হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি ঠিক ঠাক আছি, যদিও মাঝ খানে বেশ কিছুটা সমস্যা তৈরী হয়েছিলো। আসলে চারদিকে যে অবস্থা তৈরী হয়েছিলো বিশেষ করে ঈদের পর, একটা অন্য রকম ভয় ঢুকে গিয়েছিলো মনের মাঝে। কারণ একজন অসুস্থ্য হলেই বাড়ীর সবাই অসুস্থ্য হয়ে যাচ্ছিলো। এটা সত্যি ভয়ের কারন ছিলো, কারন পরিবারের সবাই একই রকম হয় না, স্বাস্থ্যের দিক হতেও সবাই একই রকম ফিট থাকে না। সত্যি বলতে সকলের সহ্য ক্ষমতা সেইম থাকে না, যার কারনে একটা অন্যরকম ভয় কাজ করে মনের মাঝে। দেখুন কোন সমস্যা হলে আমি যতটা সহ্য করতে পারবো, আমার পরিবারের সবাই কিন্তু সেটা পারবে না, এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া সমস্যার বিষয়টি সবাই ঠিক মতো উপস্থাপন করতে পারে না, আর সমস্যার বিষয়টি ঠিক মতো প্রকাশ করতে না পারলে, সমস্যাটি আরো বেশী জটিল হয়ে উঠার সুযোগ তৈরী হয়।
যাইহোক, ভয়টা অল্পতেই কেটে গিয়েছিলো, এই জন্য উপরওয়ালার কাছে কৃতজ্ঞ। দেখুন সমস্যা কিংবা অসুখ এক ধররে পরীক্ষা, এসব ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকভাবে আরো বেশী ধৈর্য ধারণ করতে হয়। কারন অসুখ বিসুখে হুট করেই কোন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক না, যদিও বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখাই, সামান্য হতে সামান্য অসুখ হলেই মানুষ হায় হুতাশ শুরু করে দেয় এবং কাংখিত ডাক্তার এর কাছে না গিয়ে, ফার্মেসী হতেই ঔষধ এনেই কাজ সারার চেষ্টা করছেন কিন্তু পরবর্তীতে তা আরো বেশী সমস্যা তৈরী করে। এই জন্য শুধু অসুখ বিসুখের ক্ষেত্রেই না বরং বাস্তব জীবনের যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে ধীরে সুস্থ্যে বা ধৈর্য নিয়ে তা মোকাবেলা করার চেষ্টা করা উচিত। কারন তাড়াহুড়োর মাঝে কখনো ভালো ফলাফল থাকে না।
যাক, এসব বিষয়ে আর কথা না বরং অসুস্থ্য থাকার সময় যে কয়েক পদের ভর্তার স্বাদ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম সেগুলোর মাঝ হতে আজ একটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো। একটা মানে বুঝলেন না, আরে ভাই এবার অনেকগুলো আইটেমের ভর্তা খাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। কারন অসুস্থ্যতার কারনে মুখের স্বাদ একদমই ছিলো না, সেই ক্ষেত্রে ভর্তাগুলোর উপর দারুণ ভরসা ছিলো এবং তা কাজেও দিয়েছিলো। আজকে শেয়ার করবো ভিন্ন স্বাদের কচুর ভর্তা, চলুন তাহলে সেটা দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- কচু
- শুকনা মরিচ
- পেঁয়াজ
- রসুন
- তেল
- লবন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা প্যান চুলায় দিয়ে তাতে কিছু তেল দিয়ে গরম করেছি এবং কচু স্লাইস করে তাতে দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি এবং তারপর উল্টে পাল্টে দিয়ে ভাজাটা সম্পন্ন করেছি।
এরপর কচুগুলো নামিয়ে তাতে শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়েছি।
এগুলোও ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি এবং তারপর নাড়াচাড়া দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নামিয়ে নিয়েছি।
তারপর শিল পাটায় প্রথমে শুকনা মরিচ ও লবন এবং এরপর ভাজা কচুগুলো নিয়ে বেটে নিয়েছি।
তারপর রসুন পেঁয়াজ দিয়েছি এবং সবগুলোকে একত্রে মিক্স করে ভালোভাবে বেটে নিয়েছি। বরাবরের মতো এগুলো আপনাদের ভাবির কাজ, হি হি হি।
ব্যস তৈরী হয়ে গেলো, আজকের স্বাদের ভিন্ন ধরনের কচুর ভর্তা। আসলে অসুস্থ্যতার সময়ে মুখে একদমই স্বাদ ছিলো না, তখন কিন্তু গরম ভাতের সাথে ভর্তাগুলো দারুণ লেগেছিলো খেতে, যদিও ঝাল একটু কম ছিলো কারন আমি ঝাল একদমই খেতে পারি না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাই আপনি একেবারেই ঠিক বলেছিলেন, এমন একটা পরিস্থিতিতে আমিও পড়েছিলাম। একজন অসুস্থ হলে পরিবারের একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে এটাও সত্য কথা বলেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার একাংশ সহ্য করতে পারবে না। আর সবচেয়ে বড় কথা হল অসুস্থতার মাঝে যেকোন ঝাল টক খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে ভর্তার কোন জুড়ি নেই, ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার কচুর ভর্তা খুবই আকর্ষণিয় এবং কি খুব সুস্বাদু হচ্ছে মনে হয়। আমাদেরকে আপনার অনুরোধের পাশাপাশি এত সুন্দর কছুর ভর্তা রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবির ভাইয়া।
