আমার বাংলা ব্লগ- ৩য় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট || ABB Special Hangout Report
ভূমিকাঃ
“আমার বাংলা ব্লগ”- এখন শুধু একটি কমিউনিটির নাম না বরং সকলের নিকট জনপ্রিয় মাধ্যম, নিজের ভাষায় আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশের। দিন দিন যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শীর্ষে উঠে আসছে র্যাংকিং এ। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর যাত্রা শুরু হয় মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশে স্টিম ব্লকচেইন এ সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটিকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে ভাষার প্রতি ভালাবাসা সৃষ্টি করা এবং নিজেদের বন্ধনকে আরো মজবুত করা। আমাদের বিশ্বাস আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মাঝে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এখন পর্যন্ত ৭৭৪৫ জন সদস্য হয়েছেন এবং বর্তমান এ্যাকটিভ পোষ্টের সংখ্যা ১৮৯।
বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট
প্রথম দিনঃ
আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @shuvo35 ভাই যথারীতি সময়ের পূর্বে চলে আসেন। শুরুতেই সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেন এবং নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন। ভালোবাসার অনুভূতির সাথে আমার বাংলা ব্লগের ৩য় বর্ষের দারুণ অনুভূতি ভাগ করে নেন এবং তার সাথে সাথে সবাইকে দ্রুত হ্যাংআউটে যোগ দেয়ার আহবান জানান। তারপর যথারীতি অনুষ্ঠান সূচী অনুযায়ী মূল পর্ব শুরু করার আগে আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার অনুমতি নেন যদিও দাদা হাসপাতালে আছেন বৌদিকে নিয়ে।। তারপর কমিউনিটির এ্যাডমিন স্বাগতা দিদির কাছে যান এবং অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য অনুমতি নেন।
এরপর কমিউনিটির অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স) @rex-sumon সুমন ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এবিবি কমিউনিটির ফিচার্ড ভিডিওর লিংক শেয়ার করার আহবান জানান। সুমন ভাই লিংকটি শেয়ার করলে সবাই একত্রে এবিবি ফিচার্ড ভিডিওটি দারুণভাবে উপভোগ করেন, এটা নিয়ে সুমন ভাই নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন। এটায় আমাদের কমিউনিটির দুইজন মেম্বারের কণ্ঠ রয়েছে। এটা ছিলো বর্ষপূর্তির আয়োজনের প্রথম আকর্ষণ। এক কথায় পুরো কমিউনিটিকে সুন্দরভাবে অল্প কথায় প্রকাশ করা।
কমিউনিটির এ্যাডমিন (সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং) @shuvo35 শুভ ভাই পরের সেগমেন্ট এর জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ভার্চুয়ালি কেক কর্তন এর ভিডিও লিংকটি শেয়ার করেন। তারপর এই আয়োজনটি নিয়ে নিজের সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেন। দারুণ এই বন্ধনটা ক্রমাগত যেন সুন্দর ও অঁটুট থাকে সেই প্রর্থনা করেন। পুরো বিষয়টির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার কাছে। সুন্দর এই সময়টা বার বার ফিরে আসুক আমাদের জীবনে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারপর শুনা হয় অফিসিয়াল থিম সং, এটা ছিলো বাড়তি আকর্ষণ। পুরো কৃতিত্ব আমার বাংলা ব্লগের মেম্বার সেলিনা সাথি আপুর। দ্বৈত কণ্ঠের গানটি ছিলো এক কথায় অসাধারণ।
এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের কো-ফাউন্ডার এবং অপারেশন হেড @blacks দাদা, শুরুতে দাদা সবাইকে শুভেচ্ছা জানান আমার বাংলা ব্লগের ৩য় বর্ষপূর্তির। যদিও অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল, তবুও ভার্চুয়ালী যতটা কানেক্টেড হওয়া যায়। যেহেতু এখানে অধিকাংশই আমাদের পুরনো মেম্বার, সকলের কানেকশন অনেকটাই পুরনো। তবে ভার্চুয়ালী হলেও আমাদের এখানকার সবার ঘনিষ্টতা আছে সেটা অনেকটা রিয়েলিটির কাছাকাছি। সে জায়গা থেকে সবাইকে আবারো শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, জন্মদিন বা ৩য় বর্ষপূর্তি যেটাই বলা হোক। একটা ব্লগ বা ব্লগিং কমিউনিটি এটা ব্লকচেইন এর উপর ডিজাইন করা হয়েছে। এটা খুবই নতুন একটা টেকনোলজি, আগামী দশ কিংবা পাঁচ বছর এর মধ্যে এটা সবথেকে বেশী ব্যবহৃত হবে সামগ্রিক ভাবে। এর থেকে সিকিউরড এবং ট্রান্সপারেন্ট টেকনোলজি এই মুহুর্তে আমাদের হাতে নেই।
