শারদীয় কনটেস্ট ১৪১৯।। শারদীয় দুর্গোৎসব।। @shy-fox 10% beneficiary
"আমার বাংলা ব্লগ"
কমিউনিটির সকল মেম্বারদের জানাই নমস্কার,অন্যান্য ধর্মাবলি ভাই-বোনদের জানাই আদাব এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি অনেক ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলছি আমার বাংলা কমিউনিটি আয়োজিত
"শারদীয়া কনটেস্ট ১৪২৯"
এর বিষয়বস্তু শুভ ষষ্ঠী, সপ্তমী ও অষ্টমী এর কিছু কথা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম । আজ শুভ অষ্টমী পোস্ট শুরু করার আগে সবাইকে জানাই "শুভ অষ্টমী" এর শুভেচ্ছা।
২/১০/২০২২ ইং এই দিনটি ছিলো শুভ ষষ্ঠী ও সপ্তমী। বাংলাদেশে ষষ্ঠী ও সপ্তমী পূজা এক দিনই করা হয় । ওই দিনটি পুজোর শুরু তাই বেশি কিছু আয়োজন থাকে না শুধু অঞ্জলির ও ঘুরোঘুরি মাধ্যমে পুজোটি কেটে যায়। ওই দিনটিতে বেশি একটা আয়োজন দেখা যায় না।
আমাদের মন্দিরটির নাম হচ্ছে গোবিন্দ মন্দির কুড়িগ্রাম কালীবাড়ি।যেহেতু একই দিনে দুটি পুজো থাকে তাই ওই দিন টা শুধু নয় আমি সবদিনেই অঞ্জলি দেই সকালে নয়টায় বের হই অঞ্জলি শেষে বাসায় চলে আসি।
এরপর বিকেলে বন্ধু ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে প্রায় রাত বারোটা বাজে। শুরুতেই বলেছিলাম ষষ্ঠীয় সপ্তমী একদিনে হওয়ায় বেশি একটা আয়োজন থাকে না কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে ঘোড়ার মজাটা সবকিছু ভুলিয়ে দেয়। এভাবেই ষষ্ঠী ও সপ্তমী কেটে যায়।
০৩/১০/২০২২ এই দিনটি ছিল শুভ অষ্টমি । মন্দিরটির নাম হচ্ছে বারোয়ারী, এই মন্দিরটির মধ্যে অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়েছিলাম যেহেতু আমার বাসার শহরে তাই আমি আমার এলাকাসহ চারদিনে চারটি মন্দির সিলেট করে রাখি তাই দেখা যায় ষষ্ঠীয থেকে দশমী পর্যন্ত আলাদা আলাদা মন্দিরে অঞ্জলি দিয়ে বেড়াই। অঞ্জলি দেওয়ার পর এবার বাড়ি ফেরার পালা। বাসায় অষ্টমীর দিন বেশি একটু চাপ থাকে নানা ধরনের কাজ করতে হয়।
এরপর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমি যেখানে যাই আজকে ফোন দেই আর মাছ আমার সঙ্গে সব সময় থাকে মজা সম্পর্কে একটু বলি সে হচ্ছে আমার প্রাইভেট স্কুলের ফ্রেন্ড ছোট থেকে এ পর্যন্ত একসঙ্গে আমরা নানা জায়গায় যাই আমার সব সময় সে পাশে থাকে আজ ছিল অষ্টমী যেহেতু বন্ধু আমার সঙ্গে ছাড়া কারো সঙ্গে ঘোরে না তাই তাকে নিয়ে একটু বের হয়েছিলাম
তখন সময় ছিল বিকেল সাড়ে তিনটে একটু ঘোরাঘুরি করার পর একটু খুদা খুদা ভাব ছিল বাসা থেকে খাওয়ার পরেও । এ সময় প্রত্যেকটা হিন্দু বাড়িতে দেখা যায় নিরামিষ রান্না হয়। আমি নিরামিষ অতটা ভালো খেতে পারি না তাই একটু খিদা ভাবটা বেশি ছিল। যেহেতু পূজা তাই তাকে নিয়ে একটু যে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম পুজ উপলক্ষে। রেস্টুরেন্টের নাম ছিল কাশফুল সেখানে গিয়ে চাওমিন খেয়েছিলাম খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত তার সঙ্গে কেটেছে। বন্ধুর সামনে পরীক্ষা তাই বেশি একটু ঘোরাঘুরি না করে বাসায় চলে এসেছিলাম।
