"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"(বাগানবিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি পর্ব : 4)
নমস্কার
"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"
বাগানবিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি পর্ব : 4
শীতকাল মানেই বাহারি ফুল-ফল ও সবজি।আর এই শীতকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে নানান রঙিন ফুলের সমাহার।দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।তো আমাদের বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ও কৃষ্ণসায়র উৎসব কমিটির যৌথ উদ্যোগে একটি ফুলের মেলার আয়োজন করা হয়।যেখানে কৃষি-শিল্প-চিত্র ও পুষ্প সব মিলিয়ে জমজমাট এক মিলনমেলা দেখতে পাওয়া যায়।এই ফুলের মেলায় মানুষ তার ফুলের গাছ নিয়ে আসে শুধুমাত্র মানুষের দর্শনের জন্য।তো আমিও সেই মেলা থেকেই সংগ্রহ করেছি এই বাগানবিলাস ফুলের ফটোগ্রাফিগুলি,আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক---
বাগানবিলাস ফুল:
আমাদের খুবই পরিচিত একটা ফুল বাগানবিলাস।তবে এটিকে আমরা সবসময় কাগজ ফুল নামেই বলে থাকি।প্রায় সব জায়গাতেই এই ফুল গাছ চোখে পড়ে।যেমন-বাড়ির গেট,স্কুল প্রাঙ্গন, পার্ক কিংবা প্ল্যাটফর্ম জাতীয় স্থানেও এই ফুলের বেশ কদর রয়েছে।যদিও বাগানবিলাস একটি বিদেশী ফুল।
এই ফুলের পাপড়িগুলো কাগজের মত পাতলা হয় বলে এই গাছের অপর নাম কাগজ ফুল বা কাগজি ফুল।তবে তিন পাপড়ির মধ্যে লম্বা ও সরু অংশটিই মূলত ফুল। যেটা বেশ ছোট সাইজের হয়ে থাকে।তবে কীট-পতঙ্গ আকর্ষণ করে না এই বাগানবিলাস ফুলে।সারাবছর এই ফুল ফুটতে দেখা যায় কম-বেশি।
বাগানবিলাস ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।কোনো কোনো প্রজাতির বাগানবিলাস ফুল গুচ্ছাকারে হয়ে থাকে আবার কোনো কোনো ফুল এমনি তিন পাপড়ি বিশিষ্ট হয়ে থাকে।ছোটবেলায় যখন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার দিন আসতো।তখন অন্য ফুল না পেয়ে আমি সকালে উঠেই বাগানবিলাস ফুল পেড়ে নিয়ে আসতাম,তারপর তা দিয়ে সুই ও সুতা দিয়ে মালা গেঁথে খালি পায়ে দিয়ে আসতাম শহীদ মিনারে।
গুচ্ছাকারের বাগানবিলাস ফুলগুলি বেশি ভালো লাগতো দেখতে।ফুলগুলোর একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব থাকে খুব কম। ফলে ফুল ফুটলে মনে হয় পুরো গাছ যেন ফুলে ফুলে ছেয়ে রয়েছে।তাছাড়া এই ফুল যতই শুকাতে শুরু করে ততই রঙের পরিবর্তন ঘটে।এই ফুল গাছের নিচে ঝরে পড়া পাপড়িগুলো দেখলে মনে হয় সারাটা সময় বসে কাটিয়ে দিই বিছানো পাপড়ির উপর।
আমি এখানে বেশ কিছু রঙের বাগানবিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি।যেমন-সাদা ও গোলাপি রঙের সমন্বয়ে সংকর কাগজ ফুল,লাল,সাদা ,গাড় গোলাপি,হালকা গোলাপি এবং কমলা রঙের কাগজ ফুল/বাগানবিলাস ফুল।তবে সব ফুলের মধ্যে লম্বা সরু অংশটি সাদা কিংবা হালকা টিয়ে রঙের ফুল হয়ে থাকে।
বাড়ির আঙিনা,ছাদ কিংবা ব্যালকনির সৌন্দর্য্য বাড়াতে বাগানবিলাস ফুলের গুরুত্ব অপরিসীম।ভিন্ন ভিন্ন রঙের ফুলে যেন রঙিন হয়ে ওঠে চারিদিক।এই ফুল গাছের ডালে কিছুটা দূরত্বে দূরত্বে কাঁটাযুক্ত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোতে খুব ভালো জন্মে বাগানবিলাস ফুলগুলি।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমানের গোলাপবাগ |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টাস্ক প্রুফ:
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
কৃষ্ণসায়র ফুলমেলায়, দারুন বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন দেখতেছি। আপনারা যে এই ফুলকে কাগজ ফুল বলেন এটাও প্রথম জানলাম। তাছাড়া শহীদ মিনারে সুন্দর করে মালা গেঁথে এই ফুল দিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। মোট কথা আপনার আজকের বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি, বর্ণনা দুটোই আমার কাছে দারুন লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমরা কাগজ ফুল বলতাম এই ফুলকে।ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর মতামতের জন্য।
বাগান বিলাস ফুল দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আজ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটা কালারের বাগান বিলাস ফুল দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। ফুল পছন্দ করে না এরকম মানুষ অনেক কম রয়েছে আর আমি তো খুব ভালোবাসি।
আসলেই সকলে ফুল ভালোবাসে,আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো আপু।
ফুলমেলার আরো একটা পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এর আগের পর্বটাও সম্ভবত দেখা হয়েছে। আজকে বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। লাল রঙের বাগান বিলাস ফুল গুলো খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। এগুলো সামনাসামনি এখনো দেখা হয়নি। ধন্যবাদ দিদি ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু,সামনাসামনি দেখতে এগুলো আরো সুন্দর লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
বাগান বিলাস ফুল আমি খুবই পছন্দ করি। আর এই ফুলের ফটোগ্রাফি করতেও আমার অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন কালারের বাগান বিলাস ফুলের সৌন্দর্য আপনার পোস্টে দেখে অনেক দারুন লাগলো আমার কাছে। সবগুলো কালারের বাগান বিলাস ফুল অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।
আপনার সুন্দর মতামত পড়ে উৎসাহ পেলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এত সুন্দর সুন্দর বাগান গুলো ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আমি এমনিতে ফুলের ফটোগ্রাফি অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। সে জায়গায় চমৎকার সব বাগান বিলাস ফুল দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আপনি ফুল পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে মানুষের এই ধরনের শখ শৌখিনতা আজ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আপনি এই ফুলের মেলায় ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশেষ করে গাছের প্রতি মানুষের শখ বড্ড কমেছে,ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ দাদা।
বৈচিত্রময় বাগান বিলাস ফুলের সৌন্দর্য দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে বাগান বিলাস ফুল দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। ফুলের পাপড়ির গঠন নান্দনিকতা খুবই দারুণ। আপনি বেশ দুর্দান্ত কিছু বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।