"অদ্ভুত শুয়ো পোকার ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
অদ্ভুত শুয়ো পোকার ফটোগ্রাফি:
ফটোগ্রাফি করাটাও একটি আর্ট।প্রথমত ফটোগ্রাফি করাটা পছন্দসই না হলেও এখন বেশ ভালো লাগে আমার ফটোগ্রাফি করতে।তাইতো নতুন কিছু দেখলেই দৌড়ে চলে যাই ফটোগ্রাফি করতে।ততটা পারদর্শী না হলেও ফটোগ্রাফির প্রতি আলাদা একটা টান কিন্তু কাজ করেই থাকে আমার।আর প্রকৃতির ছোট্ট ছোট্ট পোকামাকড় কিংবা অন্যান্য জীবের সঙ্গে আমার বসবাস।তাই রোজ চোখে পড়ে নানান নতুন নতুন অদ্ভুত ধরনের পোকামাকড়।সবই পরিচিত হয়ে গেছে বলে ফটোগ্রাফি করা হয় না।কিন্তু যখনই দেখি একদমই ভিন্ন এবং আমি প্রথম দেখছি সেটা ক্যামেরাবন্দি করেই ফেলি।
বলছি এখান থেকে মাসখানেক আগের কথা।এই সময় খুবই শুয়ো পোকা দেখা যায়।অনেকেই আবার শুয়ো পোকাকে বিছা পোকা নামেও চিনে থাকবেন।আমরা আমাদের গ্রাম্য ভাষায় একে আবার জমড়া বলে থাকি।
তবে যাইহোক না কেন শুয়ো পোকার অনেক প্রকারভেদ রয়েছে।বিভিন্ন রংয়ের,বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে শুয়ো পোকাগুলি।তার মধ্যে আবার নিজেকে রক্ষার জন্য গায়ে রয়েছে অসংখ্য সজারুর মতো কাটা।যেগুলো ছোট্ট ছোট্ট ও খুবই বিষাক্ত।যদি কখনো শুয়ো পোকার কাঁটা মানুষের শরীরে লাগে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি শুরু হয়ে ঘা'য়ের মতো সৃষ্টি হয়।এই পোকাগুলি সাধারণত গ্রামের দিকে জিওল গাছে,লিচু গাছে কিংবা জামরুল গাছ দেখা যায়।এরা ঝাঁক বেঁধে থাকতে পছন্দ করে।কেউ কেউ শুয়ো পোকা দেখলেই আগুন ধরিয়ে দেয়, ফলে শুয়ো পোকার গায়ে যেহেতু কাঁটা রয়েছে তাই ফুরফুর করে পুড়েও যায়।
যাইহোক আমাদের জামরুল গাছে তখন ফুল আসেনি,মাসখানেক আগে মা একটি শুয়োপোকা দেখে জামরুল গাছের নিচে।মাঝারি সাইজের একটি শুয়ো পোকা গাছ আঁকড়ে রয়েছে।মা বলেছিল ব্যতিক্রম শুয়ো পোকার ফটোগ্রাফি করতে।কিন্তু আমার মাথা থেকে উড়েই গিয়েছিল।
পরশুদিন যখন আমার চোখে সেই শুয়ো পোকাটি পড়লো।আমি তো বেশ অবাক,জামরুল গাছে ফুলও চলে এসেছে।ওদিকে পোকাটি গাছের পাতা খেয়ে বেশ দ্বিগুণ বড় হয়ে গিয়েছে।মা বললেন এটা খুবই ক্ষতিকর, মেরে ফেলতে।কিন্তু পোকাটি এতটাই সুন্দর যে মন কিছুতেই মারতে চাইলো না আমার।তারপর বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে ছবি তুলে বাড়ি থেকে একটু দূরে ছেড়ে দিয়ে আসলাম।আসলে এই শুয়ো পোকা সচরাচর চোখে পড়ে না।তার উপরে আবার গায়ে সাদা লোমশ তুলোর মতো ,দেখেই বোঝা যাচ্ছে নরমসরম।মাথায় দুটো শিং আর মুখের দিকে বেশ শক্ত জিরাফের ডিজাইনের মতো দেখতে খোলস।গায়ে আবার একটু দূরত্বে দূরত্বে ক্যাকটাসের মতোই ডিজাইন।অদ্ভুত এক মায়ার সৃষ্টি হলো মনে তাই আর প্রাণ নিলাম না এই বিলুপ্ত প্রায় শুয়ো পোকাটির।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
যথার্থ বলেছেন আপু ফটোগ্রাফি করাটাও একটা আর্ট। ফটোগ্রাফি করতে ও বেশ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ হয়ে যাবে। অদ্ভুত শুয়োপোকার ফটোগ্রাফি গুলি মধ্যে বেশ চমৎকার দৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। আপনার গ্রামে এই পোকাকে যমরা পোকা নামেও জেনে থাকে। আসলে গ্রামীন অঞ্চলগুলোতে এই জাতীয় পোহাগুলো বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়। আর এগুলো গা দিয়ে সাজানোর মত লোম রয়েছে। ধন্যবাদ আপু এরকমই ইউনিক একটি শুয়োপোকার ফটোগ্রাফি আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
