বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে,
আজ মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশীদের জন্য চরম একটা আনন্দময় দিন, কারন এই দিনে পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে বাংলার আকাশ, বাংলার ভূমিকে মুক্ত করা হয়। বাংলা ভাষায় নিজের আবেগ প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। তবে এই বিষয়টি খুব সহজ বিষয় ছিলো না, ছিলো না আমাদের কাছে যুদ্ধ করার পর্যাপ্ত শক্তি কিংবা সামর্থ্য কিন্তু বাঙালীদের অধম্য সাহস এবং বীরত্বপূর্ণ মানসিকতা, বাঙালীদের সহযোগিতা, বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় এবং কাংখিত বিজয় অর্জিত হয়।
তবে তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ নয় মাস, দীর্ঘ সময় বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের মাটি, ট্রেনিং এবং আশ্রয় গ্রহন করতে হয়। কারন তৎসময়ের শক্তিশালী একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং বিজয় ছিনিয়ে আনাটা আমাদের জন্য মোটেও সহজসাধ্য ছিলো না। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিত্র বাহিনীর সুদৃঢ় অবস্থান এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মানসিতকা, আমাদের বিজয়ের নেশাকে আরো বেশী তরান্বিত করে, আমরা বিরত্বপূর্ণ সাহসিকতা নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাই।
আঘাত-পাল্টা আঘাত, রক্তে রঞ্জিত লাখো শহীদের আত্ম ত্যাগের বিনিয়মে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় হাসিতে উল্লেসিত হয় বাংলাদেশের জনগন। লড়াইয়ের অবসান হয়, বিশ্বের বুকে নতুনভাবে পরিচিতি পায় বাংলাদেশ নামের সদ্য ফোটা লাল গোলাপ, সবুজের বুকে শহীদের রক্তে রক্তাক্ত লাল চিত্র নিয়ে নতুন পতাকা উঠে মুক্ত আকাশে। শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বাহিনীর বিজয়ের ইতিহাস অমর হয়ে থাকবে, যতদিন বাংলার স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকবে।
আজকের বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষ্যে, আমার পক্ষ হতে কবিতার লেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস। জানি হয়তো আমি খুব ভালো কবিতা লিখতে পারি না, তবে স্বাধীনতার আবেগ প্রকাশের সুযোগটা নষ্ট করতে চাই না। যারা কবিতাটি পড়বে এবং তার সাথে নিজের আবেগকে সংযুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করবে আবৃত্তি করার মাধ্যমে, আমাদের আজকের হ্যাংআউটে তাদের একটা সুযোগ দিতে চাই এবং তার সাথে আমার পক্ষ হতে কিছু স্টিম পুরস্কার হিসেবে দিতে চাই। কবিতাটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং আপনি যদি কবিতাটি হ্যাংআউটে আবৃত্তি করতে চান, তাহলে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিন, সময় নষ্ট না করে।
Original Image taken from Pixabay then edited by me
স্বাধীনতা তুমি সবুজ বাংলায়
জ্বলসে যাওয়া লাল গোলাপ,
স্বাধীনতা তুমি শহীদের রক্তে
রক্তাক্ত লাল সবুজের নিষান।
স্বাধীনতা তুমি বিদ্রোহী হওয়ার
বজ্র কণ্ঠের ঝাঝালো সংলাপ,
স্বাধীনতা তুমি মায়ের ভাষায়
আবেগ প্রকাশের মিষ্টি আলাপ।
স্বাধীনতা তুমি পরাধীনতা হতে
শিকল ভাঙার জয় ধ্বনি,
স্বাধীনতা তুমি মায়ের মুখে
ফিরিয়ে দেয়া মুক্ত হাসি।
স্বাধীনতা তুমি প্রিয়ার প্রতিক্ষার
অন্ত যাওয়া গানের সুর,
স্বাধীনতা তুমি ভালোবাসার রংঙে
উল্লাসে মেতে উঠা মুখ।
স্বাধীনতা তুমি কৃষকের মুখে
ফসলে ভরা শষ্যের হাসি,
স্বাধীনতা তুমি মুক্ত বাগানে
সুর তোলা রাখালের বাঁশি
স্বাধীনতা তুমি মাতৃভূমিকে
মুক্ত করার সম্মিলিত ধ্বনি,
স্বাধীনতা তুমি দৃপ্ত পায়ে
যুদ্ধে যাওয়ার যৌবন শক্তি।
স্বাধীনতা তুমি মুক্ত আকাশে উড়া
শান্তির দূত, শুভ্র পায়রা,
স্বাধীনতা তুমি শত্রুমুক্ত পরিবেশে