উপরের ছবিটিতে দেখতে পারবেন সে আমার বন্ধু । আমার বন্ধুর নাম সবুজ আমার পলিটেকনিকেলের পড়াশুনা থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো একটা সম্পর্ক । এই বন্ধু আমার মাছ বন্ধুর মত সে যেখানেই যাক না কেন আমাকে নিয়ে যায় বেশ কিছু মুহূর্ত আমি সবুজের সঙ্গে কাটিয়েছিলাম। হয়তো কিছুদিনের সম্পর্ক কিন্তু আত্মার সম্পর্ক।
ষষ্ঠীর এক সময় সবুজের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সবুজ বলেছিল সে আমাদের পুজোর মধ্যে ঘুরবে আর সন্ধ্যেবেলা বাসায় থাকার পর আমার বন্ধু ফোন করে।
আমার বন্ধু কখনো পূজা মন্ডপ কতটা ভালোভাবে ঘুরে নিই তাই তাকে ভালো করে ঘোরানোর জন্য দেখেছিলাম আমরা এক ঘন্টার জন্য একটা রিক্সা ঠিক করি আমাদের শহরে প্রায় দশ থেকে বারোটা পুজো হয় সেই মন্দিরগুলো সবুজের সঙ্গে ঘুরেছিলাম।
পুজোয় ঘোরাঘুরির সময় আমার এক কাকি মনি ঢাকায় থাকে সেখান থেকে তিনি অষ্টমীর দিন বাসায় আসে তার ফ্যামিলির সঙ্গে পুজো কাটানোর জন্য ঘোরাঘুরির সময় কাকিমনির সঙ্গে দেখা সাথে আমার ছোট ভাই ও ঠাকুরমা ছিল। পূজা মন্ডপে তাদের সঙ্গে দেখা তাদের সঙ্গে একই ফ্রেমে আবদ্ধ হই।
আমি প্রায় অনেক মন্দির ঘুরেছি বাংলাদেশে অষ্টমী থেকে পূজা শুরু হয় এ সময় দেখা যায় মানুষ খুব ভালোভাবে চারিদিকে ঘুরে তেমনি আমিও অষ্টমীটা ভালো করে ঘুরেছি আমাদের শহরে যতগুলো ঠাকুর ছিল আমি প্রায় সব ঠাকুরেরই দেখেছি খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত আমার কেটেছে আমার জীবনে পুজোর দিনগুলো অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকে আমি পুজোতে অনেক আনন্দ উপভোগ করি
Details
Camera | Realme C21 |
---|---|
Location | Kurigram |
Editing Software | phone edit software |
এই ছিল আমার ষষ্ঠী সপ্তমী অষ্টমী অঞ্জলি ও ঘুরাঘুরির মাধ্যমে শারদীয়া কনটেস্ট ১৪২৯ এর বিবরণ আশা করি আপনাদের সবারই ভালো লেগেছে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা আবারও আপনাদের শারদীয় শুভেচ্ছার মাধ্যমে শেষ করছি। আবারো নতুন এক পোস্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।
ষষ্ঠী সপ্তম অষ্টমী পূজোর অঞ্জলি থেকে শুরু করে ঘোরাঘুরি পর্যন্ত খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। বেশ ভালো লেগেছিল আপনার ঘোরাফেরা মুহূর্ত। তবে ঠিকই বলেছেন যখন আনন্দে দিন কেটে যায় বোঝাই যায় না যে কখন কয়টা বাজে। অসাধারণ ছিল আপনার অনুভূতি গুলো। আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ দাদা।শারদীয় শুভেচ্ছা রইল।
প্রথমে আপনাকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাই। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দুর্দান্তভাবে পূজার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। পূজাতে নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এত সুন্দর শারদীয় কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ দাদা।শারদীয় শুভেচ্ছা রইল।
আপনি যত দ্রুত সম্ভব লেভেল তিন এ আমার সাথে যোগাযোগ করেন, ধন্যবাদ।।
দাদা আমি আপনাকে মেজেস দিছি।