ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো না " নাটক সুহাসিনী "|| @shy-fox 10% beneficiary
আমার বাংলা ব্লগে
আজ শনিবার ২২ অক্টোবর ২০২২ ইং
বাংলা ০৪ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নমস্কার,
আসলে নিত্যদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম একটি নতুন ব্লগ নিয়ে৷ তো বন্ধুরা আজকে কোন ফটোগ্রাফি কিংবা কোনো ঘোরাঘুরির বা ট্রাভেলিং এসব নয় ৷ আজকে আমি নাটক নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ৷ যেহেতু দু- দিন ছুটির দিন এখন তাই সাপ্তাহিক দিনের এই দুটি দিন আসলেই অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়ে দেওয়া যায় ৷ আর এই ছুটির দিনেই বসে থেকে গতকালকে একদিন নাটক দেখেছিলাম৷ যদিও আমার নাটক অনেক প্রিয় এবং কি পছন্দের আমি প্রায় সময় পেলেই ইউটিউব থেকে নাটক দেখি৷ আমি নাটকের মধ্যে আনা৷ অনেক কিছু খুঁজে পাই যদি ওইটা আসলে পুরোটাই একটা অভিনয় তবুও ভালো লাগে, কিছু কিছু অপশন আমার সত্যি অনেক অনেক মনের গভীরে দাগ কেটে
দেয় যা নাটকের মধ্যে পেয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে নাটকটি এই রিভিউ বা উপস্থাপন করবো ৷ সেটির নাম হলো সহাসিনী৷ নিচে সমস্ত ইনফরমেশন দেওয়া হলো:
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নাটকের নাম: | সুহাসিনী |
---|---|
অভিনয়ে | জোফান ও তানজিমা |
পরিচালনায় | মিজানুর রহমান |
দেশ | বাংলাদেশ |
ডুরেশন | ৩৯:২২ |
সৌজন্যে | প্রাণ ফ্রুটো |
নাটকের মেইন কাহিনী:
জোফান ও তানজিমা একি ভার্সিটিতে দুজনে একি সেমিস্টারে পড়ালেখা করে ৷ ছেলেটি অর্থাৎ জোফান কিন্তু তানজিমা কে পছন্দ করে এক কোথায় ভালোবাসে৷ যদিও দুজন দুজনকে এখনো বলা নি ৷ তবে দুজন দুজনে বেশ ভালো সম্পর্কতা জোভান তার নাম দিয়েছে ছোট্ট বন্ধু৷ তাকে সবসময় জন্য ছোট্ট বন্ধু হিসেবে সম্বোধন করে৷ এতে তানজিম ছোট বন্ধুটি মাঝে মাঝে রাগ করে রাগ করলেও ঠিক তখনই জোভান তার রাগটাকে থামিয়ে হাসিতে ফিরিয়ে আনে৷ এভাবেই চলছিল তাদের সুন্দর মুহূর্তের দিনগুলো৷ কিন্তু জোফান কখনো তাকে ভালোবেসে বলে নি৷ দুজনে মিলে পরীক্ষার দিলে একটা পর্যায়ে রেজাল্ট চলে আসলো এতে ছেলেটি খুব ভালো খুব ভালো রেজাল্ট করেছে সে ভালো একটি সাবজেক্ট পেয়েছে আর ই ভালো সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার জন্য তাকে আরো অন্য ভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে৷ কিন্তু আর করলো না কারণ তার ছোট্ট বোনকে না দেখে সে থাকতে পারবে না ৷ তাই তো পড়ার সিদ্ধান্ত নিলো৷ যদিও তিনি তাকে বলে যে তাকে অন্যখানে পড়ার জন্য কিন্তু ছেলেটি তা করলো না ৷ কারন ছেলেটি মেয়ে টিকে ভালোবাসে ৷
