বিকেল বেলা করতোয়া নদীতে কাটানো মুহূর্তের আলোকচিত্র পর্ব-০২|| 10% shy-fox
আজ- ২৬ই, আশ্বিন | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||
নমস্কার- আদাব।
তো বরাবরের মতো আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন ইউনিক একটা ব্লগ নিয়ে ৷ আসলে গত তিন দিন আগে আপনাদের মাঝে শেযার করেছিলাম ৷বিকেল বেলা করতোয়া নদীতে কাটানো মুহূর্তের প্রথম পর্ব ৷ আসলে সব কিছু একটি নিয়মমাফিক প্রয়োজন যেমন লেখার একটা বিষয়৷
তাই দুই একদিন পর আজকে আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্বটি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি ৷আসলে সেদিন আমার শরীর অসুস্থতার কারণে একটু একঘেয়েমি ছিলাম ৷আর যার কারনেই একঘেয়েমি কাটানোর জন্যই আমার বাড়ির পাশের করোতোয়া নদীতে একটা সুন্দর বিকেল পার করেছিলাম৷ তার দ্বিতীয় পর্ব আজকে শেয়ার করেছি আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে এমনটাই প্রত্যাশা ৷
তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক ৷ আমার করতোয়া নদীতে কাটানো মুহূর্তের কিছু আলোকচিত্র৷
আপনারা দেখতে পারছেন যে ডিঙ্গি নৌকা গুলো সারি সারি করে খাটে বেঁধে রেখেছে ৷আবার তাতে কিছু মানুষ নৌকা থেকে যেন কি কাজ করছে ৷ নদীয়ার মধ্যে অনেক কিছু দিয়েছে বর্তমান নদী এলাকার মানুষজন প্রায় নদীতে পাথর তুলে বিক্রি করে আবার জেলে ভাই মাছ ধরে সেই মাছ বাজারে বিক্রি করে ৷এভাবেই নদীর মানুষ জন তাদের জীবন জীবিকার তাগিদে নদীকে তাদের আপন ভেবে নিয়েছে ৷
আমি শুধু দু চোখ দিয়ে দেখছিলাম চার দিকটা ৷ একেক জন একেক রকম কর্মকাণ্ডের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছে নদীতে৷
উপরের ছবিগুলোতে বেশ ভালো ভাবে দেখতে পারছেন৷ যে নদীর ধারে মানুষজন বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরছে ৷ আসলে নদীর অধিকাংশ মানুষ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে মাছ ধরছে৷ কেউ ছিপ দিয়ে কেউবা জাল ফেলে প্রতিনিয়ত এভাবেই মানুষ জীবন জীবিকা তাকিতে নদীকে তারা আপন ভেবে নিয়েছে ৷
যাহোক নদীর ধার থেকে দেখার পর ইচ্ছা হলো একটু নদীতে যাই৷ এদিকে সূর্যাস্ত হতে আর বেশি দেরি নাই ৷ তাই একটু তাড়াতাড়ি করেই নদীর চারপাশটা ঘুরলাম ঘাঁটে বাঁধা নৌকা গুলোতে গিয়ে মাঝি হওয়ার মতো একটি ছবি তুললাম ৷ আমার খুব ইচ্ছে একদিন নৌকা চালানোর তবে যেহেতু নৌকা ওয়ালা মানুষ নাই৷ তাই কারো নৌকা নিয়ে নদীতে যাওয়ার ঠিক নয় ৷ তবে কোনো একদিন নিজে নৌকা চালাবো এবং তার ভিডিও ধারন করে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ৷
আরেক দিকে মাঝি ভাই নৌকা করে মানুষ পারা পার করছে এপার থেকে ওপারে৷
আর এদিকে সূর্য জানান দিচ্ছে আমি আর আলো দিতে পারব না আমাকে যেতে হবে৷ আমিও আর দেরি না করে নদীর বালু চর দিয়ে হাটতে শুরু করলাম ৷ চোখে পড়লো অনেক গুলো ছাগল নদীর বালু চরে বেড়াচ্ছে ৷ আবার কে বা কাহারা একটি শাল গাছের বড় ডাল বালু চরে পুতে রেখেছে ৷ আসলে নদীতে ভেসে আসে অনেক কিছু ৷ হয়তো এই গাছটিও ভেসে এসেছে আর কারা যেন পুতে রেখেছে বেশ ভালো লাগছিল দেখতে ৷
তো বন্ধুরা আজকের মতো আমার ব্লগ এতোটুকুই৷ আর খুব তাড়াতাড়ি তৃতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো৷ এমনটাই প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই বিদায় নিচ্ছি ৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | রিয়েলমি সি বারো |
@gopiray
সবাইকে ধন্যবাদ
সবাইকে ধন্যবাদ