এটা এখনো অব্দি সেভাবে এডাপ্ট করা হয়নি, এই টেকনোলজি সম্পর্কে সকল দেশ বা সরকারসমূহ নলেজ রাখে না। তবুও আস্তে আস্তে একে ঘিরে কাজ হচ্ছে। আমি মনে করি, স্টিমিট কবে বন্ধ হবে? এটা বড় কথা না। স্টিমিট টাইপেট বা কেন্দ্রীক যে কোন প্রযুক্তিগত এপ্লিকেশন সামনে আরো অনেক আসবে। সেই দিক হতে বিবেচনা করলে, স্টিমিট বন্ধ হওয়াটা অনেকটাই কঠিন ব্যাপার। আমরা মোটামুটি এখানে একটা স্থায়ী, যদিও পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থায়ী নয়, কিন্তু আমরা মোটামুটি একটা স্থায়ী প্লাটফর্ম পেয়েছি যেখানে আমরা ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট পাবো, এখানে আমরা নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি সেটা লেখা হোক, ড্রয়িং, ভিডিও ক্রিয়েটিং, ফটোগ্রাফি, যে কোন ধরনের এ্যাক্টিভিটিস বাড়ানোর একটা সুযোগ আছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে একটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা। ছাত্র জীবনের একটা প্রেসার, কর্ম জীবনের একটা প্রেসার, সেখান হতে বেড়িয়ে এখানে সবার সাথে একটু কথা বলা, কাজ করা এবং কাজ করার পর একটু প্রশংসা পাওয়া, এই প্রশংসা একটা বড় এনার্জির কাজ করে।
এই পৃথিবীতে প্রত্যেকেই আমরা প্রশংসা দ্বারা কাবু, পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে প্রশংসা পায় না। প্রশংসা আমাদের ভিতর এক ধরনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এই ক্ষেত্রে আমাদের ছোট ছোট কাজ যখন কেউ প্রশংসা করে বা প্রশংসিত হয় আমাদের ভেতর এক ধরনের পজিটিভ এনার্জি তৈরী করে এবং সেটা আমাদের সামগ্রীক জীবনকে প্রভাবিত করে। আমার বাংলা ব্লগ এই রকম একটা রুল প্লে করছে। এটা আমাদের পজিটিভ একটা দিক। আর একটা জিনিষ মাথায় রাখতে হবে যে আমরা এখানে কাজ করছি, যা কিছু লিখছি তারপর আমরা একটা বেনিফিট পাচ্ছি। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে এখানে শুধুমাত্র ইনকাম করতে হবে। আমাদের এই যে টাইমটা, অধিকাংশ তো ছাত্র যে কোন প্রযুক্তিগত জায়গায় ইয়ংদের আধিপত্য বেশী। তাদের উৎসাহ বেশী থাকে, শেখার আগ্রহটাও বেশী থাকে সেদিক হতে বিবেচনা করলে এখানে যারা কাজ করছেন, টুকিটাকি টেকনোলজি সম্পর্কে পড়াশুনা করতে হবে। কারন এমন দিন আসতেছে যেখানে প্রযুক্তি ছাড়া একদিনও চলবে না। যেদিকেই যান না কেন প্রযুক্তি ছাড়া একদমই চলতে পারবেন না, আপনি একটা মুদি দোকানে যান না কেন।
সামনে এমন দিন আসছে যেখানে এ্যাপসের ম্যানেজমেন্ট শিখতেই হবে। এনালগ প্রযুক্তি আর চলবে না, পুরো ডিজিটালের দিকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে থাকতে হলে আমাদের এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতেই হবে। আমি মনে করি এখন হতেই নিজেদের প্রস্তুতি থাকা ভালো। ছোট ছোট জিনিষ একটা ওয়েব সাইট কিভাবে কাজ করে? এর মেকানিজমটা কি? ইউটিউব দেখুন, ওয়েব সাইটে অনেক অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, কিছু জিনিষ আপনারা শিখুন। এই ক্ষেত্রে এখানে আপনার একটা কনটেন্ট তৈরী হয়ে যাবে এবং নিজেরও কিছু শেখা হবে। সামগ্রীকভাবে আমাদের জন্য সামনে যে একটা এ্যাডভান্স সময় অপেক্ষা করছে সেটা সহজ হবে। সবার সামনের দিনগুলো আরো অনেক বেশী সুন্দরভাবে কাটুক সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে দাদার কথা শেষ করেন।
এরপর কথা বলি আমি @hafizullah, হৃদয়ের এক শিহরণের নাম আমার বাংলা ব্লগ, ভালোবাসার এক পূর্ণতার নাম আমার বাংলা ব্লগ, স্বপ্নের সীমানায় রঙিন চঞ্চলতায় ভেসে বেড়ানোর নাম আমার বাংলা ব্লগ, সফলতার শীর্ষে বিচরণের নাম আমার বাংলা ব্লগ, হৃদয়ের অনুভূতির মুগ্ধতার চন্দ্রিমা উদ্যানের নাম আমার বাংলা ব্লগ, শত আবেগের মিশ্রণ আর অনুভূতির পূর্ণতার নাম আমার বাংলা ব্লগ। স্বাধীন সত্বায় স্বকীয়তায় চঞ্চল থাকার নাম আমার বাংলা ব্লগ, মাতৃভাষায় নিজেকে প্রকাশ করার নাম আমার বাংলা ব্লগ।
একটা অন্য রকম চাহিদা ছিলো হৃদয়ের মাঝে, একটা সুপ্ত বাসনা ছিলো হৃদয়ের মাঝে, যদি বাংলা নির্ভর একটা সুন্দর কমিউনিটি থাকতো, যদি বাংলায় হৃদয়ের সকল অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ থাকতো, তাহলে হয়তো আমরা ভালো কিছু করার এবং নতুন একটা অবস্থান তৈরীর সুযোগ পেতাম। ঠিক সে সময় দাদার একটা পোষ্ট দেখতে পাই, সাথে সাথে সেখানে মন্তব্য করি, যদিও দাদা কে, তার অবস্থান কোথায়? কিছুই আমার জানা ছিলো না, কিন্তু ভাষার প্রতি একটা মমতা এবং ভালোবাসা ছিলো। আর সেই ভাষার টানেই দাদার সাথে সংযুক্ত হওয়া, তার সান্নিধ্য লাভ করা, আন্তরিকভাবে কমিউনিটিতে কাজ করা। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন কমিউনিটি খোলা হয়েছে।