ভাইয়া ,ভর্তা মানেই খুব মজার কিছু । খুব সুন্দরভাবে ভাবী আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছে ।অনেক ধন্যবাদ ভাবীকে । পরিশেষে আপনার আর পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি ।
কচু এভাবে যে ভর্তা করে খাওয়া যায় সেটা কখনো জানতাম না। কচুসহ কচুর ভর্তা তৈরি সকল উপকরণ গুলো শীলপাটায় বেটে কচুর ভর্তা তৈরির প্রসেস গুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। বাড়িতে অবশ্যই চেষ্টা করব এভাবে কচুর ভর্তা তৈরি করতে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এবার সবার অসুস্থতার ধরন একটু ভিন্ন ছিল। একজন অসুস্থ হলেই পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। তবে যাই হোক আপনি আপনার অসুস্থতার কথা আমাদেরকে জানিয়েছিলেন। এখন আপনি সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন এটাই অনেক বড় পাওয়া। যখন আমরা অসুস্থ হই তখন হয়তো কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। তাই বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খেতে মন চায়। কচু ভর্তা রেসিপি আমার কাছে দারুন লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
প্রথমেই আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করছি🙏
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন কচু ভর্তা খেয়েছি বা নিজে অনেক তৈরি করেছি কিন্তু এই পদ্ধতিতে কখনো তৈরি করা হয়নি বা কখনো খাওয়া হয়নি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। শিল পাটায় এত সুন্দর ভাবে ভর্তা বানানো একমাত্র ভাবির দ্বারাই সম্ভব সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভাবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে দেওয়ার জন্য। 🙏 ভাবি এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আসলে ভাই এটা একদমই ঠিক বলেছেন যে বিপদ ও অসুখ-বিসুখ আল্লাহ ধৈর্য পরীক্ষা করার জন্য দেয়, তখন আসলে ধৈর্য ধরতে হয়।
কচু ভর্তা আসলে কখনো খাওয়া হয় নায়। তবে দেখতে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ মজার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে মজার রেসেপি টি শেয়ার করার জন্য।
অসুস্থতা এমন একটা জিনিস যেটা মানুষের মস্তিষ্কের সুস্থ স্বাভাবিক বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করে। প্রতিটা মানুষ কোন না কোন ভাবেই অসুস্থ তার বিষয়টির সাথে মাঝে মাঝে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে যেটা থেকে সবাই মুক্তি পেতে চায়। যাইহোক, আজকে কচু ভর্তা রেসিপি যেটা ভিন্নভাবে করেছেন ভাইয়া অনেক ভালো লাগলো দেখে কিন্তু আমার কিছু রোগের কারণে কচু খেতে মানা সেজন্য কচু আমার তেমন ফেভারিট নয়।
আসলেই ভাইয়া ঈদের সময় চারিপাশের পরিবেশটা খুবই খারাপ ছিল। সকলেরই সর্দি কাশি হচ্ছিল এবং শরীর খুব দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল। আর আমাদের দেশের এটি একটি কমন সমস্যা যে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ডিস্পেন্সারি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার। যাইহোক এখন পরিবেশ মোটামুটি ঠিক হয়েছে মনে হয়।
যায় হোক ভাইয়া আপনি এই কচু কোথায় পেলেন? অনেকদিন ধরে আমার হাসবেন্ডকে এই কচু বাজার থেকে আনতে বলছি সে নাকি বাজারে এই কচু খুঁজেই পায় না। আর এসে আমাকে বলে যে এখন এই কচুর সিজন না। এই কচুর ভর্তা খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার কচু ভর্তা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এভাবে ভেজে কখনো খাইনি কিন্তু মনে হচ্ছে যে খেতে আসলেই মজাদার হয়েছিল।