মৃত্যু। ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনারা সবাই জানেন আমাদের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত মডারেটর তানজিরা আপুর পিতা গতকাল ইন্তেকাল করেছেন। শুরুতেই তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সৃষ্টিকর্তা যেন পরলৌকিক জীবনে তাকে শান্তি দান করেন। আজ মৃত্যু সম্পর্কে আমার কিছু ব্যক্তিগত ধারণা শেয়ার করব। আমাদের ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফে আছে প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অর্থাৎ মৃত্যু হচ্ছে এমন অলঙ্ঘনীয় একটি ব্যাপার যাকে কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। সৃষ্টির শুরু থেকে এমন কোন প্রাণ নেই যা অমর। হয়তো কারো জীবনকাল একটু বেশি আবার কারো বা একটু কম। সৃষ্টি জগতে বুদ্ধিমত্তায় শীর্ষে থাকা এই মানবজাতি কোনভাবেই এই অলংঘনীয় ব্যাপারটিকে মেনে নিতে চায় না। তাইতো সেই প্রাচীনকাল থেকে অমরত্বের চাবিকাঠি আবিষ্কারের প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। আধুনিক বিজ্ঞান জড়া বা বার্ধকের কারণ আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু বিজ্ঞানীদের ধারণা বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা গেলে হয়তো এক সময় দীর্ঘ জীবনের সূত্র আবিষ্কার করা সম্ভব।
বিভিন্ন পন্ডিত মৃত্যুকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। কেউবা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আবার কেউবা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করলে বলা যায় মৃত্যু হচ্ছে মানুষের বা প্রাণী দেহের এমন একটি অবস্থা যখন তার যাবতীয় শরবৃত্তিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ জৈবিক কাঠামোর সম্পূর্ণ বিনাশ বা ধ্বংস। অন্যদিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটা হচ্ছে পরলৌকিক জীবনে প্রবেশের গেট ওয়ে। এর মধ্য দিয়ে দেহ থেকে আত্মার মুক্তি লাভ হয়। বৈজ্ঞানিক বা ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ থেকেই বলা হোক না কেন মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি রহস্য যে রহস্যের সঠিক কোন কুলকিনারা আজ পর্যন্ত কোন মানুষ করতে পারেনি। অর্থাৎ পৃথিবীতে এমন একটিও মানুষ পাওয়া যাবে না যিনি সরাসরি মৃত্যুর পরবর্তী জীবন থেকে ফেরত এসেছেন অথবা মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ দেখাতে পেরেছেন। এক কথায় এটা হচ্ছে একটা ওয়ান ওয়ে টিকিট কিন্তু দুর্ভাগ্য যে এই টিকিট কাটার পর গন্তব্য সম্পর্কে অন্য কাউকে জানানোর আর কোন সুযোগ নেই।
কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়, াা"মরিতে চাহিনা আমি এ সুন্দর ভুবনে" কিন্তু তা সত্ত্বেও সবাইকে একদিন চলে যেতে হয়। এটাই জগতের নিয়ম। পৃথিবীর অন্যান্য ইতর প্রাণীর ন্যায় মানুষও একটা নির্দিষ্ট সময় পর মৃত্যুবরণ করে কিন্তু তাদের সঙ্গে সৃষ্টির সেরা হিসেবে আমাদের পার্থক্য, আমরা বুদ্ধিমত্তা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সৃষ্টিকর্তা, সেইসঙ্গে সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনুসন্ধানের চেষ্টা করি। হয়তো এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ জন্ম আর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। সে পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষের উচিত তার বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানো। শুধুমাত্র কর্মের মাধ্যমেই সম্ভব মরণশীল মানুষের পক্ষে অমরত্বের স্বাদ গ্রহণ করা। আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
---|---|
Device | Samsung M21 |