শুভ জন্মদিন আমার বাংলা ব্লগ, তোমার সাথে-তোমার পাশে ভালোবাসার এই পরশে থাকতে চাই আজীবন। ধন্যবাদ নয় আজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইছি দাদার প্রতি, দাদার পরিবারের প্রতি এবং আমার বাংলা ব্লগের সকল এ্যাডমিন, মডারেটর ও ইউজারদের প্রতি। ভালোবাসার রঙিন পরশে সবার জীবন থাকুক রঙিন। শুভ জন্মদিন আমার বাংলা ব্লগ।
তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এক্সিকিউটিভ এ্যাডমিন @winkles ভাই, ৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। দেখতে দেখতে আমরা তিনটি বছর একসাথে অতিবাহিত করেছি। সময় যে কত দ্রুত চলে যায় সেটা বুঝাই যায় না তেমনি সুখে দুখে সবাই একসাথে কাটিয়েছি । আসলে নতুন করে তেমন কিছুই বলার নেই, নানা মাধ্যমে সব কিছুই বলা দেয়া হয়েছে। একটা বিষয়ে একটা জিনিষ ভালো লাগলো যে, আমাদের কমিউনিটিতে এখন অল টাইম দুইশো প্লাস এ্যাকটিভ ইউজার এ্যাকটিভ থাকে আগের তুলনায় যেটা অনেকটাই বেশী। কারণ আগে অনেকটাই কম ছিলো। ইতিমধ্যে আপনাদের সাপোর্ট এর জন্য অনেক প্রজেক্ট রান করা হয়েছে। পরবর্তীতে করা হবে। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরে লেগে থাকার অনুরোধ করেন এবং ভালো কাজ করার আহবান জানান। ভালো কিছু তাদের হবে যারা ভালো এ্যাক্টিভিটিস বজায় রেখে চলেছেন। বাহিরে থাকার কারনে আর বেশী কিছু না বলে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করেন।
এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @swagata21 দিদি, প্রথমেই শুভ জন্মদিন জানাই আমার বাংলা ব্লগকে। আজ ১১ জুন ২০২৪ আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ এর ১১ই জুন আমার বাংলা ব্লগ সবার সামনে প্রথম এসেছিলো। এই তিনটি বছর জার্নির শুরুতে কম মনে হলেও অনেক ভালো ও খারাপ সময় স্বাক্ষী ছিলাম। অনেক ঝড়-ঝাপটা এসেছে যেগুলো আমরা সবাই মিলে সমাধান করে পেরিয়ে এসেছি। এই তিনটি বছর আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে অনুভূতি বলতে গেলে হয়তো অনেক কথাই হয়ে যাবে, এতোটাই আদিজ্য দিয়েছি এই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মধ্যে। যখন প্রথম জয়েন করেছি তখন এটা ভাবতে ভালো লাগে, আমি সকলের মতোই এখানে লেভেল ১ হতে ৫ পর্যন্ত পাশ করে ভেরিফাইড মেম্বার হয়েছি। ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার যে কি আনন্দ, সেটা প্রকাশ করা সম্ভব না। আমি যখন এখানে এসেছি তখন কিন্তু একদম প্রথম ব্যাচের স্টুডেন্ট তাই খানিকটা বেশী সময় লেগেছিলো ভেরিফাইড হতে। তাই এর অনুভূতিটা একদমই আলাদা।
তাছাড়া প্রতি মুহুর্তে আমাদের দাদা যার কথা একেবারেই না বললেই নয় পুরোটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। প্রতি মুহুর্তে দাদা কিন্তু আমাদের সাপোর্ট করে যাচ্ছে। আমি একটা দিনও দেখিনি যে কোন অনুষ্ঠান হোক, কোন ব্যস্ততা কিছু সময় বের করে দাদা আমাদের প্রতি মুহুর্তে ভোট দিয়েছেন বা সাপোর্ট করেছেন। একটা দিনও বা এক ফোঁটা ভোটও কোন দিন মিস যায়নি। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের সময় দেয়া, আমাদের কতটা গুরুত্ব দিলে দাদা প্রতিদিন শত ব্যস্ততার মধ্যেও সেই সময়টুকু বের করে দাদা আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছেন। আমরা কিন্তু কখনোই এভাবে পারি না কারন সব দিনতো সবার একই রকম যায় না। এই জায়গাটা নিয়ে দাদা কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের সাপোর্ট করে যাচ্ছে। তারপরও সব কিছু আরো কিভাবে আপডেট করা যায়, আরো কিভাবে নতুন নতুন ফিচার আনা যায়, কিভাবে আমরা এখানে আর্ন করতে পারি, সব বিষয়ে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। আমার বাংলা ব্লগ সকলের কাছে একটা আবেগের জায়গা, যেখানে বাংলা ভাষাকে মানুষ খুব একটা গুরুত্ব দিতে চায় না সেখানে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি বাংলা ভাষাকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে, এমন গর্বের বিষয় মনে হয় আর কিছু হতে পারে না।