এভাবেই বেশ ভালোই চলছে তাদের দিনগুলো প্রতিদিন দুজনে একই সাথে একই ক্যাম্পাসের বসে সময় কাটানো৷ একে ওপরে রাগ করলে রাগ ভাঙ্গিয়ে দিয়ে আবার হাসিতে ফিরিয়ে আনা৷ যে সুখের মুহূর্তের দিনগুলোতে হঠাৎ চলে এলো কষ্টের দুঃখের বিষাদের সময়৷ একদিন জোফান দেখল তানজিমা একটি অন্য ছেলের সাথে ঘোরাঘুরি করতেছে ৷সে বেশ কিছুদিন ধরে তার লক্ষ্য করেছিল৷ আর একদিন জোফান তানজিমা কে জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি বলে যে তার সাথে তার তিন বছরের সম্পর্ক৷ এতে ছেলেটির মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ৷ সে কখনো এটা ভাবি নি কারণ সে মেয়েটি কে ভালবেসেছিল৷ যে মেয়েটি কে সে ছোট্ট বন্ধু হিসেবে সম্বোধন করতো সেই বন্ধু আজ অনেক বড় হয়ে গেছে৷ তারপর ছেলেটি সিদ্ধান্ত দেশে এই ভার্সিটি ছেড়ে চলে যাবে৷ আর এই খবর মেয়েটি পেয়ে সাথে সাথেই ছেলেটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি তা বলে যায় যে সে আর এ ভার্সিটিতে থাকবে না৷
তারপর মেয়েটি তার ছোট্ট বন্ধুকে কিছু কথা বলে চলে যায় এবং কি চলে যাওয়ার পরেই৷ সে একটি মেসেজ পাঠিয়ে দেয় যে সে আসলে যে ছেলের সাথে কথা বলে তার সাথে নাকি তার ভাই বোনের সম্পর্ক ৷ আর এই ছোট্ট বন্ধু তার সাথে একটি বড় মজা করছিল৷আর এই মেসেজ পেয়ে ছেলেটি আবার আনন্দে মেতে উঠে ৷ আবার দুজনের সেই সুন্দর মুহূর্ত পাশাপাশি হাটা একই সাথে চলা৷ আর এরপরে হঠাৎ করেই ভার্সিটি এক মাসের জন্য বন্ধ দিয়ে এখন দুজন দুজনের বাড়ির দিকে রওনা৷
ছবি স্ক্রিনশর্ট:
আর দুজনে তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো ৷কিন্তু বাড়ি গিয়ে ঘটলো এক বিশাল সমস্যা৷ কারণ মেয়েটির বাবা তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য এক পাত্রকে সম্বোধন করেছে। কিন্তু এদিকে মেয়েটি অর্থাৎ তানজিমা জোফান কে ভালবাসি আর তাইতো সে সমস্ত কিছু তার বাবাকে খুলে বলে ৷ আর বলার পরে তার বাবা তাকে তাদের বাসায় আসতে বলে৷
পরের দিনে ই জোফান তাদের বাসায় এসে হাজির এরপরেই মেয়েটির বাবার সাথে তার সমস্ত কথা ৷ কিন্তু তানজিমার বাবা মানে মেয়েটির বাবা এ প্রেম ভালবাসায় বিশ্বাসী নয় ৷ আর তাইতো সে এই প্রেম ভালবাসার থেকে গভীরে নিয়ে যেতে অর্থাৎ বিয়ের প্রস্তাব জানায় ৷ আর ছেলেটিও কোন উপায় না পেয়ে ভালোবাসাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্যই এই বিয়েতে রাজি হয়ে হয়ে যায় ৷ যদিও সে বেকার ছিল তবে বিয়ের পর তার কিছুদিনের মধ্যেই তার চাকরির একটা হয়ে যায়৷
এরপর বেশ তাদের আনন্দের দিন চলতে লাগলো ৷ আর চাকরি পেয়েছে শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাদের নতুন সংসার কবে বলে প্রস্তুতি নিলো৷ একদিন সবকিছু ঠিকঠাক করেই তারা বাসায় উঠবে ৷ এমন আনন্দের মুহূর্তের ক্ষণে ঘটলো এক দুর্ঘটনা তাদের নতুন বাসায় যাওয়ার পথেই তাদের সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনেই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ৷ কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো যে ছেলেটি বেঁচে গেলেও মেয়েটি বাঁচে নি অর্থাৎ রোড এক্সিডেন্ট মৃত্যুবরণ করে৷ ভালোবাসা রয়ে গেল আজীবন কিন্তু সেই ভালোবাসার ঘর সংসার হলো না ৷
আর এখানেই নাটকের শেষ সমাপ্তি!!
