শৈশব স্মৃতি এবং প্রকৃতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। শীতের উষ্ণতায় নিজেকে আরো বেশী চঞ্চল ও সতেজ রাখার চেষ্টা করছেন। যদিও আমি মুলোর স্বাদের সাথে সাথে গরম কাপড়ে নিজেকে ঢেকে চঞ্চল রাখার চেষ্টা করছি, সাথে অবশ্য গোসলের সময় গরম পানির ব্যবহার করছি, হি হি হি। জানিতো আপনারা একটু বেশী শক্তিশালী আমার চেয়ে, তাইতো ঠান্ডা পানিতে গোসল সারেন আপনারা হি হি হি। আসলে এটাও কিন্তু আমাদের জন্য এক ধরনের আনন্দের বিষয়, ছোট বেলায় যখন পুকুর পাড়ে যেতাম তখন দারুণ সকল দৃশ্য দেখার সুযোগ পেতাম।
আমাদের সময়ে পুকুরে গোসলের প্রচলন ছিলো, প্রতিটি এলাকা বা মহল্লায় কম করেও হলো একটা পুকুর থাকতো। তবে আমাদের এলাকায় তিন বড় সাইজের পুকুর ছিলো, আমরা পালাক্রমে একেকটায় একেক সময় গোসল করতাম। তাও আবার আমরা দল বেঁধে যেতাম যাতে আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশী হয়। শুধু যে গোসল করতাম না কিন্তু না, আমরা সাঁতার কেটে পুকুরের মাঝে যেমন ফুটবল খেতলাম ঠিক তেমনি ছোঁয়াছুঁয়ি খেলাও খেলতাম। এরপর লাইন ধরে ঝাঁপ দেয়ার, উল্টো ঝাঁপ দেয়ার নানা কৌশলে সেগুলোকে আরো আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতাম।
এটা ছিলো দারুণ এক অনুভূতির শৈশব, হয়তো বর্তমান প্রজন্ম কোনদিনও সেটা বুঝতে পারবেন না স্বাদের বিষয়টি তো দূরের কথা। যাইহোক, আমাদের সময় পরিবেশ যেমন সুন্দর ছিলো ঠিক তেমনি প্রকৃতির মাঝেও আমাদের সময় ব্যয় করার প্রবণতাও বেশী ছিলো। বাস্তবিক কারণেই হয়তো আমাদের সুযোগটা বেশী ছিলো এবং আমাদের আকর্ষণটাও অনেক ছিলো। বর্তমান প্রজন্ম হয়তো সেগুলো বাদ দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর নানা ডিভাইসে আনন্দের মাত্রাটা বেশী খুঁজে পাচ্ছে। অবশ্য এখানেও একটা সমস্যা আছে, আগের মতো যেমন পুকুর নেই, নেই পুকুরের সেই স্বচ্ছ পানি, আবার প্রকৃতি ও পরিবেশের অবস্থাও বেশ করুণ।
সুতরাং আমরা হয়তো চাইলেও তাদের এমন পরিবেশের মাঝে ঠেলে দিতে পারি না। স্বচ্ছ পানি সেই পুকুরও তাদের ফেরত দিতে যেমন পারবো না, ঠিক তেমনি নিরাপদ ও সুন্দর প্রকৃতির পরিবেশও তাদের ফিরিয়ে দিতে পারবো না। শহরের কথা বাদ দিলাম, গ্রামীন পরিবেশেও এখন সুন্দর প্রকৃতি নেই, বরং সর্বত্র এখন জমি ভরাট করে আধুনিক বিল্ডিং করার প্রতিযোগিতা, কৃষি জমির মাটি কেটে বাড়ি বা সড়ক উচুঁ করার প্রবণতা এবং নোংরা পরিবেশের দৃষ্টান্ত যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের সভ্যতার বিরাট ক্ষতের বিষয়টি।
আজকের গ্রামীন দৃশ্যের ফটোগ্রাফির মাঝে তেমন দুটো দৃশ্য ক্যাপচার করার সুযোগ পেয়েছিলাম আমি, কৃষি জমির মাটি কেটে অনত্র নিয়ে যাওয়ার নিদারুণ দৃশ্য। প্রতিদিন এমন অসংখ্য ট্রাকে করে কৃষি জমির মাটি কম দামে কিনে নিয়ে লাভ জনক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছেন গ্রামের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু তারা এটা চিন্তা করছেন না যে এর ফলে গ্রামীন পরিবেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং কৃষিজমিগুলো কিভাবে অনাবাদি বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তারিখঃ এপ্রিল ০৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধন্যবাদ। অনিন্দ্য সুন্দর একটি পোস্টের জন্য।হ্যাঁ এটা আসলেই অত্যন্ত সুখকর একটি স্মৃতি।
তবে এখনো কিন্তু অনেক পুকুর আছে।আমি এখনো পুকুরে গোসল করি।
আমি পাংশা সরকারি কলেজ এর ছাত্র একইসাথে কলেজ হোস্টেলে থাকি।
এবং আমাদের হোস্টেলের সাথে কলেজ পুকুর আছে। আমরা সবাই মিলে বন্ধুরা পুকুরে গোসল করি।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই শীতে পুকুরের ঠান্ডা পানিতে গোসলের আগে সবাই মিলে রোদে অনেক সময় বসে থাকি!
হ্যা, এখনো অনেক জায়গা পুকুর আছে কিন্তু ধীরে ধীরে সব পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ
আপনি ঠিক বলেছেন হাফিজ ভাই। আজকাল বাচ্চারা সব ডিভাইসে ব্যস্ত। তাদের আর আমাদের মত ছেলেবেলা কাটাবার ফুরসৎ নেই। দারুন সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আমাদের সামনে। ছবিগুলি অনবদ্য হয়েছে। গ্রামের এই ধরনের ছবিগুলি আমার দেখতে এমনিতেই ভালো লাগে।
আপনি ঠিকই বলছেন শীতের দিনে পুকুরে গোসল করার মজা আলাদা। বিশেষ করে দল বেঁধে যখন গোসল করা হয় বেশ আনন্দ করা যায়। আপনি সুন্দর সুন্দর স্মৃতি চারণ করলেন ছোটবেলার অনেক ভালো লাগলো পড়ে। আর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে আরো ভালো লাগলো।
আসলেই ভাই এখনকার পোলাপান চাইলেও পুকুরে গোসল করতে পারে না। তাছাড়া মাঠেঘাটে দৌড়াদৌড়ি করতে পারে না। সুতরাং তারা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে ডুবে থাকে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছেলেবেলার সুন্দর সুন্দর স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আপনার লেখাগুলো পড়ে সেই অনুভূতি অনুভব করলাম।আসলে এখন চাইলেও বাচ্চাদের কে আমরা আগের সেই পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে পারব না।আগে দল বেঁধে বাচ্চারা পুকুরে সাঁতার কেটে গোসল করতো।কতোই না সুখকর সেই অনুভূতি। কিন্তু এখন পকুর যেমন কমে গেছে।আর বাচ্চারা ও ঘরবন্দী থেকে থেকে নানান ডিভাইসে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।ভালো লাগলো অনুভুতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি ও সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।