আমাদের মাতৃভাষা হচ্ছে বাংলা, এখানে কিন্তু আমরা বাংলা ভাষায় লিখতে পারছি, মনের অনুভূতি শেয়ার করতে পারছি। সমস্ত সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিচ্ছি। এই বাংলা ব্লগ আমাদের বাংলা লেখার ক্ষেত্রে আলাদা একটা স্বাধীনতার মাত্রা এনে দিয়েছেন। আর প্রতি মুহুর্তে কমিউনিটি হতে অনেক কিছু শিখেছি, প্রত্যেক ইউজারদের কাছ হতে এখনো শিখছি, প্রত্যেক এ্যাডমিন, মডারেটর ভাই বোনদের কাছ হতেও শিখছি। আসলে এখানে শেখার কোন শেষ নেই। যাদের কথা না বললেই নয়, তারা হলেন আমাদের কমিউনিটির প্রত্যেক এ্যাডমিন, মডারেটর ভাই বোনদের কথা, প্রতি মুহুর্তে প্রত্যেক ইউজারকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, কিভাবে তারা কাজ করবে বা কোন ভুল হলে প্রতি মুহুর্তে সেটা সংশোধন করে দিচ্ছে। তাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট যেন ঠিক মতো নমিনেশন পায় সেই প্রচেষ্টা কিন্তু এই ভাই বোনরাই করছে। সেখান হতে এ্যাডমিন, মডারেটরগণ খুবই দক্ষ এবং আন্তরিক, এটাই আমাদের এই পরিবারের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের এই পরিবারের ইউজার যাদের ছাড়া কিন্তু পরিবারের কোন গুরুত্ব নেই। আমার বাংলা ব্লগ অনেক অনেক দূর এগিয়ে যাক, অনেক অনেক সাফল্য পাক, তার সাথে সাথে ওপার- এপার বাংলার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হোক এই কামনা করছি, সবাই খুব ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সাবইকে।
তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @nusuranur আপু, শুভ জন্মদিন আমার বাংলা ব্লগ।প্রথমেই সকলকে জানাই আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা। দেখতে দেখতে কি করে তিনটি বছর চলে গেলো যেন বুঝতেই পারিনি। এইতো সেদিন যেন মনে হচ্ছে যে, আমরা সকলে মিলে প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছি। কিন্তু আজকে আমরা তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করছি। যেটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। আমার বাংলা ব্লগের একটি অংশ হতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং আবেগের ও সম্মানের। আজকের এই দিনটাকে ঘিরে উদ্দীপনা ছিলো অনেকটা আগে থেকেই। অনেকটা সময়,অনেকটা অভিজ্ঞতা এবং সে সাথে অনেক বেশি ভালোবাসার জায়গা। তাই দাদাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। কশুধুমাত্র এই মনের ভাবটিই ব্যক্ত করবো যে, আমাদের আমার বাংলা ব্লগ পরিবার আমার কাছে নিজের পরিবারের মতোন ই খুব যত্নের,খুব ভালোবাসার,খুব নিজের।
যেটা তৈরি করে দিয়েছেন দাদা।দাদার এই কমিউনিটির জন্যই আজকে এখানে আমাদের অস্তিত্ব সর্বোচ্চে।এই কমিউনিটির জন্যেই এই প্লাটফর্মে আমাদের মাতৃভাষার এতো গৌরব। আরও যে প্রিয় মানুষগুলোর নাম উল্লেখ না করলেই নয়। সেটা হচ্ছে তনুজা বৌদি এবং ব্ল্যাক্স ভাই ও উনার ভালোবাসার মানুষ।শুরু থেকেই আমাদেরকে নিজের পরিবারের মতো করেই আগলে রেখেছেন,আন্তরিক সব পরামর্শ ও সহযোগিতার মাধ্যমে। সে সাথে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার কলিগদের।আর সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ দিতে চাই আপনাদের। অর্থাৎ যারা শুরু থেকে আমাদের সাথে রয়েছেন। তিন বছরে এই কমিউনিটিকে যেমনটা দেখছি। তার ত্রিশ বছর পরেও এই কমিউনিটিকে এমনটাই দেখতে চাই,কমিউনিটির সাথে এমন ভাবেই থাকতে চাই। শুভ জন্মদিন আমার বাংলা ব্লগ।
এরপর কথা বলেন কমিউনিটির অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স) @rex-sumon সুমন ভাই, প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা দাদা এবং কো ফাউন্ডার ব্ল্যাকস ভাইয়ের প্রতি। আজকে আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় জন্মদিন, গত তিনটি বছর ধরে কমিউনিটি আমাদেরকে অনেক কিছু করেছে, আমাদের জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ এই বাংলা ব্লগ। আমাদের জীবনের বিশাল পরিবর্তন এনেছে সেটা আসলে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কমিউনিটির জন্মলগ্ন হতে আমরা ভালো মন্দ সব সময়ই পার করেছি। দাদার ইচ্ছা এবং পরিশ্রমে তিলে তিলে এই কমিউনিটি পেয়েছে পূর্ণতা। প্রথমে ছিলো অগোছালো, সেখান হতে আসলে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এখনকার এই পর্যায়। কমিউনিটির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যেটা সেটা হলো, সবার মাঝে যে পারস্পরিক শ্রদ্ধবোধ, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আর ভালোবাসার মানসিকতা তৈরী হয়েছে। আর একটা সাধারণ কমিউনিটি যেটা খুবই সাধারণ ছিলো সেটা ধীরে ধীরে অসাধারণ হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে, সেটা আসলে অকল্পনীয়। এই মুহুর্তে, এই যে আমাদের অনুভূতির যে গভীরতাটা এটা আসলে কথায় বলে কেউ প্রকাশ করতে পারবে কিনা, আমাদের যে কলিগরা আছে আমি বুঝি তাদের মনে অবস্থাটা যে কত বড় একটা আবেগের জায়গা এটা।