বিকেল বেলায় করোতোয়া নদীতে আপনি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো । নদীর ধারে বসে লোকরা বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে ,আবার নদীর পাড়ে এক ঝাঁক ছাগল হেটে বেড়াচ্ছে, সূর্যাস্তের ছবি সবকিছুই চমৎকার লেগেছে । সত্যি নদীর পাড়ে গেলে মন এমনিতেই শান্ত হয়ে যায় ।ভালো ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সাবলীল মতামতের জন্য ৷ নদীতে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছি ৷
এভাবেই পাশে থাকবেন এমনটাই প্রতার্শা ৷
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1579751824462352385?t=iM-6-UUkb_STzVattjrkPw&s=19
আপনি অনেক সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করছেন। আসলে আমাদের মাঝে মন খারাপ /একঘেয়েমি লাগলে , এভাবে কোথায় ও ঘুরে আসলে বা কোন জায়গায় বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ মন অনেক ভালো হয়।আপনি করতোয়া নদী পাড়ে কাটানো মুহুর্ত গুলো সুন্দর করে শেয়ার করছেন। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি দিদি সেদিন করতোয়া পারে গিয়ে মনটা অনেক ফুরফুরে লাগছিল ৷
ধন্যবাদ মতামতের জন্য ৷
অবাক হওয়ার কিছু নয়৷ নদীর এলাকার মানুষের জীবন সত্যি অসাধারণ ৷ আপনি করতোয়া নদীর কথা বইয়ে পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো ৷
নদী এলাকা আমাকে খুবই ভালো লাগে। আপনি করতোয়া নদীতে বিকেলবেলা সময় কাটিয়ে চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। খুবই সুন্দর লাগছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাই বেশ সুন্দর মন্তব্য করেছেন দাদা ৷ ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো ৷ শুভকামনা রইল
বিকেল বেলা করতোয়া নদীতে কাটানো মুহূর্তের আলোকচিত্র গুলো চমৎকার হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে করতোয়া নদীতে কাটানোর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ছন্দ সুরের মিষ্টি আপু আপনার কাছে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ৷
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল ৷
বিকেল বেলায় করতোয়া নদীতে অনেক দারুন সময় কাটিয়েছেন এবং দারুন ভাবে তা উপস্থপনা করেছেন সুন্দর ছিল পুরোটা ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ মতামতের জন্য
আপনার বাড়ির পাশে অনেক নদী আছে দেখছি।করতোয়া নদীতে জল খুবই কম মনে হচ্ছে, তাছাড়া আমার খুব ভালো লেগেছে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি।বালুচরে শালগাছটি সত্যিই সুন্দর দাদা।ভালো ছিল উপস্থাপনাটি, ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি করতোয়া নদীতে আগে অনেক জল ছিল ৷ কিন্তু সময়ে সাথে কেন যেনো জল থাকে না ৷ বালু চরে শাল গাছটি সত্যি সুন্দর ছিল ৷
এখন দেখছি বেশিরভাগ মানুষই নদীর পাড়ে ঘুরতে যাচ্ছে কিংবা ফাঁকা সময় টুকু পার করতে যাচ্ছে। নদীর পাড়ের এই ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি আমাকে খুব মুগ্ধ করে। করতোয়া নদীতে মাছ ধরার দৃশ্যের ফটোগ্রাফিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নদীতে গেলে সত্যি মনটা অনেকটা নদীর মতো হয়ে যায় ৷ কষ্ট দুঃখ থাকলেও সেটাকে ভাসিয়ে দিয়ে ৷ মনকে অনেক সুখ দেয় ৷
ধন্যবাদ
বিকেল বেলা নদীর পারে কাটানো সময় গুলো অনেক ভালো হয়। কারণ ওই সময় নদীর পারে আবহাওয়া অনেকটা ভালো এবং তার সাথে হালকা বাতাস নিজের শরীরের মনটাকে একদম ফ্রেশ করে দেয়। আর আপনার করতোয়া নদীতে কাটানো সময়টুকু তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক ভালো হয়েছে।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
জি ভাই খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছি ৷ ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ৷