অরিগ্যামি: রঙিন কাগজের প্লেন তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার,১ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে সকাল সকাল আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গোলাপি রঙের কাগজ ব্যবহার করে একটি প্লেন তৈরি। প্রতি সপ্তাহে আমি একটি করে রঙিন কাগজের অরিগ্যামি তৈরি করার চেষ্টা করি। গতকাল আমি এই প্লেনটি তৈরি করেছি। যেকোনো ধরনের অরিগ্যামি তৈরি করতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। কেননা অরিগ্যামি গুলো সম্পূর্ণ ভাঁজের মধ্যে দিয়ে হয়। যদি ভাঁজ ভালো না হয় বা একটু এদিক ওদিক হয়ে যায় তাহলে আর সুন্দর অরিগ্যামি তৈরি করা সম্ভব হয় না। তাই খুবই সাবধানে এই পোস্টগুলো তৈরি করতে হয়। প্লেন তৈরি করতে গিয়ে আমার অনেক সময় লেগেছিল। যাইহোক তৈরি করার পর আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আশা করছি আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে। কিভাবে আমি সম্পূর্ণ প্লেনটি তৈরি করলাম সেটা এখন শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
| ক্রমিক নম্বর | নাম |
|---|---|
| ১ | রঙিন কাগজ |
ধাপ-১
প্রথমে আমি গোলাপি রঙের দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমান একটি কাগজ নিয়ে নিলাম। এখানে আমি চারিদিকে ৫ ইঞ্চি করে মেপে নিয়েছি। প্রথমে আমি কাগজের মাঝখান দিয়ে একটি ভাঁজ দিয়ে দিলাম ।তারপর ভাঁজ টি খুলে অন্যপাশে মাঝখান দিয়ে ভাঁজ দিয়ে দিলাম। এরপর সবগুলো ভাঁজ খুলে ফেললাম।
ধাপ-২
আমি প্রথমে যেহেতু চার কোনায় ভাঁজ দিয়ে নিয়েছি তাই মাঝখান দিয়ে চার কোনায় সুন্দর দাগ পড়ে গেছে। সেই দাগ অনুযায়ী কাগজের চারকোনা মাথা মাঝখান অংশে ভাঁজ দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৩
এরপর কাগজের যে কোন এক কোনা কেন্দ্র করে এক পাশের কাগজ অর্ধেকটা ভাঁজ দিয়ে মাঝখান পর্যন্ত আনতে হবে। এরপর একই রকম করে অন্য পাশের কাগজে ও অর্ধেকটা ভাঁজ দিয়ে মাঝখান পর্যন্ত আনতে হবে। তবে কাগজের দুই অংশ যেন সমান থাকে এটা খেয়াল রাখতে হবে।
ধাপ-৪
এরপর কাগজের নিচের দিকে যে তিন কোনা অংশ অবশিষ্ট থাকবে ওটা উল্টো করে ভাঁজ দিয়ে দিতে হবে। ভাঁজ দেওয়ার পর ঠিক মাঝখান দিয়ে একটি ভাঁজ দিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
ঠিক একই রকম ভাঁজ দিয়ে আমি আরো তিনটি কাগজের প্লেনের অংশ তৈরি করে নিলাম মোট চারটি অংশ।
ধাপ-৬
এরপর সবগুলো কাগজের দুই কোনা অল্প করে মুড়িয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৭
এরপর একটি অংশের ভাঁজের মধ্যে আরেকটি অংশের ভাঁজের মোড়ানো অংশ ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। একইভাবে অন্যপাশের অংশ অন্য পাশে কাগজের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে। এভাবে বিপরীত পাশের অংশটা কাগজের ভাঁজ এর মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে প্লেনের দুই পাখা।
ধাপ-৮
এরপর যে একটি অংশ অবশিষ্ট থাকবে সেটি পাখার পেছনের অংশে লাগিয়ে প্লেনের পেছনের অংশ সম্পন্ন করতে হবে। পেছনের অংশেও ভাঁজের দুইটি মুখ থাকবে সেই দুইটি ভাঁজের মধ্যে অবশিষ্ট অংশের ভাঁজ ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। তাহলে প্লেন তৈরি সম্পন্ন হবে।
ধাপ-৯
প্লেন তৈরি করা সম্পন্ন হয়ে গেলে আমি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। প্লেন তৈরি করার পর আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। আজ এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাগজ দিয়ে দারুন একটি অরিজামি প্লেন বানিয়েছেন আপু। কাগজের যে কোন কিছু বানান না কেন যদি ভাজগুলো পরিপূর্ণ দেওয়া যায় তাহলে সেই জিনিসগুলো বানানোও অনেক সহজ হয়ে যায়। আর দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে। আপনার প্লেনটি দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক শক্ত ও পাকাপোক্ত মজবুত হয়েছে। ভাবছি এই প্লেনটি আমাদের এখানে আসলে আপনাদের বাসায় বেড়াতে যাব।