নিঃস্বার্থ যে আকাংখা এই কমিউনিটি ঘিরে, তারপর আমাদের কমিউনিটির যে সাধারণ বৈশিষ্ট্যের বাহিরে রেখেছে, সব সময় অন্যান্য যে কমিউনিটির যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে তার চেয়ে আমাদের কমিউনিটি একটু আলাদা। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের দাদার নিঃস্বার্থ আকাংখা, আমাদের সবাইকে নিয়ে যে চিন্তাটা আর বাংলার প্রতি শ্রদ্ধাটা নিয়ে বাংলা ভাষার প্রতি কিছু করার আকাংখা এগুলো থেকেই। আসলে দাদার থেকেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। দাদা নিপুণ কৌশলে বাংলা ব্লগ পুরো স্টিমিটে রুল মডেল এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর অগণিত সফলতা আছে আমাদের। আমরা সব সময়ই চেষ্টা করেছি যে, ইউজারদের নিয়ে কাজ করার জন্য, বাংলা ব্লগকে নিয়ে কাজ করার জন্য। আমরা যখন কোন ভুল করেছি দাদা সব সময় আমাদের শিখিয়েছে, প্রতিনিয়ত দাদার থেকে আমরা শিখেছি। এই যে ভালোবাসা নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয়, অর্থই আসলে সব কিছু না, বিষয়গুলো বাংলা ব্লগ খুবই স্পষ্ট।
এই আমাদের কমিউনিটি আজকে এই পর্যায়ে আসা তিন বছর উদযাপন, প্রথম বছর যখন উদযাপন করলাম তখন আসলে এতো দূর আসতে পারবো তখন হয়তো ভাবলে ভাবা যেতো কিন্তু এতো দূর দৃষ্টি তখন আসলে আমাদের জাগ্রত হয় নাই তখনো। কিন্তু প্রথম বছরের অনুষ্ঠানটা যখন উদযাপন করলাম তখন আমরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি আরো অনেক দূর যাবো। তৃতীয় বছর এসে এখনো সময়টা অনেক সংকীর্ণ মনে হয়। খেয়াল করবেন ভালো সময়গুলোতে সংকীর্ণতা অনেক বেশী। খুব দ্রুতই মনে হয় চলে যায়। আসলে আমাদের সকলের কাছেই এমন যারা আমরা প্রথম থেকেই আছি। এই কমিউনিটির প্রতি আমার অপার ভালোবাসা, শুভ জন্মদিন আমার বাংলা ব্লগ। বাংলা ব্লগ ধন্য-আরএমই দাদার জন্য। আর আমার সকল সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, আমরা সব সময় সকল ধরনের চড়াই উৎরাই এক সঙ্গে পাড়ি দিয়েছি। দাদার গাইডলাইন ফলো করে সব সমস্যার সমাধান করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের কমিউনিটিটা আসলেই সুন্দর।
তারপর কমিউনিটির এ্যাডমিন (উইটনেস এবং ডেভ টীম) @moh.arif আরিফ ভাই কথা বলেন, সকলকে প্রথমে আমার বাংলা ব্লগে তৃতীয় বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । শুভ জন্মদিন আমার বাংলা ব্লগ। প্রথমেই আমি আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত ফাউন্ডার rme দাদাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েই আমার বক্তব্য শুরু করছি। আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে যে একটি বৃহৎ কোন কিছু গড়ে তোলা সম্ভব , আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি হচ্ছে তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ । কেননা আমরা তো বেশ কয়েকজন আছি যারা একবারে জন্মলগ্ন থেকে আমার বাংলা ব্লগার সাথে আছি। আমরা দেখেছি কিভাবে ছোট্ট একটা কমিউনিটি আজ তিলতিল করে এত বড় কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে । আমি যখন শুরুতে স্টিমিটে ব্লগিং করতাম , সাধারণত আমি জেনারেল ব্লগিং গুলো তেমন একটা পারতাম না ।
যেহেতু আমি প্রোগ্রামিং লাইনের লোক , প্রোগ্রামিং টিউটোরিয়াল জাতীয় পোস্টগুলো আমার শুরু থেকে বেশি করা হতো । সত্যি বলতে আমি যত ভালো পোস্টে করতাম না কেন সাপোর্টের পরিমাণ ছিল খুবই কম । এছাড়া যেহেতু এগুলো টিউটোরিয়াল বেস পোস্ট ছিল । প্রচুর সময় ও ধৈর্য নিয়ে করতাম কিন্তু তার পরিবর্তে ফলাফল ছিল শুন্য। আসলে এক কথায় আমার বাংলা ব্লগ আমাদের মত ব্লগারদের জন্য একটি খুব ভালো একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিল ওই সময় । যার একমাত্র ক্রেডিট সম্পুর্ন rme দাদার । একসময় steemit এ বাংলা ভাষাভাষি লেখা গুলোকে খুবই খারাপ চোখে দেখা হতো, সাপোর্ট তো দূরের কথা একসময় এমনকি, এমনও প্রচলন ছিল যে কি বাংলা ভাষায় কোন পোস্ট দেখলে সেটা কে ডাউনভোট দেওয়া হতো । কিন্তু এই ধারনা টি সম্পূর্ণ পাল্টে দেয় আমাদের rme দাদা । আসলে পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষই তার নিজের মাতৃভাষা লিখতে এবং বলতে খুব সাচ্ছন্দ বোধ করে । আমার বাংলা ব্লগ আমাদেরকে এই সুযোগটিই করে দিয়েছেন ।
