এ সপ্তাহের বাছাই করা কিছু ছবি। ১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য।
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। একটি ছবি মানে একটি গল্প। আসলে কিছু কিছু ছবি আছে যার জন্য কোন ক্যাপশন দরকার হয় না। যখন মানুষ ভাষার ব্যবহার জানতো না তখন মনের ভাব বিনিময় করার জন্য বা ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য মানুষ ছবি অংকন করতো। অর্থাৎ সেই আদিম যুগে মানুষ যখন গুহায় বসবাস করত সেই গুহার দেয়ালে মানুষ অসংখ্য ছবি এঁকে রাখতো। যা পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন এবং সেই সময়ের অবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করেন। আধুনিক যুগে ছবি আঁকার চাইতে ছবি তোলা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকের হাতে হাতে আছে মোবাইল ফোন। আর মোবাইল ফোন মানেই একটা ক্যামেরা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদানের পর থেকে আমি প্রতিনিয়ত যেখানেই যাই সেখানেই অসংখ্য ছবি তুলে থাকি। তার মধ্য থেকে যেগুলো ভালো লাগে সেগুলো সংরক্ষণ করি, আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আর বাকিগুলো ফেলে দেই। আমার মনে হয় আপনারা সবাই এই কাজটি করে থাকেন। গত বেশ কিছুদিনের তোলা কিছু ছবির মধ্যে থেকে আজ আপনাদের সঙ্গে কয়েকটি শেয়ার করব। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক।
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে। এই বিখ্যাত কবিতাটি মনে হয় আমরা সবাই পড়েছি। এই নদীটিও হয়তো এক সময় ছোট নদী ছিল কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
শেষ বিকেলে ফসলের মাঠের প্রান্তে অস্তগামী সূর্য। এই সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত আমাকে প্রতিনিয়ত ভাবায়। আর এ দুটো দৃশ্য এমন যা কখনোই পুরাতন হবার নয়। যতই দেখি না কেন এর নতুনত্ব যেন কখনোই শেষ হয় না।
উপরে যে সবুজ পাতাগুলো দেখছেন আর যেগুলো শুকোতে দেয়া হয়েছে এগুলো একই জিনিস। এগুলো হচ্ছে তামাক পাতা। যা বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক হারে চাষ হয়। কর্মসূত্রে বেশ কিছুদিন যাবত রংপুর অঞ্চলে যাওয়া আসা হচ্ছে। সেখান থেকেই তোলা এই ছবিগুলো।
পেঁচা নামে একটি নিশাচর পাখি আমাদের দেশে এক সময় প্রচুর পরিমাণে ছিল কিন্তু এগুলোর দেখা পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কারণ এই পাখিটি সম্পূর্ণ নিশাচর। দিনের বেলায় গাছের কোটরে বা অন্ধকার ছায়ায় বসে থাকে আর রাত হলে খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে। কয়েকদিন আগে একটি মসজিদের মিনারে এই পাখি দম্পতিকে দেখে দূর থেকে ছবিগুলো তুলেছিলাম।
এই ছবিগুলো আমার প্রিয় পদ্মা নদীর। যদিও এই শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা নেই। তীরে গুটি কয়েক ছোট ছোট জলযান নোঙর করে আছে। আবার বর্ষা মৌসুমেই এই পদ্মা দুকুল ছাপিয়ে প্রলয়ংকরি হয়ে উঠবে।
এই ছবিটি পৌষ মাসের শীতের সময়ে তোলা। উত্তরবঙ্গের প্রচন্ড শীতে যখন ঘর হতেই বের হওয়া কষ্ট হচ্ছিল তখন রাস্তায় দেখলাম বেশ কয়েকটি কুকুর ছানা জড়াজড়ি করে শরীরের উত্তাপ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। প্রকৃতি এদেরকে বুদ্ধিমত্তায় খুব একটা উন্নত না করলেও সহজাত প্রবৃত্তি দিয়ে তা পুষিয়ে দিয়েছে।
এটা একটা গরুর মাথার খুলি। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ সাধারণত লাউ কুমড়া বা সবজি খেতে এ ধরনের মরার খুলি ঝুলিয়ে দেয়। তাদের ধারণা এতে ফসলের পোকামাকড় বা অসুখ-বিসুখ কম হয়। সেই সঙ্গে দুষ্ট মানুষের খারাপ নজরও এড়িয়ে থাকা সম্ভব হয়। আসলে গ্রামাঞ্চলে মানুষের মধ্যে কত রকমের যে কুসংস্কার আজও আছে তা বলে শেষ করা যাবে না।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
---|---|
Device | Samsung M21 |
Location | Rangpur Sadar and Faridpur Sadar |