ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ বর্ষাকাল নাকি গ্রীষ্মকাল
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার ,২৫ জুন ২০২৪
আমরা ছোটবেলা থেকেই সকলের বই পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু বিদ্যমান। প্রত্যেক দুই মাস অন্তর অন্তর একটি করে ঋতু পরিবর্তন হয়। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে নতুন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর সেই পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতি সেজে ওঠে নতুন রূপে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যদি আপনারা আমাদের দেশের আবহাওয়ার দিকে একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখেন তাহলে কোনোভাবেই আপনারা আমাদের দেশে বিদ্যমান সেই ছয়টি ঋতুকে আর খুঁজে পাবেন না। আপনারা দেখলে এখন হয়তো বা দুই থেকে তিনটা ঋতু খুঁজে পাবেন। আর এই দুই তিনটা ঋতুর মধ্যে রয়েছে গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল। সত্য কথা বলতে এ বছর আমাদের দেশে এই দুইটা জিনিসই আমরা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করতে পেরেছি।
আচ্ছা আপনাদেরকে একটা প্রশ্ন করি এখন কোন ঋতু চলছে? হয়তোবা মাসের কথা চিন্তা করে আপনারা বলে ফেলবেন যে এখন বর্ষাকাল চলছে। কিন্তু আপনারাই খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখুন তো যদিও এখন বর্ষাকাল চলছে তার পরেও আমরা বর্ষার দিনে যে জিনিসগুলো লক্ষ্য করি তার কি কোন অংশই আমরা এখন লক্ষ্য করতে পারছি । যদিও এখন বর্ষাকাল চলছে তারপরও যদি আমরা কোন মানুষের কাছে বলতে চাই যে এখন আমার দেশে বর্ষাকাল বিদ্যমান তাহলে দেখা যাবে যে ওই মানুষটাই আমাদেরকে মারার জন্য আসবে।আসলে কারণটা কি আসলে এই বছরে এত বেশি পরিমাণে গরম পড়তে শুরু করেছে আর সে গরমে পরিমাণটা এতটাই বেশি যেখানে বর্ষাকাল হওয়া সত্ত্বেও আমরা গরম অনুভব করছি। যে সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার কথা ঠিক সেই সময়টাতে আমরা অনুভব করছি প্রচন্ড গরম। আমরা দিনের বেলায় যদি একটু বাইরে বের হয় তাহলেই দেখতে পাবো প্রচন্ড রোদের তাপ। আজ সেই রোদের তাপ এতটাই প্রখর যে বাইরে বের হওয়াটাই আমাদের সকলের জন্য কষ্টের হয়ে গিয়েছে। তাহলে বুঝুন এমন একটা মুহূর্তে যদি কেউ বলে যে এখন বর্ষাকাল চলছে তাহলে আমাদের না মেরে কি সে ভাত খাবে।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখতে যায় তাহলে আমরা ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখব যে জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য আমরা মানুষেরাই দায়ী। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলছি। আর গাছ কেটে ফেলার ফলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য প্রতিনিয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। যেহেতু আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য প্রতিনিয়ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই কারণেই আমার দেশে বিদ্যমান ঋতু গুলোর সংখ্যা ও কমে গিয়েছে। প্রচুর পরিমাণে গাছ কেটে ফেলার কারণে বাতাসে এখন কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। আর যেহেতু কার্বন-ডাই-অক্সাইড গরম তাই আমাদের পরিবেশেও গরমের পরিমাণটা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি প্রতিনিয়ত আমরা এভাবেই গাছ কাটতে থাকি তাহলে একটা সময় আসবে যখন আমাদের সকলের জীবন ধারণ করাটাই কঠিন হয়ে যাবে। একটা সময় আসবে যখন সূর্যের তাপ আরো বৃদ্ধি পাবে আর সেই সময়টাতে নদী নালা, খাল বিল, পুকুরের পানি খুব সহজেই বাষ্প হয়ে বাতাসে উড়ে যাবে। সেই মুহূর্তে আমাদের খাবার জন্য পানিও আমরা পাব না।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়তো এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আসলে এর জন্য আমরা মানুষেরাই দায়ী। আমরা আমাদের আশেপাশের পরিবেশ কে বিভিন্ন ভাবে নষ্ট করছি।আর এই নষ্ট করার ফলে, পরিবেশের আবহাওয়ার অনেক টা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আপনি আজকে খুবই সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম।
আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কিছু জানতে পেরেছেন ভাইয়া এটি জেনে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
বর্ষাকাল এখন আর বর্ষাকাল নাই। যতদিন যাচ্ছে তত বর্ষাকাল যেন গরমের দিনকাল হয়ে যাচ্ছে। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষজন। দীর্ঘদিন সব পানির আশায় থেকে থেকে বৃষ্টি হয়ই না হালকা একটু হলেও অতিরিক্ত গরম সৃষ্টি। দেখা যাক কতদিন চলে এভাবে।
বর্ষাকাল যে কিভাবে চলে যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে না। একফোঁটা পানির জন্য মানুষ কতই না কষ্ট করছে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের দেশে ঋতুগুলোর উপর স্পষ্টভাবে পড়ছে। গাছ কাটার ফলে যে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত। আমাদের পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে গাছ লাগানোর এবং সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আশা করি, সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হবো।
আমার কাছে মনে হয় আমাদের কারণেই হয়তো বা আবহাওয়া এরকম হয়ে গেছে। কেননা দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে এতে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা বন জঙ্গল কেটে ফেলা হচ্ছে আর এতে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।
এখন কাল গুলো আসলেই এলোমেলো হয়ে গেছে।শীতকালে বৃষ্টি হচ্ছে।গরমকালে শীত পড়ছে।আর বর্দাকালকে মনে হচ্ছে গ্রীষ্মকাল।ভালো লাগলো আপনার পোস্টের বিষয়টি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু এখন কাল গুলোই এলোমেলো হয়ে গেছে। বোঝাই যাচ্ছে না কোনটা কোন কাল। ধন্যবাদ আপু।
একটা সময় আমাদের দেশকে ছয় ঋতুর দেশ বলা হতো৷ তবে এখন ছয় ঋতুতো দূরের কথা ঠিকমতো তিনটি ঋতুও দেখা যায় না। ঋতুগুলোর পরিবর্তন এতটাই বেশি পরিমাণে ঘটে গিয়েছে যা একেবারে বলার বাহিরে৷ গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি হয়, বর্ষাকালের রোদ হয় এবং শীতকালে বৃষ্টি হয়৷ এরকম ঘটনা এখন আমাদের দেশের মধ্যে ঘটছে, যা আগে তেমন একটা দেখাও যেত না। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