গ্রামীণ সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং চঞ্চল থাকার চেষ্টা করছি। পকৃতির সজীবতা যদিও খুব একটা উপভোগ করতে পারছি না কারন মাঝের কয়দিন একটু উষ্ণ থাকলেও পুনরায় আমার শীতল হয়ে উঠছে। চারপাশে শীতল বাতাস মনে হচ্ছে আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে। ঠান্ডা কিছুটা ভালো হলেও আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে। আসলে খুব ভোরে ঘুম হতে উঠতে হয় এবং তারপর দ্রুত রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হতে হয়, যার কারনে ঠান্ডার শীতল বাতাসের ছোঁয়াটা আমি বেশ ভালোভাবেই পাই। আর তার কারণেই এবার ঠান্ডাকে খুব একটা দূরে রাখতে পারছি না।
না, সেটা নিয়ে কোন আফসোস নেই, তবে সবুজ প্রকৃতির শীতলতা উপভোগ করতে না পারার একটা আফসোস ঠিক রয়েগেছে হৃদয়ের মাঝে। গত বছর শীতের শেষ মুহুর্তে গিয়েছিলাম সেন্টমার্টিন ভ্রমণে কিন্তু এবার কোন খবরই নেই, মনে হচ্ছে এবার বাৎসরিক ভ্রমণ হবে না। কারন গত বছর এই সময়ে কাজের খুব একটা চাপ ছিলো না কিন্তু এবার বেশ কাজের চাপ। তাই অফিসে বাৎসরিক ভ্রমণ নিয়ে কোন আলোচনা হচ্ছে না। যদিও গত বছর একটা প্রাইমারি আলোচনা করেছিলাম এবার ভ্রমণ করলে পাহাড়ি অঞ্চলে যাওয়া হবে। সুতরাং এই সুযোগটাও এবার হাতছাড়া হচ্ছে।
যাইহোক, আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা হলো এটা, অনেক কিছুই আমাদের পরিকল্পনার বাহিরে যেমন করতে হয় ঠিক তেমনি সব কিছু আবার আমাদের পরিকল্পনা কিংবা ইচ্ছায় হয় না। মনে হচ্ছে এই বছরটা সেই সূত্রের মাঝে আটকে গেছে হি হি হি। তবে প্রকৃতির বেশ ভালো ফটোগ্রাফির রেকর্ড আছে আমার, সুতরাং প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে খুব একটা কষ্ট হয় না কিংবা হবেও না আমার। আজকে গ্রামীণ প্রকৃতির তেমন কিছু দৃশ্য শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
গ্রাম মানেই সবুজ প্রকৃতির সেই চির চেনা রূপ বা দৃশ্য। সবুজ প্রকৃতির ছোঁয়া চারপাশে আর মাঝে পিচঢালা সড়ক, যার কারনে চারপাশের দৃশ্যগুলো আরো বেশী দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠে। আগের তুলনায় এখনকার গ্রামীণ দৃশ্যগুলো এই জন্যই একটু বেশী ভালো লাগে। অটোরিক্সা বা ট্রলিতে করে ভ্রমণ করার সাথে সাথে দুই পাশে সবুজ প্রকৃতির দারুণ একটা সতেজ অনুভূতি মুহুর্তের মাঝেই কার্যকর হয়ে উঠে। ভালো লাগার একটু দারুণ চঞ্চলতা তৈরী হয়ে যায়।
এই দৃশ্যগুলো আমি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় অটোতে বসে ক্যাপচার করেছিলাম। দুই পাশেই কৃষি জমি আর তার মাঝে ছিলো সড়ক। তখন অবশ্য বেশ ফাঁকা ফাঁকা ছিলো চারপাশ কিন্তু এখন আর তেমন পরিবেশ নেই, অনেকটাই জনবসতি হয়ে উঠছে। কারন আমাদের অভ্যেস হলো সড়ক থাকলেই তার চারপাশে বাড়ি তৈরী করার হিড়িক পড়ে যায়। প্রয়োজনে চাষের জমি নষ্ট করে হলেও দ্রুত সময়ে সেখানে বাড়ি তৈরী করতে হবে। কারণ ঐ যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।
তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রামীণ সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আপনার মাধ্যমে আজকে গ্ৰামীণ সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হলো। আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। আপনি ফটোগ্ৰাফির পাশাপাশি দারুন বর্ণনাও দিয়েছেন দেখছি।সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে ভাই।
এ কথাটা ঠিকই বলেছেন দাদা সবকিছু আমাদের পছন্দমত হয় না আবার যা কিছু হয় সবই আমাদের পছন্দ হয়ে যায় এমনও না। তবুও কি করা যাবে, সময়ের সাথে সাথে মানিয়ে নিয়ে না চলতে পারলে বিদ্রোহের কারণে নিজেরই মনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তবে বেড়ানোর ক্যানসেল হলে বা বেড়ানো গুলো না হলে বড্ড মন খারাপ করে। যাইহোক আপনার গ্রামের ছবিগুলো বেশ সুন্দর । অনেকটাই আমার গ্রামের মতো।
এ কথাটা ঠিকই বলেছেন দাদা সবকিছু আমাদের পছন্দমত হয় না আবার যা কিছু হয় সবই আমাদের পছন্দ হয়ে যায় এমনও না। তবুও কি করা যাবে, সময়ের সাথে সাথে মানিয়ে নিয়ে না চলতে পারলে বিদ্রোহের কারণে নিজেরই মনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তবে বেড়ানোর ক্যানসেল হলে বা বেড়ানো গুলো না হলে বড্ড মন খারাপ করে। যাইহোক আপনার গ্রামের ছবিগুলো বেশ সুন্দর । অনেকটাই আমার গ্রামের মতো।
সবকিছু মনের মতো হয় না।কাজের চাপ এ বছর খুব বেশী। তাই এ বছর ঘুরতে যেতে পারছেন না বলে আফসোস করবেন না।আল্লাহ চায় তো কোন ম্যাজিক ঘটে যেতে পারে।তেমন সুযোগ এলে পাহাড় দেখতে যাবেন।পাহাড় আমার ভীষণ পছন্দ।পাহাড়, সবুজ অরন্য মন ছুঁয়ে দেয়। সুন্দর সুন্দর সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আপনাকে।
সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে ভাই। তবে এটা ঠিক, কৃষি জমি গুলো ভরাট করে এখন প্রচুর পরিমাণে বাড়িঘর তৈরি করা হচ্ছে। তাই সবুজ প্রকৃতি খুঁজে পাওয়াটাই দিনদিন মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অধিকাংশ সময় আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে পারি না। পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে আমাদের অনেক কিছুই করতে হয়। এগুলো জীবনের সহজ একটা নিয়ম। বেশ দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা ভাই। গ্রামের এমন সুন্দর প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।