চোখ ধাঁধানো কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি
নমস্কার
চোখ ধাঁধানো কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
ফটোগ্রাফি করাটা একটি আর্ট।প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।এই ফটোগ্রাফিগুলিও তেমনি প্রত্যেকটি আলাদা।আমি নবমী পূজা দেখতে গিয়ে একটা প্যান্ডেল থেকে সংগ্রহ করেছিলাম।প্রত্যেকটি ছবির পিছনে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও বড় কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে।আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য আমি সামান্য করে তুলে ধরলাম আরকি!আর প্রত্যেক ছবিতেই একটিই চরিত্র প্রাধান্য পেয়েছে তা হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলা।এই ফটোগ্রাফিগুলি বর্ধমান স্টেশনের পাশে বাজে প্রতাপপুরের দুর্গাপূজা প্যান্ডেল থেকে তোলা হয়েছে।এখানে পূজার থিম ছিল দ্বারকা নগরী।যেখানে শ্রীকৃষ্ণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে পেইন্টিং এর মাধ্যমে।আর প্যান্ডেলটি ছিল অসাধারণ ও চোখ ধাঁধানো।তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ফটোগ্রাফিগুলি দেখে নেওয়া যাক----
আলোকচিত্র: 1
এই ছবিতে শ্রীকৃষ্ণ যেঅর্জুনের রথের সারথি ছিলেন মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সেই দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।এখানে কৃষ্ণ পাণ্ডবদের পক্ষ হয়ে যোগদান করেন এবং অর্জুনের রথের সারথি হয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
আলোকচিত্র: 2
এই ছবিতে শ্রীকৃষ্ণ এর কালীয় নাগ দমন করার দৃশ্য ফুটে উঠেছে।আসলে কালীয় নাগ যে হৃদে থাকতেন সেটা পুরোপুরি বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল, ফলে সেই যমুনা হ্রদের জল মানুষ কিংবা পশু-পাখি পান করার সঙ্গে সঙ্গে মারা যাচ্ছে বা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।এমনটা চোখের সামনে দেখে শ্রীকৃষ্ণ আর ঠিক থাকতে না পেরে কালীয় নাগের মাথার উপর উঠে নৃত্য করতে থাকেন এবং তাকে দমন করেন।
আলোকচিত্র: 3
এখানে যশোদার নিজ হাতে শ্রীকৃষ্ণকে খাওয়ানোর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।যেখানে বিভিন্ন ফলমূল ও ননী ছিল।তিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণর পালক মাতা।তবে তিনি তার নিজের সন্তানের থেকে বেশি ভালোবাসতেন শ্রীকৃষ্ণকে,মাঝে মাঝেই মাখন চুরির অপরাধে শাস্তিও দিতেন।
আলোকচিত্র: 4
এটি হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের একটি অবতার রূপ।যেটা আমি ঠিক বলতে পারছি না তবে শ্রীকৃষ্ণ নানা সময় নানারূপ ধারণ করতেন।এখানেও তিনি একটি শূকরের পিঠে চেপে বসে একটি হাত দিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে পরিচালনা করছেন এবং অপর হাতে একটি পদ্মফুল ধরে রেখেছেন।
আলোকচিত্র: 5
এই ছবিতে ভাতৃপ্রেমের দৃশ্য ফুটে উঠেছে।যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও বলরামের এক সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা করে।শ্রীকৃষ্ণের জ্যেষ্ঠভ্রাতা ছিলেন বলরাম।
আলোকচিত্র: 6
সবশেষে এই ছবিতে কংস বধের দৃশ্য ফুটে উঠেছে।যেখানে দেবকীর অষ্টম সন্তান শ্রীকৃষ্ণ কংস বধের জন্য জন্ম নিয়েছিলো।সবশেষে তিনি তাকে হত্যা করে 'রাজা উগ্রসেন'কে ভারতের শাসক হিসেবে পুনর্বহাল করেন।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
টাস্ক প্রুফ:
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির আলাদা বৈশিষ্ট্য ও সুন্দর্য রয়েছে।চোখ ধাঁধানো কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার ছিল। ফটোগ্রাফির সাথে অসাধারণ কিছু বর্ণনা করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সময় নিয়ে আপনি পোস্টটি পড়েছেন জেনে উৎসাহ পেলাম, ধন্যবাদ আপু।
মহাভারত পড়ে শ্রীকৃষ্ণের ফ্যান হয়ে গেছি আমি। কৃষ্ণের বুদ্ধিমত্তা রাজনৈতিক বিবেচনা যুদ্ধনীতি এমনকি ধর্মের বোধ সবকিছু নিয়ে উনি যেন কমপ্লিট প্যাকেজ। আবার ওনার বিনোদন হিসেবে বাশির সুর বা মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাভাবনা দেখে জাস্ট মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা বাকি থাকে না। অভূতপূর্ব সৃষ্টি মহাকবি বেদব্যাস এর। তারই জীবনের নানান অংশ চিত্রায়ন হয়েছে। অপূর্ব। শ্রীকৃষ্ণের যে সমস্ত ছবি আজ আমরা দেখি সেগুলো তো কল্পনা, তবে শ্রীকৃষ্ণের প্রথম ছবি কে এঁকেছিলেন জানো?
জানি না তো দিদি,কে এঁকেছিলেন!
আসলেই মহাভারতের দৃশ্যগুলি যতবারই পড়া বা দেখা হোক না কেন বারবার যেন মন টানে একইভাবে, ধন্যবাদ।
পূজো দেখতে গিয়ে নবমীর দিন এত সুন্দর সব ছবি প্যান্ডেল থেকে সংগ্রহ করে আনলে এবং তা আমাদের জন্য পোস্ট করলে বলে ভালো লাগলো বোন। সত্যিই ছবিগুলো চোখ ধাঁধানো। কৃষ্ণ লীলার এই ছবিগুলো সবদিক থেকে খুব ভালো লাগলো। শ্রীকৃষ্ণের জীবন বৈচিত্রময়। আর সেই লীলা তুমি ছবির মাধ্যমে পোস্ট করে মনে পরমানন্দ দান করলে।
আপনাকে আনন্দ দান করে আমারও বেশ ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ দাদা।