বিজয়য়ের উল্লাসে প্রফুল্ল হওয়া।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আজ মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এর এই দিনে বাঙালিরা বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। এই দিন ছিল বাঙ্গালীদের জন্য এক আনন্দ উৎসবের দিন। বাংলাদেশের জন্ম হয় এই দিনে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। আপনি বাংলাদেশের এই সুন্দরতম বিজয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন, এই কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। কবিতার প্রতিটি লাইনের সাথে মিল রয়েছে। আপনি খুবই দক্ষতা এবং চিন্তাধারার মাধ্যমে কবিতাটি লিখেছেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এতো সুন্দর একটি কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাই, আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ভাইয়া আপনাকে ও।কবিতাটি দারুণ লিখেছেন।খুবই ভালো লাগলো পড়ে।যখন আপনার লেখা কবিতাটি পড়ছিলাম ঠিক তখন একদম শামসুর রাহমান কবির "স্বাধীনতা তুমি"কবিতার মতো কিছুটা লাগছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু, চেষ্টা করেছি দিনটিকে উপলক্ষ করে কিছু লেখার।
আজকের এই দিনের জন্য আমরা সবাই গর্বিত। আপনার এই কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আমরা স্কুলে থাকাকালীন বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেকে কবিতা আবৃত্তি করত,অনেক ভালো লাগত তখন। অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আজ মহান বিজয় দিবস, বাংলাদেশীদের জন্য আনন্দের দিন। ধন্যবাদ
প্রথমে জানাই আপনাকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।আপনার পোস্ট পড়ে খুব লাগলো ভাইয়া। আর বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আর আমার কবিতাটি খুব ভালো লেগেছে। কবিতার প্রতি লাইন অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ বৌদি। কবিতাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম, আসলে আপনাদের নিকট হতে কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা নেয়ার চেষ্টা করছি।
বিজয় দিবশের শুভেচ্ছা ভাইয়া।খুব অনুপ্রেরণা মূলক একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া।সকল শহিদ দের প্রতি ভালোবাসা সম্মান।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কি আর বলবো ভাইয়া!একেবারে ভাষা হারিয়ে ফেললাম।কি যে সুন্দর হয়েছে কবিতাটি।একেবারে মনের ভেতরটাও কেঁপে উঠে আলাদা একটি উত্তেজনায়।
আপনি সত্যিই খুব ভালো কবিতা লিখেন ভাইয়া।
কি বলতে চান, বলে ফেলুন, বার্গার খাওয়ার দাওয়াত তো আর দিবেন না হে হে হে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
মহান বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা ভাইয়া আপনাকে।লাল সবুজে ভরে উঠুক আমার দেশ,, বাঙালি জাতি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমার বাংলা ব্লগে আপনি খুবই চমৎকার একটি কবিতা আমাদের উপহার দিয়েছেন যা আমার কাছে অনন্য মনে হয়েছে।।
ভাইয়া এই বানানটি একটু দেখে নিন জ্বলসে হবে নাকি ঝলসে হবে।
আপনার এই কবিতাটি পাঠ করার চেষ্টা করব ভাইয়া।সুযোগটা মিস করতে চাইনা♥♥
জ্বী, আমার বানানটি ঠিক আছে, আপনি বুঝতে ভুল করেছেন আপু। জ্বলসে যাওয়া মানেই হলো পুড়ে যাওয়া, আর ঝলসে যাওয়ার মানে হলো চকচক করা। আমি পুড়ে যাওয়াকে মিনস করেছি এখানে।
তাহলে উচ্চারণটা হবে জ্বলসে। অর্থাৎ "জ"
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনার কবিতাটিতে কিছুটা কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার আবির্ভাব ঘটেছে। আবার অন্যদিকে চিন্তা করলে দেখা যায় যে আপনার কবিতার মধ্যে বেশিরভাগ শামসুর রহমানের কবিতার রূপ রয়েছে। সব মিলিয়ে বলতে পারি, আপনার কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য শুভ কামনা করি। আপনার পথযাত্রা যেন আরো সুন্দর হয়।