আপনারা একটিবার চিন্তা করুন যদি আমাদের কমিউনিটি বাংলা ভাষায় না হয়ে অন্য ভাষায় হতো । তাহলে আমরা কি প্রতিনিয়ত এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি কিংবা তাই কিংবা জেনারেল রাইটিং পোস্ট গুলো তৈরি করতে পারতাম । আমার মতে অবশ্যই পারতাম না, কেননা আমরা মাতৃভাষায় বাংলায় যেভাবে স্বচ্ছন্দে নিজের মনোভাবটা প্রকাশ করতে পারি অন্য ভাষায় সেটা কখনোই সম্ভব? অবশ্যই না । যদিও আমরা সবাই টুকটাক ইংরেজি জানি কিন্তু ইংরেজিতে একটি পোস্ট করতে যেখানে আমাদের ১ ঘন্টা লাগতো সেখানে বাংলায় করতে সর্বোচ্চ আধা ঘন্টা লাগবে । এই সকল বিষয় গুলো আসলে আমার বাংলা ব্লগকে অন্যান্য সকল কমিউনিটি থেকে আলাদা এবং একমাত্র কমিউনিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে । সত্যি বলতে যখন আমি শুরুতে আমার বাংলা ব্লগ এ জয়েন করি, তখন শুধুমাত্র ১২ কি ১৩ জন ডিস্কোড মেম্বার ছিল । আর বর্তমানে কতজন মেম্বার সেটা তো আপনারা নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন । ওই সময়ই আমি জানতাম এই কমিউনিটি একদিন অনেক বড় হবে কিন্তু এত দ্রুত এত আল্প সময়ে এত বড় হবে সেটা কখনো চিন্তা করিনি । এর অবদান অবশ্যই আমাদের সকলের আমাদের কমিউনিটি সকল সম্মানিত মেম্বাররগণ ও। কেননা আপনাদের সহযোগিতা ব্যতীত এতদুর আশা অসম্ভব ছিল।
আসলে কমিউনিটি মানেই তো এমন যে, যেখানে প্রত্যেকে তার নিজের মতামত গুলো সুন্দর ভাবে প্রকাশ করতে পারবে । প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সুখ দুঃখ ভালোবাসা গুলা , লিখে জানাতে পারবে। এবং আমরা আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কে এমন কমিউনিটি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এটাই হয়তো আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। কেন না, কি নেই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে, চ্যারিটি থেকে শুরু করে ফান আড্ডা মজা গান কবিতা, আর্ট রান্না বান্না সবই তো আছে। এভাবে চলতে থাকুক আমার বাংলা ব্লগ অনন্তকাল.. যেন কোন একদিন আমার পরবর্তী প্রজন্ম ও এসে আমার বাংলা ব্লগে ব্লগিং করতে পারে। ধন্যবাদ সকল কে।
কমিউনিটির এ্যাডমিন (সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং) @shuvo35 শুভ ভাই কথা বলেন এরপর, আমার কাছে জীবনটা অনেকটাই স্পিন বলের মতো যেহেতু মেডিকেল সাইন্স এর স্টুডেন্ট ছিলাম। সেখান হতে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেলাম মানে পেশা ছেড়ে দিলাম তারপর লেখালেখি ধ্যান জ্ঞান সব কিছু। বলতে গেলে আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটা টোটালি মিরাক্কেল। আমি প্রতিনিয়ত শিখছি এবং শেখার চেষ্টা করছি। আমি অনেক অনেক অনেক ভুল করি, যেটা আসলে বলার বাহিরে। তারপরও আমার শ্রদ্ধাভাজন প্রতিষ্ঠাতা, আমার সহকারী প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার কলিগরা প্রতিনিয়ত আমাকে যেভাবে গাইড করে বা সহযোগিতা করেন, আমি মনে করি এটা আমার লাইফে অনেক বড় একটা পাওয়া। যাইহোক, আমি কিছু অনুভূতি শেয়ার করছি নিজের অবস্থান হতে। ৩য় বছর কত লম্বা সময় তাই না, মনে হলো যেন চোখের পলকের মতো সময়গুলো কেটে গেলো। এমনটা হওয়াটাই নিতান্ত স্বাভাবিক যেখানে দিনের বেশীর ভাগ সময় কাটাই। আর যাই হোক সময়কে তো বেঁধে রাখা যায় না। এখানে পিছনে ফিরে তাকানোর কোন অবকাশ নেই, বলতে গেলে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে এটাই মুল লক্ষ্য।
আজকের এই বিশেষ দিনে অন্তরের অন্তস্থল হতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি কৃতজ্ঞ এই কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সহ প্রতিষ্ঠাতার কাছে । আমার সকল কলিগ ও প্রাণপ্রিয় সদস্যদের জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। হয়তো এই দীর্ঘ সময় চলার পথে অনেক রকম ভুল ভ্রান্তি হয়েছিলো, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে আসলে কেউ না, এতো কিছুর পরও অনেক কিছুতে হয়তো ত্রুটি থেকে গিয়েছিলো, সেদিক হতে সত্যি আমি আবারও ক্ষমা চাচ্ছি। আরো বলতে চাই সকলের জন্য ভালোবাসা নিরন্তর। হিংসা বিদ্ধেষ দূর হোক, স্বচ্ছতা ফিরে আসুক অন্তরে, নোংরা প্রতিযোগিতায় না মেতে উঠে হোক আনন্দময়। ধন্যবাদ সবাইকে।
