একটু এলোমেলো ঈদের আনন্দটা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার ,১৮ জুন ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি বেশ ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজকে আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রথমে আমি আপনাদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ঈদ মোবারক। প্রথমে আমি মনে করেছিলাম এই পোস্টটা কালকে শেয়ার করব কিন্তু কালকে এটা শেয়ার করা হয়নি এজন্য আজকে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গেলাম। ঈদ মানে হাসি খুশি ঈদ মানে আনন্দ কিন্তু ঈদের সেই খুশি টা এবার আমার খুব একটা ভালোভাবে হয়নি। ঈদের এই আনন্দটা ভালোভাবে উদযাপন না করতে পারো সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে আবু রায়হানের অসুস্থতা। গত কয়েকদিন যাবৎ আবু রায়হান এর গরম লেগেছে তাই সে একটু অসুস্থ আর এই কারণেই ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারিনি। প্রথমে মনে করেছিলাম তাকে ঈদের পোশাক পরাব কিন্তু পরবর্তীতে গরমের কারণে আর এবার ঈদের পোশাক পড়ানো হয়নি আবু রায়হানকে। কিন্তু ঈদের পোশাক না পরালেও সে তো দাদার সাথে ছবি তুলতে ভুলে যাইনি।
আবু রায়হানের সাথে ছবি তোলা হয়ে যাবার পরে আমি তাকে সেখান থেকে নিয়ে এসে ফ্যানের কাছে বসালাম। কারণ এমনিতেই তার গরম লেগেছে আর ঈদের দিন সকাল থেকে প্রচুর পরিমাণে গরম পড়ছিল এজন্য তাকে এর বাইরে রাখলাম না। আর সেই মুহূর্তে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা আরো কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছে। কিন্তু এই ফটোগ্রাফি তে আপনাদের ভাইয়া আর লিমন উপস্থিত থাকতে পারেনি কারণ তাদের দুজনের গোসল করা হয়েছিল না তখন পর্যন্ত।
আসলে আমার শ্বশুর আর বড় শ্বশুর দুজন মেয়ে মসজিদের মোয়াজ্জেন তাই তারা আগে থেকে রেডি হয়ে গিয়েছিল ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য ঈদগাহে যাবার জন্য। যেহেতু তাদের দুজনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে তাই সকাল হবার সাথে সাথেই তারা আগে থেকেই রেডি হয়ে গিয়েছিল ঈদগাহ ময়দানে যাবার জন্য। কারণ দায়িত্ববান লোকজন যদি ঈদগাহ ময়দানে পড়ে উপস্থিত হয় তাহলে কেমন হবে। এই কারণে তারা দুজনেই আগে থেকে রেডি হয়েছিল আর আগে থেকেই ঈদগাহ ময়দানে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। এই কারণটার জন্যই পরিবারের সকল সদস্যরা একত্রিতভাবে এবার ছবি তোলার মত সুযোগ হয়নি। যদি আবু রায়হান সুস্থ থাকবে তাহলে ঈদের আনন্দটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারতাম। যাইহোক আমরা কত ভালোভাবে উপভোগ করতে না পারলেও সারা দেশের মানুষেরা ভালোভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে এর জন্য আমি অত্যন্ত খুশি।
আজকে আর আমি বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময় আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। আবু রায়হানের অসুস্থতা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করতেছি। আপনার শ্বশুর ও বড় শশুর কে দেখতে ভীষণ ভালো লাগতেছে। আসলে মুয়াজ্জিনদের অনেকে দায়িত্ব থাকে তাদের সকাল সকালই যেতে হয়। বেশ সুন্দর একটা মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার শ্বশুর এবং বড় শ্বশুর দুজনেই তুমি মসজিদে মোয়াজ্জেম তাই তাদের একটু আগে আগে যেতে হয় ।
