অরিগ্যামি: নারিকেলের পাতা দিয়ে ঘড়ি তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার ,২০ ডিসেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগে স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা । কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব খুবই মজার এবং সুন্দর একটি অরিগ্যামি পোস্ট। ইতিমধ্যে আপনারা আমার তৈরি করা অরিগ্যামি টি দেখতে পেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব নারিকেলের পাতা দিয়ে হাতঘড়ি তৈরি। ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই ধরনের খেলনা গুলো তৈরি করে খেলা করতাম। গতকাল বিকেলে নারিকেল গাছ পরিষ্কার করার সময় অনেকগুলো পাতায় এভাবে পড়েছিল বাচ্চারা পাতা দিয়ে অনেক ধরনের খেলনা তৈরি করছিল। তাদের এই খেলনাটা দেখে আমার মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় এভাবে পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করার কথা। তাই ভাবলাম এটা আমাদের শৈশবের স্মৃতি এই জন্য নারকেলের পাতা দিয়ে সুন্দর করে একটি হাতঘড়ি তৈরি করে ফেললাম। তারপর সেটা আবার আমার ছেলের হাতে দিয়ে সুন্দর করে একটি ছবি তুললাম। যদিও আবু রায়হান ছবি তুলতে দিচ্ছিল না জোর করে তুলেছি। যাইহোক আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্ট আশা করছি ভালো লাগবে। কিভাবে আমি সম্পূর্ণ ঘড়িটা তৈরি করলাম সেটা এখন শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | নারিকেল গাছের পাতা |
২ | কাঁচি |
ধাপ-১
এখানে আমি পরিমাণ মতো পাতাগুলো সুন্দরভাবে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।প্রথমে আমি লম্বা চিকন ১২ ইঞ্চি সাইজের একটি পাতা কেটে নিলাম। এরপর ৪ ইঞ্চি সাইজের আরেকটি পাতা কেটে নিলাম। এরপর বড় পাতার যেকোনো এক মাথার শেষের দিকে এক ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা রেখে ছোট পাতাটি রাখতে হবে।
ধাপ-২
এরপর ছোট পাতাটি দুইটা অংশে ভাগ করে একটি অংশের অর্ধেকের বেশি অংশ অন্যদিকে ভাঁজ দিয়ে দিতে হবে। এরপর ঠিক অন্য পাশের অবশিষ্ট পাতা টুকু তার বিপরীত দিকে একই রকম করে ভাঁজ দিয়ে দিতে হবে। তবে দুইটি ভাঁজ একই দিকে পড়বে।
ধাপ-৩
এরপর যে অংশটুকু বাকি থাকবে সেটা দুমড়িয়ে পাতার ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। তারপর বড় পাতার অন্য মাথাটি এনে ছোট পাতাটি ভাঁজ দেওয়ার পর যে ফাঁকা অংশ থাকে সেখানে লাগিয়ে দিতে হবে। এখানে লাগানোর সময় অবশ্যই হাতের মাপ দিতে হবে। তবে এটা বড় করে তৈরি করলেও সমস্যা নেই পরে ছোট করা যাবে।
ধাপ-৪
এভাবে তৈরি করা হয়ে গেলে আমি ঘড়ির মূল অংশে কলম দিয়ে একটু ঘড়ি টাইম গুলো লিখে দিয়েছি। এভাবেই সম্পূর্ণ করলাম আমার আজকের অরিগ্যামি। আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই জানাবেন। আর এই ঘড়ি তৈরি দেখে আপনাদের কিসের কথা মনে পড়েছে সেটাও জানাবেন। আশা করছি ভালো লাগবে। আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নারিকেলের পাতা দিয়ে তৈরি করা ঘড়ি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আপনি দারুন ভাবে এই ঘড়ি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন। ঘড়িটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। ছোটবেলায় এই ধরনের ঘড়ি অনেক তৈরি করা হতো।
ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলার কথা মনে পড়ে আমি এই পোস্ট তৈরি করেছি।
এই নারিকেল পাতার হাত ঘরি বানিয়ে হাতে কতো দিয়েছি। খুব ভালো লাগতো এই ঘরি বানিয়ে হাতে দিতে।আপনি আজকে এই ঘরি বানিয়ে হাতে দিয়ে আমার শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।খুব সুন্দর হয়েছে আপনার বানানো ঘরিটি ধাপে ধাপে ঘরি বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও প্রথম যখন এই ঘড়িটি দেখেছিলাম ঠিক এই কথাটি মনে হয়েছিল আপু আমার। আপনার ও শৈশবের কথা মনে পড়ে গেছে যেন ভালো লাগলো।
আপু ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।আগে এমন ঘড়ি চশমা কত বানাতাম, কাঁঠাল পাতা দিয়ে চামচ। আমা পাতা দিয়ে পুতুল এর ব্যাগ। আপনি অনেক সুন্দর করে ঘড়ি বানিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আপনাদের সাথে অবশ্যই আগামী সপ্তায় চশমার অরিগ্যাম শেয়ার করব।
শৈশবের অনেকটা স্মৃতি জুড়ে রয়েছে এই নারিকেল পাতার ঘড়ি। কতইনা সুন্দর ছিল এই ঘড়ি। কোন সময় জ্ঞান ছিল না সময়ের কোন পরিবর্তন হতো না। শৈশবে নারিকেল পাতার ঘড়ি পড়েনি এরকম খুব কম মানুষই রয়েছে। নারকেল পাতার ঘড়ি নারকেল পাতার চশমা এই দুটোই আমার ভীষণ পছন্দের ছিলো।শৈশবে সেই রঙিন স্মৃতির এক অংশ আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু যখন এই ঘড়িটা হাতে যেতাম তখন সময়ের কোন চিন্তা ছিল না আর কয়টা বাজে এটাও জানতাম না। আস্তে আস্তে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপু।
নারিকেলের পাতা দিয়ে ছোট কালে আমরা অনেক ঘড়ি বানাতাম। আপনি দেখতেছি নারিকেল পাতা দিয়ে সুন্দর ঘড়ি বানিয়েছেন। তবে ছোট বাচ্চারা এই ঘড়িগুলো ফেলে তারা খেলাধুলা করতে খুব পছন্দ করে। সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নারিকেলের পাতা দিয়ে ঘড়ি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একদম ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার দাদী যখন নারিকেল পাতা থেকে এর খিল তুলত তখন আমাদের ঘড়ি ও চশমা তৈরি করে দিত। তাই নিয়ে আমরা খেলতাম। এমনকি নারিকেলের এই পাতার উপর গড়াগড়ি করতাম। যেন মধুর স্মৃতি মনে পড়ে গেল এক মুহূর্তে।
আপনার নারিকেলের পাতার ঘড়ি দেখে ছোট সময়ের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোট সময় নারিকেলের পাতা দিয়ে এরকম ঘড়ি ও চশমা তৈরি করতাম। আপনার অরিগামিটা খুবই সুন্দর হয়েছে। শিশুকালের স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।