এরপর কমিউনিটির মডারেটরগণ কথা বলেন, শুরুতে মডারেটর @alsarzilsiam ভাই বলেন, প্রথমেই, সবাইকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের সকলের দাদাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই আমাদের জন্য এমন একটি কমিউনিটি চালু করার জন্য।আমার বাংলা ব্লগ একটি পরিবার এবং এই পরিবারের সকলকে একত্রিত করেছেন আমাদের সকলের বড় দাদা ও ছোট দাদা। আমাদের এই কমিউনিটির জন্য উনারা যেসব ত্যাগের স্বীকার করেছেন সেগুলো হয়তো আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারব না। এই যেমন একটু উদাহরণ দেই, বড় দাদার পরিবারের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, কিন্তু তারপরও তিনি কিউরেশন কোনদিন বন্ধ করেননি, এরকম মন মানসিকতা নিয়েই তিনি আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে আছেন গত তিন বছর ধরে।
বড় দাদার ছত্রছায়ায় আমরা বেড়ে উঠেছি এবং তৈরি করেছি একটি শক্তিশালী তো কমিউনিটি যেই কমিউনিটি বর্তমানে প্রথম স্থানে রয়েছে। যে কোন বিপদ আপদে বড়দাদা সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন এবং উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে এই কমিউনিটিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এই কমিউনিটি থেকে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি, যেসব পেয়েছি সেসব ঋণ কখনো শোধ করার মত নয়। তবে আজকের এই দিনে দাদাকে প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আমার বাংলা ব্লগের জন্মদিনে সকলকেই আবারও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেই সাথে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির যাত্রা আরো বহু দূর হবে এই প্রত্যাশা কামনা করছি, ধন্যবাদ সবাইকে।
এরপর কমিউনিটির মডারেটর @rupok ভাই নিজের অনুভূতি লিখে শেয়ার করেন, প্রথমেই সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেখতে দেখতে আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি বছর পার হয়ে গেলো। ভাবতেও অবাক লাগে আমরা তিনটি বছর পার করে ফেলেছি। এই তিনটি বছরে জমা হয়েছে অসংখ্য ভালোলাগার মুহূর্ত। পেয়েছি অনেক কিছু। না পাওয়ার খাতাটা রয়েছে শুন্য। দাদার মতো এমন চমৎকার একজন অভিভাবক পেয়েছি। পেয়েছি চমৎকার কিছু সহকর্মীকে। আর সেই সাথে রয়েছে দারুন কিছু কমিউনিটি মেম্বার যাদের সাথে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আশা করি এভাবেই আরো অনেক বছর অনেকগুলো দিন একসাথেই পথ পাড়ি দেবো। আমার বাংলা ব্লগের আরো সাফল্য কামনা করছি। সেই সাথে দাদা এবং আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
এরপর কমিউনিটির মডারেটর @kingporos ভাই বলেন, নমস্কার! শুরুতেই আমি আমার বাংলা ব্লগের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেলে সফলতা নিশ্চিত, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো আমার বাংলা ব্লগ। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা RME দাদা এবং সহকারী প্রতিষ্ঠাতা ব্ল্যাকসের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে যে কমিউনিটি ৬৭ নম্বর রাঙ্কিংয়ে শুরু করে তা বছর না ঘুরতেই ২ নম্বরে উঠে আসে। তারপর কাঙ্খিত ১ নম্বরে উঠে আসে। আর সেই যে ১ নম্বরে উঠে আসা তারপরে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আজ আমার বাংলা ব্লগে ২০০ অধিক একটিভ ব্লগার আছেন। আর এই সফলতার মূল কান্ডারী হলেন আমাদের প্রতিষ্ঠাতা এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা। আমার বাংলার ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে তাদের জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। তার পাশাপাশি আমার বাংলা ব্লগের সমস্ত এডমিন মডারেটর এবং সমস্ত সদস্যদের কেউ জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
একটা কমিউনিটি কিভাবে বহু মানুষের মেলবন্ধন তৈরি করে দিতে সক্ষম হয় সেটা আমার বাংলা ব্লগ করে দেখিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে তো বটেই পৃথিবীর অনেক দেশের বাঙালির কাছে আজ সেন্ট্রালাইজড প্লাটফর্মে একটাই গন্তব্য তা হলো আমার বাংলা ব্লগ। নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারা কিংবা লিখতে পারার মধ্যে যে শান্তি পাওয়া যায় সেটা অন্য কিছুতে নেই। সেই জায়গাটাই আমাদের দিয়েছে আমার বাংলা ব্লগ। সেই সুবাদে আমাদের সকলের ভালোবাসা এবং ভালোলাগার জায়গা হয়ে উঠেছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। পরিশেষে আমার বাংলা ব্লগ এর তৃতীয় জন্মবার্ষিকীতে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আমার বাংলা ব্লগ দীর্ঘজীবি হোক। আরো এগিয়ে যাক। জয় আমার বাংলা ব্লগ।
