বাবু বাড়ির ফটোগ্রাফি। ১০% লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। কয়েকদিন আগে সদরপুরের বাইশরশি জমিদার বাড়ি নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। আজ থাকবে এর দ্বিতীয় পর্ব। কোন বিষয় ছবিতে বা নিজ চোখে দেখে তার সৌন্দর্য অনুভব করা যত সহজ লিখে বোঝানো ঠিক ততটা সহজ নয়। যাইহোক বাইশরশি জমিদার বাড়ি বা বাবু বাড়ি অনেক পুরাতন একটি স্থাপনা। তবে এই ২০০ বছরের ব্যবধানে এখন আর তেমন কিছুই অবশিষ্ট নেই। বলতে গেলে মাংস ঝরে পড়ে অবশিষ্ট আছে শুধুমাত্র কঙ্কাল। অর্থাৎ চুন শুরকি, পলেস্তারা খসে পড়েছে বহু আগেই এখন শুধু ইটের কিছু ধ্বংসস্তূপ। ছবিগুলো শেয়ার করলাম, আশা করি কেমন লাগলো জানাবেন।
উপরের ছবি দুটিতে যে ভগ্ন প্রায় স্থাপনা দুটি দেখছেন এগুলো ঠাকুর ঘর। একসময় এখানেই এবাড়ির পূজা অর্চনা জমকালো ভাবে পালিত হতো। প্রাচীনকালে এদেশের বেশিরভাগ জমিদার বা রাজবংশের লোকরাই ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অম্বিকা চরণ মজুমদার এবং তার পূর্বপুরুষেরা সবাই ছিলেন এই সনাতন ধর্মের অনুসারী।
ওপরের ছবি তিনটিতে দেখা যাচ্ছে ভবনের মূল অংশের বিভিন্ন দিক। ক্যামেরায় মূল ভবনের সবটুকু একবারে ক্যাপচার করা সম্ভব হয়নি। একসময় হয়তো এই ভবনের চাকচিক্য ছিল চোখে পড়ার মতো কিন্তু এখন আর সেই যৌলুশ নেই। দেয়াল জুড়ে গজিয়ে উঠেছে বট আর অসথের প্রকাণ্ড সব শাখা-প্রশাখা।
এই দীঘিটি জমিদার বাড়ির দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। এরকম তিনটি বড় বড় দীঘি আছে এ বাড়িতে। ঘাট বাধানো বিশাল আকৃতির এই দীঘি গুলো জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য বহন করছে।
সম্ভবত এটা ছিল শৌচাগার। মূল বাড়ির পেছনে কিছুটা দূরে অবস্থিত এই স্থাপনাটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইট ভেদ করে বের হয়েছে বট গাছের শিকড়। আর কিছুদিন পরেই হয়তো এই অংশটুকু পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এই ছবিগুলো ভবনের পেছনদিকের। দোতলা এই ভবনে ছিল অসংখ্য জানালা দরজা। পুরো বাড়ির সামনে এবং পিছনে ছিল টানা বারান্দা, আর মাঝখানে উঠান।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
---|---|
Device | Samsung M21 |
Location | Sadarpur, Faridpur |
জমিদার বাড়িটির দেখেই বোঝা যাচ্ছে একসময় বেশ সুন্দর ছিল। কালের বিবর্তনে আজ ধ্বংসের মুখে রয়েছে। সত্যিই কোন কিছু সামনে থেকে দেখে যতটা উপলব্ধি করা যায় তা লিখা বোঝানো সম্ভব নয়। তবুও ছবিগুলো যা দেখলাম ভালোই লাগলো জমিদার বাড়িটি।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমি এ বাড়িটিতে দুইবার গিয়েছি কিন্তু তাতেও এ বাড়ির আকর্ষন আমার কাছে একটুও কমেনি। ইতিহাসের স্বাক্ষী এই বাড়িগুলো আমার কাছে দারুন আকর্ষনীয় লাগে। শুভকামনা আপনার জন্য।
জমিদার বাড়ির দক্ষিণ পাশের পুকুরটা দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে ভাই। আসলে আমাদের থেকে অল্প কিছু দূরেও একটি রাজবাড়ী রয়েছে। সেখানেও এ ধরনের অনেক বড় সুন্দর একটি পুকুর রয়েছে। এছাড়াও ঘর বাড়িগুলো একদমই পুরোনো হওয়ার কারণে ভেঙে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন। ধীরে ধীরে স্মৃতিগুলো সব নষ্ট হয়ে যাবে।
পুকুরটা হয়তো অতীতে আরো অনেক সুন্দর ছিল। এখন ঘাট ভেঙে গেছে। সংস্কারের অভাবে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। তার পরেও বোঝা যায় যে অতীতে কেমন ছিল। ধন্যবাদ ভাই।
ভাই এর আগের পোষ্ট টি দেখেছি ৷ সেখানে এই বাবু জমিদার বাড়ির অনেক ইতিহাস বলেছেন ৷ কিন্তু আজকে শুধু ফটোগ্রাফি ও বর্ননা ৷ আমি মাঝে মধ্যে ভাবি যদি বিশ্ব যুদ্ধ না আর ভারত পাকিস্তান বা বাংলাদেশ ভাগ না হতো ৷ তাহলে মনে হয় এখনো সেই জমিদারের জমিদারি চলতো ৷
যা হোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে ক্যাপচার করেছেন ৷ পরে পোষ্টে আরও নতুন কিছু দেখবো জানবো ৷
ঠিক বলেছেন এই বিভক্তি না হলে হয়তো এরাএতদিন আরো ফুলে ফেপে রমরমা হয়ে যেত। তবে সব জমিদার যে খারাপ ছিল এমন না। শুনেছি অনেক ভালো জমিদারও ছিল। ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য।
বেশ পুরাতন জমিদার বাড়ি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিলো। আসলে আগের দিনের জমিদার বাড়িগুলো এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমাদের এদিকে অনেক বড় একটি জমিদার বাড়ি রয়েছে। এই বাড়ির সাথে জমিদারদের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। অনেক ইতিহাস সাক্ষী এই বাড়ি। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অপেক্ষায় থাকলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ঐ জমিদার বাড়ি দেখার জন্য। আশাকরি নিরাশ করবেন না। শুভকামনা আপনার জন্য।