আসলে প্রত্যেকটা মুসলিমের জন্যেই ঈদ অন্যরকম আনন্দের আমাদের ঈদ মানে আনন্দ খুশি। ঈদের দিন অনেক গরম পড়েছে। আবু রায়হানের শরীর খারাপ শুনে খারাপ লাগছে। সন্তান অসুস্থ মা কি পারে ঈদ উদযাপন করতে। বুঝতে পারতেছি আপনাদের এই ঈদ অতটা ভালো যায় নাই।যেহেতু আপনার শ্বশুর মুয়াজ্জিন মুয়াজ্জিনদের অনেক দায়িত্ব থাকে। তাই তাদের সকাল সকাল রেডি হয়ে চলে যেতে হয় ঈদগাহ ময়দানে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতিগুলো তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সবাই যখন পাঞ্জাবি পায়জামা পরে ছবি তুলছিল আমার তখন ইচ্ছে করছিল আমার ছেলেটা কেউ সাজাতে ।কিন্তু ও অসুস্থ ,তার উপরে গরমে পাঞ্জাবি পড়ালে আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে তাই পড়ানো হয়নি। ধন্যবাদ আপু।
দাদার সাথে আবু রায়হানকে দেখতে বেশ ভালো লাগছে আপু। তবে, আবু রায়হানের অসুস্থতার কারণে যে ঈদ আনন্দটা পুরোপুরি ভাবে করতে পারেননি, সেটা জেনে একটু খারাপ লাগলো আপু। কিন্তু আপনি যে দেশবাসীর ঈদের আনন্দে নিজে খুশি হয়েছেন, এটা খুবই ভালো ব্যাপার। আমাদের এই মানসিকতাই রাখা উচিত, অন্যের আনন্দে নিজেকে খুশি রাখার ব্যাপারটা। যাইহোক, আবু রায়হানের যেহেতু গরম লেগেছে তাই তার সুস্থতা কামনা করছি। তাছাড়া আপনাদের সবার জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
কি করবো ভাইয়া ছেলে অসুস্থ তার পরেও ঈদের দিন তো তাই তাকে একটু হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি যেটা করেছেন, একদম ঠিকই করেছেন আপু।
ঈদের দিনটি খুব একটা ভালো কাটেনি আবু রায়হান এর অসুস্থতার জন্য আপনাদের।দোয়া করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক ও।এই গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।আসলে আবহাওয়ার যে অবস্থা অসুস্থ হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক না।মুয়াজ্জিন দের অনেক দায়িত্ব থাকে মসজিদে।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে মনে হচ্ছে আবহাওয়াটা যদি একটু স্বাভাবিক পরিবেশ আসতো তাহলে হয়তো বা সবাই সুস্থ হতো। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের আবু রায়হান এবার ঈদে অসুস্থ থাকার কারণে পুরো ঈদটাই যেন কেমন এলোমেলো হয়ে গেল। তবে সবাই ঈদে নতুন নতুন জামা কাপড় পড়ে ওরা আশেপাশে ঘুরছে এটা দেখে কিন্তু বেশ খুশি। আরও খুশি থাকলে আমরা খুশি। দোয়া করি বাবু যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। সোনা বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপনাদের দোয়ায় এখন আবু রায়হান একটু সুস্থ আছে।
প্রতিটা ঈদ সবার জন্য সুখময় হয় না পারিবারিক ব্যক্তিগত যে কোন কারণে সমস্যা হতেই পারে এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আবু রায়হানের জন্য আপনার মন অনেক খারাপ ছিলো কারন ছেলের শরীরটা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছিলো। এই গরমে বাচ্চাদের জন্য খুবই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে গা ঘেমে সেই ঘাম গায়ে বসে বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে তাছাড়া ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দোয়া করি পরবর্তী ঈদ আপনার জন্য সব সময় আনন্দ সুখময় হয়ে ফিরে আসুক।
এই লাইনটা পড়ে একটু ঠিক করে নিবেন। ধন্যবাদ
ঠিক আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সু স্বাগত আপনাকে ভালো থাকবেন।