পরের পর্বে রিপোর্টের বাকি অংশ থাকবে।
ধন্যবাদ
@hafizullah
আমার বাংলা ব্লগ- ৩য় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউটটি অনেক অনেক বেশি উপভোগ করেছিলাম ভাই। সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে এডমিন মডারেটরদের গান এবং কবিতা আবৃত্তি। আবার দাদার গান শুনতে পারাতে সেদিন নিজেকেও ধন্য মনে করেছিলাম। কারণ সচরাচর কেউই দাদার গান শুনতে পারবো না। যাইহোক সর্বোপরি সবদিক থেকে অনেক বেশি উপভোগ করেছিলাম ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি ভাইয়া বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম এবারের অনুষ্ঠানে। এতগুলো মানুষের মিলন মেলা কি আর না সুন্দর হয়ে পারে। আপনার এত সুন্দর অনুভুতি পড়ে আনন্দটা আরও একধাপ এগিয়ে গেল।ধন্যবাদ সুন্দর করে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট বিশেষ ভাবেই কেটেছিল।বিশেষ ভালো লাগা ছিল সকলের মনেই।এতো আয়োজন ছিল যে এর রিপোর্ট এক পর্বে প্রকাশ করা সম্ভব হওয়ার কথা ও নয়।অনেক বেশি আনন্দ, উল্লাসে কেটেছিল দিনটি।আমি তো শেষ পর্যন্তই ছিলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ই হ্যাং আউটের রিপোর্ট তুলে ধরেছেন।এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া আপনাকে।
৩য় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে দেখতে দেখতে তিনটি বছর পার হয়ে গেল। আর এই বিশেষ হ্যাংআউট এর মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। অনেক আনন্দ হাসি মজার সাথে আমরা পার করেছি। আর নানা রকমের গিফটের আয়োজনে যেন ভরপুর ছিল। বিনোদন গুলো আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিপোর্ট করেছেন। রিপোর্টটা পড়ে আরো ভালো লাগলো।
৩য় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউটের প্রতিটি মুহূর্ত অসাধারণ ছিল। আমরা সবাই অনেক উপভোগ করেছি। এরকম সুন্দর মুহূর্ত গুলো যেন বারবার আসে এই প্রার্থনাই করি সব সময়। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে এই রিপোর্টে হ্যাংআউটের প্রতিটি মুহূর্ত আবারো উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
৩য় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি বিস্তারিত আবারো আলোচনা করলেন। দেখতে দেখতে তিনটি বছর পার হয়ে গেল। আর এই হ্যাংআউটের মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। আনন্দ হাসির সাথে আমরা একসাথে পার করলাম। সত্যি এভাবেই যেন বছরের পর বছর আমরা আবারো নতুন বছরের হ্যাংআউট পালন করতে পারি।
আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউটে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে সবার অনুভূতি শেয়ার করার বিষয় টি অনেক ভালো লাগছিলো । সেই সময় গুলো অনেক বেশি উপভোগ করেছিলাম। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের থেকে বিগত হয়ে গেলো। সেদিনের অপেক্ষায় রইবো আমরা আবারো চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আবারো এরকম একটি মুহূর্ত কাটাবো। সবার জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যাংআউট মানেই আমার বাংলা ব্লগবাসীর মিলন মেলা। আর আমরা সবাই মিলে সত্যি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। এই সময়গুলো সারা জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী দারুন আয়োজন করা হয়েছিল। আর সকলের সাথে সুন্দর সময় কাটাতেও ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর করে নিজের অনুভূতি আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সত্যি আমরা একটা স্হায়ী প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখানে আমরা আমাদের সকল মতামত মন খুলে প্রকাশ করতে পারি।আর দেখতে দেখতে আমরা তিনটি বছর কাটিয়ে দিলাম। এভাবেই আমরা সবাই সুখে দুঃখে সারাটা জীবন এক সাথে থাকতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো রিপোর্ট সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।