আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ দোষ-নির্দোষ ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং চঞ্চল থাকার চেষ্টা করছি। যদিও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সব সময় নিজের পক্ষে থাকে না কিন্তু তবুও আমাদের সচেষ্ট থাকতে সব কিছু বিবেচনা করে। কারন দেখুন অনুকূল এবং প্রতিকূল দুটোর প্রভাব সব সময়ই আমাদের জীবনের উপর থাকে, এখন অনুকূলের বিষয়ে যদি আমি সচেষ্ট থাকতে পারি তাহলে প্রতিকূলের বিষয়ে কেন হতাশ হবো? সুবিধা যদি নিতে পারি তাহলে অসুবিধা কেন গ্রহণ করতে পারবো না? যদিও আমি যত সহজে বিষয়টি বলে দিলাম মেনে নেয়াটা মোটেও ততো সহজ নয়।
যে কোন বিষয়েই আমরা হয়তো খুব সহজেই কিছু বলে দেই আর যদি সেটা উপদেশের ক্ষেত্রে হয় তাহলে হয়তো সময় খুবই কম লাগে আর এখানে চিন্তা করারও কিছু থাকে না। কিন্তু যখন বিষয়টি নিজের উপর পড়ে, তখন হয়তো নানা কিছু চিন্তা করা শুরু করে দেই এবং মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হয়। কারন বাস্তবতা আমাদের এখানে শেকলে বন্দী করে দেয়, নিজের ক্ষেতে সব কিছুই মানতে কষ্ট হয় আর অন্যের বিষয়ে সব কিছুই সহজ মনে হয়। তবুও কিন্তু আমাদের অনেক সময় খুব বেশী অসহায় মনে হয় পরিস্থিতির বিবেচনায়। নির্জীব হয়ে যাই পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করে।
যাইহোক, পরিস্থিতির বিষয়টিতে হয়তো আমাদের তেমন কোন হাত থাকে না কিন্তু তবুও আমাদের চঞ্চলতা ধরে রাখতে হয়। দেখুন জীবনের এমন মুহুর্ত আমাদের মেনে নিতে হয় যেখানে হয়তো আমাদের কোন দোষ থাকে না কিন্তু তবুও সব কিছু মেনে নিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা করি না। কারণ ঐ যে পরিস্থিতি মোটেও আমাদের অনুকূলে থাকে না আর এই জন্যই হয়তো আমরা নীরবে নিজেকে অপরাধী বানিয়ে নেই। পরিস্থিতির বিষয়টি সত্যিই এমন, না চাইতে হয়তো অনেক বেশী পেয়ে যাবেন আবার চাইতে গিয়ে হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধী বনে যাবেন।
কিন্তু তবুও কি আমাদের চাওয়া থেমে থাকছে? তবুও কি আমরা নির্জীব হচ্ছি আকাংখার ক্ষেত্রে? মোটেও নয় বরং আমরা আমাদের অবস্থান হতে সব কিছু ছাপিয়ে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাই, আকাংখাগুলোকে আরো বেশী পূর্ণতা দেয়ার এবং প্রাপ্তিগুলোকে আরো বেশী রঙিন করার। আমাদের অবস্থান এবং আমাদের কর্ম দক্ষতা, মাঝে মাঝে পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজয়ী হওয়ার সুযোগ করে দেয় কিন্তু সেটা সব সময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাই দোষী হলেও চঞ্চলতা নিয়ে সেটাকে মেনে নেয়ার মানসিকতা ধরে রাখতে হবে এবং অপরাধীর মানসিকতা হতে নিজেকে বের করে আনতে হবে।
সাময়িক সময়ের জন্য অপরাধীবোধটাকে বেঁধে রাখতে হবে এবং পরিস্থিতি মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। হ্যা, হতাশা নামক যন্ত্রণা আমাদের হয়তো বার বার আঘাত করবে, দোষ না করেও দোষী হওয়ার বিষয়টিকে বার বার সামনে নিয়ে আসবে। আলো হতে নিজেকে সরিয়ে অন্ধকারকে বেশী ভালোবাসতে ইচ্ছে হবে, দক্ষতা লুকিয়ে ফাঁকি দেয়ার মানসিকতা বড়ে যাবে। বিশ্বাস করেন এসব কিছুই আপনাকে কাংখিত সুখ কিংবা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে না বরং দিনকে দিন আপনাকে দূরে সরিয়ে দিবে। সুতরাং পরিস্থিতি বিবেচনায় দোষী হওয়াটাও নিয়তির অমোঘ নিয়ম হিসেবে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
Image taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রিয় হাফিজুল্লাহ ভাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক ভাল আছেন। তবে আপনার পোষ্ট পড়ে সব সময় মনে হয় কি যেন একটি টেনশন কাজ করে আপনার মধ্যে। আসলে আমাদের বিয়ের পরের জীবনটাই অনেকটা টেনশনযুক্ত জীবন। টেনশন না করতে চাইলেও টেনশন যেন আমাদের পিছুই ছাড়ে না। আপনি ঠিক বলেছেন পারিপার্শিক পরিস্থিতি আসলে একটি আজব জিনিস এটার সাথে সব সময় আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হয়। হাসতে না চাইলেও হাসতে হয়। কাঁন্না আসলেও চেপে রাখতে হয়। এটাই জীবন ভাই।
হতাশা মানুষের জীবনে যে কি পরিমান অবসাদের জন্ম দিতে পারে তা না দেখলে বোঝা যায় না। আপনার এই আবোল তাবোল জীবনের গল্প দেখলেই এসে পড়ি। সুন্দর এবং সাবলীলভাবে আপনি জীবনে সত্য গুলি তুলে ধরেন। তাই এগুলো করতে খুব ভালো লাগে। জীবনের সত্যকে তুলে এনে ভীষণ সুন্দর লিখলেন ভাই। আমরা এমন এক এক সময় পরিস্থিতির দাস হয়ে যাই। তখন আর সামনে কিছু করবার থাকে না। ভীষণ সুন্দর করে সম্পূর্ণ আঙ্গিকটি ব্যাখ্যা করলেন।
আজকের লেখাটা পড়ে ভিন্ন একটা অনুভূতি হলো। মনেই হলো না এটা হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের পোস্ট। খুবই সিরিয়াস একটি লেখা। ভাবনার জগতে নিয়ে গেল কিছুক্ষণের জন্য। আসলেই, বাস্তবতা একটু ভিন্ন। নীতি তখন মানতে কষ্ট হয়। খুবই মূল্যবান কিছু কথা লিখেছেন ভাই।
দোষ না করে দোষী সাব্যস্ত করা হলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। তখন নিজেকে সত্যিই দুর্ভাগা মনে হয়। মনে হয় যে সবকিছু ছেড়ে একদিকে চলে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। তবে এটা ঠিক যে,সবকিছু সিরিয়াসলি নিলে,সবাই মিলেমিশে থাকাটা সম্ভব হয় না। তাই কিছু কিছু বিষয় হালকা ভাবে নিতে পারলে কিংবা এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো। তাহলে অন্ততপক্ষে কিছুটা হলেও সুখ খুঁজে পাওয়া যায়। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।