গ্রামীণ সতেজ প্রকৃতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। শীতের শীতল পরিবেশের সাথে হৃদয়ের চঞ্চলতা ধরে রাখার যেমন চেষ্টা করছি, ঠিক তেমনি পুরাতন বছরের দুঃখ ভুলে নতুন বছরের নতুন উৎসাহ নিয়ে সব কিছু নতুনভাবে সাজানোর চেষ্টা করছি। স্কুল জীবনে এটা খুব ভালোভাবে করা হতো, বিগত বছরের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে নতুন বছরে নতুনভাবে নতুন ছকে সব কিছু সাজানোর চেষ্টা করতাম। এখন অবশ্য বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি স্কুল জীবনটাকে কেন সবাই জীবনের সেরা সময় হিসেবে বিবেচনা করে।
সত্যি বলতে আমাদের জীবনটাই এমন, থাকতে আমরা কোন কিছুর মর্ম বুঝতে পারি না কিন্তু যখন সেটা চলে যায় বা হারিয়ে যায় তখন আমরা খুব নির্মমভাবে উপলব্ধি করতে পারি। আসলে বাস্তবতা এমন, দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্ম বুঝতে চায় না। যারা বুঝে সতর্ক করার চেষ্টা করেন তাদের কথা কেউ আমরা কর্ণপাতও করি না। কিন্তু আবার যখন আমরা সেটা বুঝতে পারি তখন ঠিক তেমনি নতুনরাও আমাদের কথা শুনতে চান না। কি অদ্ভুত একটা সমীকরণের মাঝে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, হয়তো কালক্রমে এটা চলতেই থাকবে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
যাইহোক, আজকেও প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো এবং অবশ্যই সেটা গ্রামীণ প্রকৃতির। গ্রামীণ পরিবেশে যখনই আমি যাওয়ার সুযোগ পাই তখনই দারুণ কিছু মুহুর্ত মোবাইলে ক্যাপচার করে রাখার চেষ্টা করি। তারপর সময় ও সুযোগ মতো সেগুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করি। এখন অবশ্য বেশ শীত, আর এই শীতের মাঝে এবার এখনো গ্রামীণ পরিবেশে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। সত্যি বলতে বছরের শুরু হতেই এবার বেশ চাপের মুখে ছিলাম, তাই খুব একটা ভালো বাজেটও নেই হাতে। যার কারনে গ্রামীণ পরিবেশে যাওয়ার খুব একটা সাহসও করতে পারছি না।
ঐ যে পরিবেশ ও প্রকৃতি সব সময় একই রকম যায় না, ঠিক তেমনি বাস্তব জীবনেও পকেটের স্বাস্থ সব সময় একই রকম থাকে না, হি হি হি উদাহরণটা দারুন দিলাম না। মজা করলাম একটু, যদিও এখন আর তেমনটা করি না। আসলে মনে চঞ্চলতা থাকলে রসিকতা আসে আর না থাকলে একদমই আসে না। যেমন প্রকৃতি থাকলে সজীবতা আসবে আর না থাকলে অস্থিরতা, প্রতিটি বিষয়ই আমাদের এমন। যাইহোক, আজকের দৃশ্যগুলো একদমই গ্রামীণ পরিবেশের মাঝ হতে ক্যাপচার করা। সচারচর আমাদের গ্রামীন বাড়িগুলোর পাশে যেমন প্রকৃতি থাকে ঠিক তেমন।
আমি আসলে চারপাশের সাধারণ দৃশ্যগুলোকেই সর্বদা তুলে ধরার চেষ্টা করি। মানে আহামরি কিছু করার চেষ্টা করি না কখনো। সত্যি বলতে অনেকেই আছেন না সুন্দর প্রকৃতির মাঝে সুন্দর সময়ে প্রবেশ করেন এবং চমৎকার কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করার চেষ্টা করেন। আমি একদমই তেমন সময় পাই না যার কারণে তেমন আকর্ষণীয় ফটোগ্রাফিও করতে পারি না। তবে হ্যা, মাঝে মধ্যে একটু এডিট করি যাতে দৃশ্যগুলো কিছুটা হলেও সুন্দর লাগে। জাস্ট এতটুকুই, এর বাহিরে কিছুই না।
তারিখঃ এপ্রিল ০৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই স্কুল জীবনটা আমাদের জীবনের সবথেকে সেরা মুহূর্ত এটা আমিও এখন আমার কর্মজীবনে এসে স্পষ্ট বুঝতে পারছি। সেই সাথে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলি আসলেই চমৎকার ছিল। শুধু সবুজের সবুজ রঙে রাঙানো আজকের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলি। গ্রামীণ সমাজে এরকম দৃশ্য বরাবরই দেখা যায়। তবে ঋতুর চেঞ্জ হলে ভিন্নতা ঘটে যেমন ঐ যে স্বাস্থ্যের উদাহরণ টা দিলেন ঠিক সেরকম। যাই হোক প্রকৃতির সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বাহ্ আজকে দেখছি আপনি আমাদের মাঝে গ্রামীণ সতেজ প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর ফটোগ্ৰাফি এবং অনেক সুন্দর করে বর্ণনা এবং অনেক সুন্দর একটি উদাহরণ ও দিয়েছেন দেখছি । সব মিলিয়ে দারুন লাগলো। আসলে গ্ৰামের সৌন্দর্যের তুলনা হয় না। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার ব্লগটি খুবই মনোজ্ঞ এবং বাস্তবধর্মী। জীবনের কঠিন বাস্তবতাগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার কথায় একটা গভীর জীবনদর্শন রয়েছে, যেখানে শীতের প্রকৃতি, গ্রামীণ পরিবেশ, এবং জীবনের চঞ্চলতা সব কিছু মিলে মিশে গেছে। সত্যিই, প্রকৃতি এবং জীবন সম্বন্ধে আপনার অনুভূতি আমাদের মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি সৃষ্টি করে। ছবিগুলি যে সাধারন দৃশ্য থেকেও দারুণ হতে পারে, সেটি আপনার লেখায় সুন্দরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। আপনার কথায় যেন এক ধরনের সাদামাটা সৌন্দর্য রয়েছে যা অন্যদেরও ভাবতে উৎসাহিত করে।
টাকা থাকলে হৃদয়ে চঞ্চলতা আসবে আর চঞ্চলতা আসলে এমনিতেই রসিকতা আসবে। একইভাবে, প্রকৃতির ব্যাপারটাও এমন প্রকৃতি থাকলে সজীবতা আসবে না থাকলে আসবে না! এজন্য আমাদের প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত! প্রকৃতির সাধারণ সজীবতা উপভোগ করা উচিত।
আসলেই ভাই আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেই না। কিন্তু এটা মোটেই উচিত নয়। যাইহোক গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও সবসময় যাওয়ার সুযোগ হয় না। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামীণ পরিবেশে যেতে কার না ভালো লাগে।কিন্তু পকেটের স্বাস্থ্য খারাপ হলে প্রকৃতির মাঝে যাওয়াটা আসলে একটু কষ্টের ই।এটা ঠিক আমাদের উপর প্রকৃতি অনেকটা ই নির্ভর করে।আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।