আপু আপনার কমেন্টের মধ্যে একটু ভুল আছে ঠিক করে নিবেন। ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ ভাজ করে প্লেন তৈরি করা যায় আর এই রঙিন কাগজগুলোকে ভাজ করে পর্যায়ক্রমে কিভাবে প্লেট তৈরি করা যায় সেটা আজকের পোস্টের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ভাই আপনি প্লেন লিখতে গিয়ে প্লেট উঠে গেছে একটু ঠিক করবেন। খুবই সুন্দর মতামত জানিয়েছেন ধন্যবাদ।
যথেষ্ট সঠিক বলেছেন আপনি ,এইরকম অরিগামি গুলি তৈরি করতে ভাজ দেওয়ার প্রতি সবথেকে বেশি খেয়াল রাখতে হয়। সঠিকভাবে ভাজ না হলে মোটেও ভালো অরিগামী তৈরি হয় না। রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি প্লেন তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটা ধাপও খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভালোই হলো কারণ কিভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে প্লেন তৈরি করা যায় সেটি শিখে ফেললাম , অরিগামিটি চমৎকার হয়েছে আপু।
ভাইয়া ভাঁজ যদি সঠিকভাবে হয় কিন্তু একটু কম বেশি হয়ে যায় তাহলে আর সুন্দর হয় না। তাই খুবই সতর্কতার সাথে যেকোনো ধরনের অরিগ্যামি গুলো তৈরি করতে হয়।
ছোট বেলায় যখন আমি স্কুলের মধ্যে পড়াশোনা করতাম, তখন আমরা আমাদের ক্লাসের বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে এমন ধরনের জিনিস পত্র তৈরি করেছিলাম। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে রঙিন কাগজের প্লেন তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা কাগজের প্লেন টি অসাধারণ হয়েছে আপু।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বই খাতার কাগজ ছিঁড়ে ছিঁড়ে আমরাও তৈরি করতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু অরিগ্যামি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় কারণ অরিগ্যামি ভাজের মাধ্যমে করতে হয়।আপনি আজকে রঙ্গিন কাগজ দিয়ে চমৎকার সুন্দর একটা প্লেন বানিয়েছেন এবং বানানো পদ্ধতি ধাপে ধাপে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। বেশ চমৎকার হয়েছে প্লেনটি।ধাপে ধাপে প্লেন তৈরি পদ্ধতি সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করি আপু প্রতিটি ধাপ দেখে আপনারাও যেন তৈরি করতে পারেন ধন্যবাদ।
রঙ্গিন কাগজের ভাঁজে ভাঁজে বেশ সুন্দর একটি অরিগ্যামি তৈরি করে ফেললেন। আপনার প্লেনের অরিগ্যামি দেখে অনেক ভালো লাগলো।প্লেনটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।তবে এ কাজগুলো অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে এবং সময় নিয়ে
করতে হয়।সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জ্বী আপু অরিগ্যামি মানেই ভাঁজ তাই এগুলো খুবই সাবধানে এবং সময় নিয়ে করতে হয় ধন্যবাদ।
রঙিন কাগজ দিয়ে আজ আপনি অনেক সুন্দর একটা প্লেনের অরিগ্যামি তৈরি করেছেন। এভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে কোনো কিছু তৈরি করা হলে দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে। এরকম দক্ষতা মূলক কাজগুলো আমার কাছে সব সময় খুব ভালো লাগে। ভাঁজে ভাঁজে এগুলো তৈরি করে কিন্তু অনেক সময়ের ব্যাপার।
আপু আমার তো প্লেনটি তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু।
কাগজের তৈরি অরিগ্যামি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার। আপনি আজকে প্লেন তৈরি করেছেন। ছোটবেলায় স্কুলে যখন টিফিন দিত তখন এরকম প্লেন বানিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল একদম।
একদম আমার মনের কথা বললেন আপু আমরাও টিফিনের সময় বই খাতার পেজ ছিঁড়ে ছিড়ে এভাবে প্লেন তৈরি করে খেলা করতাম। ধন্যবাদ আপু।
এই ধরনের সুন্দর সুন্দর অরিগ্যামি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা আজকের এই প্লেনের অরিগ্যামি আমার তো দারুন পছন্দ হয়েছে। দেখতে কিন্তু অনেক বেশি কিউট লাগছে। ভাঁজে ভাঁজে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এগুলো তৈরি করার পর, উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করা কিন্তু কষ্টকর। আপনি এত সুন্দর করে তৈরি করেছেন এটা দেখে ভালো লেগেছে। আশা করছি এরকম সুন্দর হাতের কাজ সব সময় শেয়ার করবেন।
আপনার কাছে আমার রঙিন কাগজের তৈরি প্লেনটি ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মতামত দেওয়ার জন্য।