারণ ছিল। বাংলাদেশ ভালো খেলেই জয়টা নিশ্চিত করেছিল।
আসলেই ভাই বাংলাদেশ ভালো খেলেছিল তার জন্যই জিততে পেরেছিল।
আমাদের বাংলাদেশ শ্রীলংকার সাথে ওয়ানডে খেলায় ৬ উইকেটে জিতেছে দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম এবং শান্ত দেখছি বেশ দারুন ইনিংস খেলেছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটি জিতে সিরিজে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল।অনেক সুন্দর একটি খেলার পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। 🌼