লোমগুলো সাজানো থাকলেও বেশ বিষাক্ত,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ ভয়ঙ্কর একটি পোকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে এই পোকাটিকে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ভাষায় বলা হয় আচা। এই পোকা যদি মানুষের গায়ে লাগে তাহলে সেখানে অনেক হুল ফুটিয়ে দেয় চুলকাতে চুলকাতে গা হাত পা জ্বলে যায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আচা নামটি কেমন অদ্ভুত, যাইহোক নতুন নাম জানতে পেরে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পোকাটা আমি অনেকদিন পর দেখলাম। ফটোগ্রাফি করাটাও একটা আর্ট। আমি আপনার সাথে একমত। একটা পোকার কত নাম?জামরুল গাছের পাতা খেয়ে দেখছি বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। এগুলো সত্যিই বেশ ক্ষতিকর। এগুলো যদি গায়ে লাগে, আমার জানা মতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের এ ধারে সচরাচর দেখা যায় না। সর্বোপরি বেশ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন।
এই শুয়োপোকাটি আমিও নতুন দেখছি,ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আসলে আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি শুয়ো পোকার ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে এই পোকা অনেক ভয়ংকর। আসলে এই পোকা কারো গায়ে লাগলে অনেক চুলকানি হয় বলার মতো নয়। তবে পোকার ফটোগ্রাফিটা চমৎকার হয়েছে। পোকাটি মারতে চাননি ঠিক আছে তবে এটা বেঁচে থাকলেও বিপদ। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন, এটা বেঁচে থাকলে বিপদজনক।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপু।
পোকাটি দেখতে বেশ দারুন লাগছে। আপনি অদ্ভুত শুয়োপোকা একটি ফটোগ্রাফি করেছে ফটোগ্রাফিটি দেখে অনেক ভয় লাগছে।অনেক ভয়ঙ্কর এই পোকা গুলো। গায়ে উঠলে স্কিন পুরে যাওয়ার ভয় থাকে। ধন্যবাদ আপু অদ্ভুত শুয়োপোকার ফটোগ্রাফি আমাদের মত শেয়ার করার জন্য।
আপু পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনার সাহস আছে বলতে হবে দিদি। এই ধরনের পোকা দেখলে তো ফটোগ্রাফি করা দূরে থাকুন দৌড়ে পালিয়ে যেতাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। অনেক ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু,দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি তাই আর ভয় লাগে না।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
অদ্ভুত শুয়ো পোকার ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগছে। আসলে এরকম ফটোগ্রাফি সাধারণত সব সময় দেখা যায় না। অল্প কিছু সময় এরকম ফটোগ্রাফিগুলো দেখা যায়৷ আজকে যেভাবে আপনি এরকম একটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই পোকার যা কিছু রয়েছে তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এটা সবসময় দেখা যায় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছ থেকেই সবসময় এরকম ইউনিক কিছু দেখতে পাই৷
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you..