|
---|
তবে যাই হোক নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে৷ এখানে এই নাটকটি দেখে একটি জিনিস উপলব্ধি করতে পারলাম যেটা হলো সুখ এবং কি শান্তি কপালে সয় না ৷ এত সুন্দর একটি ভালোবাসার সংসার হয় আর গড়ে উঠলো না ৷ কিছু কিছু ভালোবাসা পরিপূর্ণতা পেলেও আসলে তা পূর্ণতা লাভ করে না ৷ যেমনটা এই নাটকের মধ্যেই তা প্রকাশ পেয়েছে৷
তো বন্ধুরা আজকে এতোটুকুই ৷ নাটকটি রিভিউ আপনাদের কতটা ভালো লেগেছে তার মন্তব্য জানাবেন ৷ এমনটাই আশা প্রত্যাশা রেখে আজকের মতো আপনার কাছ থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি ৷ এমনকি পরবর্তী দিনে আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবোএই প্রত্যাশা রাখছি৷
সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন ৷
ভুল যদি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!!
অভিবাদন্তে:
@gopiray
♥ সবাইকে ধন্যবাদ♥
♥ সবাইকে ধন্যবাদ♥
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1583840846088007680?t=TsqRytW1SPq-7GduT9VSMQ&s=19
জোফান এবং তানজিমা তাদের ভালোবাসাকে টিকিয়ে রাখতে তামজীমার বাবার দেওয়া শর্তে বিয়েতে রাজি হয়ে বিয়ে করে নিল কিন্তু রোড এক্সিডেন্টে তানজিমার চলে যাওয়াটা অনেক বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। যদিও নাটকটি দেখা হয় নাই কিন্তু আপনার আজকে রিভিউ এর মাধ্যমে পুরো নাটকটি সম্পর্কে আইডিয়া হয়ে গেল মনে হচ্ছে যেন আপনার সাথে আমারও দেখা হয়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই কিছু কিছু নাটক বাস্তবের সাথে জড়িয়ে যায় ৷ যে ভালোবাসা গুলো ঠিক নাটকের মতে শেষে পূর্ণতা পায় না ৷
ধন্যবাদ মতামতের জন্য ৷
এরকম বাংলা নাটক গুলো আমার খুবই পছন্দের।জোবান এর নাটক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার এই নাটকটি পড়ে আমার কাছে প্রথম প্রথম বেশ ভালো লেগেছিল। কিন্তু শেষের দিকে পড়ে অন্যরকম লাগলো। সত্যি ভালোবাসা অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। আমি চেষ্টা করব এই নাটকটি দেখার।
ভাই জোবান না জোফান হবে ৷ পারলে নাটকটি দেখিয়েন ভালো লাগবে ৷
ছুটির দিনে নাটক দেখে ভালই করেছেন নাটকের রিভিউ পোস্টটা দিতে পারলেন, যার কারণে আমরা এত সুন্দর একটি নাটক সম্পর্কে জানতে পারলাম। আর আপনিও একটি ভালো নাটক দেখতে পারলেন। এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি তবে নাটকের রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো, মনে হচ্ছে নাটকটি ভালো। সব সময় সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায়না রোড এক্সিডেন্টে মেয়েটি মারা গেল ছেলেটি বেঁচে রইল। আমার মনে হয় দুজনে একসাথে মারা গেলে হয়তো ভালো হতো একজনের কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হতো না। নাটকটি দেখার ইচ্ছে রইল।
নাটকটি দেখে আমারও শেষ খারাপ লেগেছে মেয়ে টা মৃত্যু হওয়াতে ৷ আসলেই কিছু কিছু ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না ৷
নাটকের রিভিউ দিলেন, পড়লাম।অনেক দিন সম্পুর্ন নাটক একবারে দেখা হয় না। নাটকটা বললেন ভাল, তাই দেখব ভাবছি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম সময় পেলেই দেখবেন ভালো লাগবে ৷ধন্যবাদ মতামতের জন্য