Location | Rajshahi sadar, Rajshahi |
মৃত্যু এমন একটি জিনিস যা মানুষের সকল আশা ভরসা পরিকল্পনাকে নিমিষেই ধুলিস্যাৎ করে দেয়। আর এই মৃত্যু থেকে আমরা পালায়ন করার চেষ্টা যতই করি কোন লাভ হবে না আমাদেরকে পাকড়াও করবেই মৃত্যু।।
তানজিরা আপুর বাবার জন্য দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে শান্তিতে রাখেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি আলোচনা মৃত্যু সম্পর্কে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।।
মৃত্যুকে আসলে এড়িয়ে যাবার বা উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই। তা হলে হয়ত পৃথিবীর সব মানুষ তার সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করত মৃত্যুকে জয় করবার। ধন্যবাদ।
গত হ্যাংআউটের আগে যখন শুনলাম যে আমাদের কমিউনিটির মডারেটর তানজিরা আপুর বাবা ইন্তেকাল করেছে তখন মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আসলে এটাই প্রকৃতির নিয়ম পৃথিবীতে কেউ চিরকাল বেঁচে থাকতে আসেনি সবাইকে একদিন না একদিন চলে যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে মানুষের জীবনটা অনেক ছোট এই ছোট্ট জীবনে অনেকেই হয়তো অনেক রকম ভাবেই বাঁচার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হয়েছে কবর। প্রিয় মানুষ যখন আমাদের ছেড়ে চলে যায় তখন কষ্ট লাগবে এটাই স্বাভাবিক।
এই উপলব্ধিগুলো শুধুমাত্র ক্ষনিকের জন্য আমাদের মনে প্রভাব ফেলে। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের চিন্তাগুলো আমরা হারিয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুবই খারাপ লেগেছিল তানজিনা আপুর বাবার মৃত্যুর কথা শুনে। সৃষ্টিকর্তা যেন পরলৌকিক জীবনে তাকে শান্তি দান করেন সেই কামনাই করছি। ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর একটি টপিক নিয়ে লেখা পোস্ট। সবার না যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সবাইকে এই জীবন থেকে একদিন না একদিন চলে যেতেই হবে। সম্পূর্ণটা পড়ে বেশ ভালোই ধারণা পেলাম। এরকম একটি পোস্ট সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
আৃসলে মাঝে মাঝে কারো মৃত্যু সংবাদ শুনলে এ ধরনের চিন্তাগুলো মাথায় ভর করে তখন কিছু সময়ের জন্য সবকিছুই অর্থহীন মনে হয়। ধন্যবাদ আপু।
খুবই খারাপ লেগেছিল যখন তানজিনা আপুর বাবার মৃত্যুর সংবাদটি শুনেছিলাম। সত্যি এভাবে নিজের আপন জন চলে গেলে ভীষণ খারাপ লাগে। এ জীবনে যখন কেউ এসেছে তাকে একদিন না একদিন চলে যেতে হবে বিশ্বাস না করতে চাইলেও সবাইকে এটা বিশ্বাস করতে হবে। আমরা কেওই সারা জীবন এখানে থেকে যাব এটা বলে আসিনি। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু অবশ্যই হবে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আবারও এই বিষয়টি দেখে খারাপ লেগেছে। সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে শান্তিতে রাখি সেই কামনা করি।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকেই সম্মানের মৃত্যু দান করুন সেই সঙ্গে আমাদের জীবনটাকে সত্যিকার অর্থে কাজে লাগানোর তৌফিক দান করুন এটাই কামনা। ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া মৃতু্ চিরন্তন সত্য। কেউ এই দুনিয়াতে বেচে থাকতে পারবে না। শত চেষ্টা করে ও কেউ মৃতু্কে ফেরাতে পারবে না। মৃতু্কে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে প্রমান করছেন সত্য। কিন্তু আজ ও এর সঠিক কারণ কেউ বের করতে পারেনি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটাই হচ্ছে মানব জীবনের নিয়তি। যাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। হয়ত মানুষ চেষ্টা করলে তার আয়ুস্কাল বাড়াতে পারবে বড়জোড়। ধন্যবাদ ভাইয়া।