লালমনিরহাট সরকারি কলেজ কর্তৃক আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব ২০২৫। (দ্বিতীয় দিন)
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আমার কলেজে অনুষ্ঠিত হওয়া তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর সহযোগিতায় আমাদের লালমনিরহাট সরকারি কলেজে তিন দিনব্যাপী এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণবশত আমি প্রথম দিন এই উৎসবে উপস্থিত হতে পারিনি। আজকে আলোচনা করব দ্বিতীয় দিন সম্পর্কে। আমার ডিপার্টমেন্টের নাম হচ্ছে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। এই উৎসবে আমরা প্রাচীন বাংলার মুসলিম শাসনের আমলের লালমনিরহাটে স্থাপিত কিছু নিদর্শনের ছবি তুলে ধরেছিলাম। এই নিদর্শনগুলো আমার এখনো সব দেখা হয়নি স্বচক্ষে তবে আশা করি আগামীতে এসব নিদর্শন পরিদর্শন করব।
আমরা কিছু নিদর্শন এর পাশাপাশি লালমনিরহাটের কিছু সংস্কৃতি ও তুলে ধরেছিলাম। ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবার এবং পিঠা তুলে ধরেছিলাম। যেমন পান্তা ভাত ,আটিয়া কলা ,খেজুর গুড় ,সেদল ,শুকতানি, মলা, চিতই পিঠা, সুজির পিঠা, তেজপাতা পিঠা, ফুল পিঠা, মুড়ি মুড়কি , চিড়া ইত্যাদি রকমের স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার দাবার ছিল। কিছু পিঠা আমার বান্ধবীরা বাসা থেকে তৈরি করে নিয়ে এসেছিল। এসব প্রদর্শনীয়র পাশাপাশি কিছু পিঠাও বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল। এসব পিঠা অনেকেই কিনে খেয়েছিল। এছাড়াও সেখানে পান সুপারি, দস্তা,পাসুন কাস্তা, পিঁড়া, কুপি, হামু, মাটির হাড়ি, মাটির কলস ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র ছিল।
আমাদের কলেজ প্রধান স্যার দ্বিতীয় দিন এই উৎসব প্রদর্শন করেছিলেন। এই উৎসবটি একটি প্রতিযোগিতামূলক উৎসব ছিল। যার ফলাফল আমরা উৎসবের তৃতীয় দিন পেয়েছিলাম। আমরা আমাদের সংস্কৃতি গুলো প্রধান স্যারের নিকট বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলাম। আমাদের আয়োজন করা সংস্কৃতি গুলো উনার খুবই ভালো লেগেছিল।
অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলো তাদের বিষয় নিয়ে আয়োজন করেছিল। সেদিন ব্যস্ততার কারণে সব ডিপার্টমেন্টের ফটোগ্রাফি করতে পারিনি আমি। প্রাণিবিদ্যা ডিপার্টমেন্ট তাদের ল্যাবে সংরক্ষিত করা বিলুপ্তপ্রায় কিছু প্রাণীর মমি প্রদর্শন করেছিলেন। এসব প্রাণী হয়তো অনেকের মাঝেই অচেনা। কিছু কিছু প্রাণী আমাদের এই প্রকৃতি থেকে প্রায় বিলুপ্তের পথে। আরেক ডিপার্টমেন্ট আবার তাদের বিষয়ে ভিত্তিতে হস্ত শিল্পের প্রদর্শনীয় করেছিলেন। আসলে আমাদের এসব হস্তশিল্প এখনো দৈনন্দিন জীবন যাপনে ব্যবহার করে আসতেছি।
এই উৎসবে অনেক লোকের সমাগম হয়েছিল। আসলে এই উৎসবে আমি উপস্থিত থাকতে পেরে অনেক আনন্দিত। এই উৎসবে আমি অনেক কিছু দেখতে পেয়েছি যা এর আগে আমি কখনোই দেখিনি। আসলে সব ডিপার্টমেন্টের আয়োজনগুলো ভিন্ন রকমের হওয়ায় নতুন কিছু শেখার এবং দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমাদের কলেজ কর্তৃক এমন উৎসব প্রায় প্রতিবছরেই হয়ে থাকে। গত বছরে আমি এই উৎসবে উপস্থিত থাকতে পারিনি। বর্তমানে মেসে থাকার কারণে এই উৎসবে উপস্থিত হতে পেরেছি। উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে পার হয়েছিল।
আমাদের কলেজে বাঁধন নামে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের একটি সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনও এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল। এই উৎসবে এই সংগঠন বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছিল এবং রক্তদাতার তালিকা সংরক্ষণ করেছিল। আমিও সেখানে রক্ত পরীক্ষা করেছিলাম। এখানে আমি জানতে পারি আমার রক্তের গ্রুপ হচ্ছে এ পজেটিভ। আসলে আমাদের দেশে পানি কিনে খাওয়া লাগলেও রক্ত কিন্তু বিনামূল্যে পাওয়া যায়। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই মহৎ কাজটির সাথে জড়িত থাকা।
আজ এ পর্যন্তই। আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানাবেন। এই উৎসবের তৃতীয় দিন সম্পর্কে পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করি ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।আল্লাহ হাফেজ।
</div>
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
ডেইলি টেক্সগুলো:
https://x.com/Golamrabba34801/status/1882356211376648321?t=6ZSec83d72M7OsiA6PAW9w&s=19
অনেক সুন্দর উৎসব আমাদের মাঝে আপনি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। কলেজে উৎসবগুলো সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকে। আমার জীবনে বেশ কিছু স্মৃতি রয়েছে তার মধ্যে নবীন বরণের স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়ে। কলেজে কলেজে এমন রক্তদাতা সংগঠন থাকা ভালো। যারা অনেক মানুষের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে।