আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ বোকামি ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। যদিও চারপাশের ভিন্ন প্রতিযোগিতায় মাঝে মাঝে নিস্তেজ হয়ে যেতে বাধ্য হই, কারন অসুস্থ এক প্রতিযোগিতায় আমরা সবাই নিদারুণভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও বোকা হিসেবে আমি সব সময়ই একটু পিছিয়ে থাকি এবং সকলের কাছে বোকা হিসেবেই থাকতে পছন্দ করি। ঐ যে বলে না যার হয় না নয় বছরে তার হবে না নব্বই বছরে, এই কথাটা কেন জানি আমার ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য হয়ে যায়, হি হি হি।
না না না, তাতে আমি মোটেও দুখী নই বরং মাঝে মাঝে খুশিই হয়ে থাকি কারন অন্তত কেউতো আমাকে বোকা হিসেবে মেনে নিয়ে খুশি হচ্ছেন। আজকাল তো কেউ কাউকে খুব সহজে খুশি করতে পারেন না, সেখানে আমি না হয় একটু সহজেই কাউকে কাউকে খুশি করে দিলাম, এটা কম কিসে? হি হি হি। আমার বোকামির একটা দৃষ্টান্ত দিচ্ছি আজকে, খবরদার কেউ ভুলেও হাততে যাবেন না, পরে আবার ঠোঁট ফেটে যেতে পারে হা হা হা। আমি কখনোই চা পছন্দ করি না, শীতের সিজনে কাশির ভয়ে মাঝে মাঝে মসলা এবং খুব বেশী করে আদা দিয়ে একটু খেয়ে থাকি। তাও তার সাথে আবার তুলসি পাতা থাকা চাই।
তো, আমার বোকামির তত্ত্বটা হলো, টাকা দিয়ে গরম চা কিনে সেটাকে আবার কেন ফু মেরে ঠান্ডা করে খাবো? সরাসরি ঠান্ডা পানি খেলেই তো হয়ে যায়, এতো খরচা করার দরকারটা কি? এটা কেন জানি আমার মাথায় ঢুকে না আর আমিও টাকা দিয়ে এই চা কিনে খাওয়াটা পছন্দ করতে পারি না। থামেন থামেন যারা চা পছন্দ করেন তারা আবার আমার বিরুদ্ধে মামলা করার চিন্তা করিয়েন না, আমিও আগেই বলে দিয়েছি বোকার বিষয়টি, সুতরাং একটা বোকা মানুষ হিসেবে এই রকম আজগুবি তত্ত্ব উপস্থাপন করতেই পারি, কি বলেন? হি হি হি।
আসলে এটাই আমাদের সমাজের বাস্তবতা, আমরা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছি, আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে আর রুচির কথা কিই বা বলবো? সেখানে তো দারুণ উন্নতি সাধন হয়েছে আমাদের। উন্নতি ঘটাতে ঘটাতে এখন এমন চাল খাওয়া শুরু করেছি যেখানে ভিটামিন তো থাকেই না বরং শত রোগের শত জীবাণু নিরাপদে ঢুকে যায় আমাদের বিশাল দেহের মাঝে। অনেকটা এমন যে, আমরা ঢালাই করে তাদের পাকা সড়ক করে দিচ্ছি আর তারা বুলেট ট্রেনে চড়ে আমাদের দেহের মাঝে হাসিমুখে ঢুকে যাচ্ছে। তারপর এক এক করে তাদের রোগের বংশ বিস্তার করছে।
বিষয়টি কিন্তু সত্যিই এমন, না হলে ধান হতে চাল সংগ্রহ করে সেটার উপরিভাগ ছাটতে ছাটতে এতো সরু করে ফেলি যে, সেটা কোন জাতের ধান বা চাল সেটা চেনাই মুশকিল হয়ে যায়। আবার সেটাকে আমরা বেশ দামী চাল হিসেবে বাজারজাত করছি, তারপর আমরা যারা অতি চালাক তারা সানন্দে চিত্তে সেগুলো কিনে বাড়িতে নিয়ে আসছি। ঘটনা কিন্তু এখানেই শেষ না, এরপর ভাত রান্নার পর পুনরায় সেগুলোর নির্যাস মানে ভাতের মার ফেলে দিচ্ছি, তাহলে বলুন তো আর বাকি থাকলো কি? শুধু চালের ছোবা, সেটা খেয়েই আমরা বিস্তর খুশি থাকছি, বোকামির সংজ্ঞা চেঞ্জ হওয়া উচিত।
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ এমনটা করে থাকে। আমাদের বাসায়ও আগে এমনটা করতো। কিন্তু আমি বলতে বলতে এখন নিয়ম পরিবর্তন করেছি। আমি বলেছি ভাত যাতে রাইস কুকারে রান্না করা হয়। এতে করে ভাতের মাড় ফেলতে পারে না আর হা হা হা। এখন অবশ্য সবারই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। যাইহোক আমরা আসলে নিজের অজান্তেই বোকার মতো কাজ করে ফেলি অনেক সময়। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দেখছি চালাকের দলে চলে গেছেন, রাইস কুকার আছে বাড়িতে কিন্তু গিন্নি সেটাতে রান্না করতে চায় না।
ভাবীকে বলবেন রাইস কুকারে ভাত রান্না না করলে, বাসায় আর খাওয়া দাওয়া করবোই না হা হা হা। তাহলে বাধ্য হয়ে রাইস কুকারে ভাত রান্না করবে।
আমাদের বাড়িতে এক ভদ্র পাগল এসে সবসময় বলে,
" মেশিনে চাল খেয়ে আমাদের মাথা গরম থাকে। " এটা আমার কাছে তাই মনে হয়। আগে ঢেঁকি ভাঙা চাল থেকে ভাত খেতাম। আমাদের মানসিকতাও ভালো থাকতো। আর আপনি কিন্তু বোকা না, বোকা হলে কেউ মুলো পছন্দ করে নাকি 😁
এটা একদমই সত্য কথা ভাই এবং বিজ্ঞান দ্বারাও প্রমাণীত। আমরা ইচ্ছে করেই নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছি।
ক্ষতি জেনেও খেতে হবে, উপায় নেই এছাড়া 🙂
হি হি,আপনি একা নয় ভাইয়া, আমিও কিন্তু আছি ওই বোকার দলে।দারুন সব উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন ভাইয়া, খুবই ভালো লাগলো বাস্তব বিষয় সম্পর্কে পড়ে।তবে হ্যাঁ,চা প্রেমীরা ক্ষেপে যেতে পারে☺️☺️.ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম, মনে মনে এই ভয়টা আমিও পাইছি হি হি হি
☺️☺️