আবু রায়হানের অসুস্থতার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার,২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তবে আমার ছেলে অসুস্থ। তাই ওকে নিয়ে গতকাল ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম আজকে এটা নিয়েই আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করি। কিছুদিন আগে আমার ছেলে বেশ ভাল ছিল। নিয়ম মত খাবার খেতেও উঠে দাঁড়ালো ,এমনকি অনেক কথা বলা শিখে গেছে। তবে আজ কয়েক দিন হঠাৎ করে ই ওর খাওয়া-দাওয়া একদম বন্ধ হয়ে গেল। কিছুই খেতে চায় না। আমরা বিভিন্ন কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরমধ্যে ও নুডুলস খেতে ভীষণ পছন্দ করলো। বেশ কয়েকদিন ধরে তিন বেলা শুধু নুডুলস খেত। অনেকেই বলছে নুডুলস খেলে নাকি বাচ্চার অন্য কিছু খেতে চায় না। তবে আমি ঠিক জানিনা। এ বিষয়ে আপনাদের মতামত একটু আমাকে জানাবেন।
গত ২-৩ দিন ধরে নুডুলস ও ঠিকভাবে খায় না। দেখতে দেখতে ছেলেটা শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। গতকালকে মেপে দেখি ওর ওজন আগের থেকে অনেক কমে গেছে। আর এটা যখন আমি আমার মাকে বলি তখন আমার মা বলে আবু রায়হানকে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত। তাই আর দেরি না করে আমি ওর আব্বুর কাছে ফোন দেই। ওর আব্বুকে সব বলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলি। ওর আব্বু স্কুল থেকে এসে বিকেলবেলা আমরা ডাক্তার দেখানোর জন্য রওনা দি। আমরা বিকেলবেলা যাওয়ার কারণে ডাক্তারের কাছে তেমন একটা রোগী ছিল না। একজন মাত্র ছিল ডাক্তার ওনাকে দেখে আমাদেরকে ডাক দিলেন। আমি আবু রায়হানকে কোলে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে বসলাম। আবু রায়হান তো ডাক্তারকে দেখে ভীষণ হাসিখুশি। আমার ছেলে যে কোন মানুষকে দেখে খুবই আনন্দিত হয় আর তাদের কোলে যাওয়ার জন্য কথা বলার চেষ্টা করে। ডাক্তার টি অনেক ভালো আবু রায়হান কে অনেকক্ষণ কোলে নিয়ে আদর করলো।
তারপর আবু রায়হানের অসুস্থতার কথা ডাক্তার কে বলে ওষুধপত্র নিয়ে নিলাম। আবু রায়হানকে আমরা ছোট থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়াই। ছোট থেকে ওকে খাওয়ানোর কারণে এখন বেশ ভালোই কাজ করে হোমিওপ্যাথি। আমার কাছে মনে হয় বাচ্চা কে ছোট থেকে হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ালে অনেক ভালো হয়। আমরা ঔষধ নিতে নিতে অনেক মানুষজন চলে আসলো ডাক্তারের কাছে। এরপর আমার কিছু ঔষধ নিলাম। তারপর ডাক্তার দেখানো হয়ে গেলে আমরা চলে আসলাম। এরপর জোড় পুকুরে আমার নানি বাড়ি। জোর পুকুর বাজারে আমার নানার বড় দোকান আছে। সেখানে নেমে আমরা কিছুক্ষণ আমার নানার সাথে সময় অতিবাহিত করলাম।
আমার নানা আবু রায়হানের জন্য দুধ, নুডুলস সহ অনেক কিছু দিলো। আমার নানা বার বার বলছিল বাড়িতে যেতে। কিন্তু আমরা যাইনি কেননা আবু রায়হান অসুস্থ ছিল তারপর আবার সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। এরপর সেখান থেকে আমরা বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে মায়েরাও অসুস্থ হয়ে যায়। আবু রায়হান না খাওয়ার কারণে সারাদিনই প্রায় জ্বালাতন করে । এমনকি রাতেও ঠিকভাবে ঘুমাতে পারে না বারবার উঠে পড়ে। কিন্তু আগে যখন ঠিক ভাবে খাবার খেতো তখন সারা রাতে একবার ও ঘুম থেকে উঠতো না। আশা করছি আবু রায়হান ঠিকঠাক ভাবে ঔষধ খেয়ে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।আপনারা আমার বাচ্চার জন্য দোয়া করবেন। আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাচ্চারা যখন অসুস্থ হয়, তখন বাচ্চার চেয়ে বাবা মায়েদের অস্থিরতাই বেশী বেড়ে যায়! ডাক্তার হিসেবে বিষয়টা একরকম লাগে, আবার বাবা হিসেবে অন্য রকম।
আবু রায়হান এর সুস্থতার জন্য দোয়া রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাচ্চারা অসুস্থ হলে মা বাবার অস্থিরতা বেশি বেড়ে যায়। আর বাচ্চা যদি কথা বলতে না পারে, সেই বাচ্চার আরও কস্ট। কি সমস্যা হচ্ছে তা বলতে পারে না। বুঝাতে পারছে তার অসুবিধার কথা। তবে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখিয়ে ভালো করেছেন। দোয়া করি দ্রুত যেনো সুস্থ হয়ে উঠে আপনার ছেলে।
ঠিক বলে বাচ্চারা যেহেতু কথা বলতে পারে না তাই ওদের অসুস্থতা আসলে ঠিক কোন জায়গায় সেটা বোঝায় বড় কঠিন হয়ে পড়ে।
নিজের সন্তান অসুস্থ থাকলে খুবই কষ্ট লাগে। তাই সব সময় মন চায় কখনো আমার বাবু সুস্থ হবে এবং হাসিখুশি ভাবে খেলবে। যাইহোক বাবুরা সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক সৃষ্টিকর্তা যেন সবসময় তাদের হেফাজতে রাখে সেই দোয়া রইল।
ইনশাআল্লাহ,ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চা অসুস্থ হলে মায়েদের চিন্তার শেষ থাকে না।হোমিওপ্যাথি ঔষধ আমাদেরকে ও আমার আম্মু ছোট বেলা দিয়েছেন।এখন আসলে ভালো হোমিওপ্যাথির সন্ধান জানা নেই।তাই বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়না।আপু আপনার ছেলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।ধন্যবাদ আপনাকে আপনি আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি ছোট থেকে আবু রায়হানকে এখান থেকে ঔষধ খাওয়ায়। আর আল্লাহর রহমতে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে আমার বাবু।
হরেন ডাক্তারের ঔষধ খাওয়াতে পারলে বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো হয়। যেহেতু জোড়পুকুর নিজের নানার বাসায় এবং সেখানেই নানার দোকান রয়েছে। যে কোন মুহূর্তে একটু সময় করে গেলেই নিজেদের জন্যই ভালো হয়। ডাক্তারের ঘরে সিরিয়াল দিয়ে চলে আসতে হবে নানার বাড়িতে। অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
নানার বাসা হওয়ার কারণে বেশ সুবিধায় হয়েছে আমাদের। যেকোনো সমস্যা হলে নানা বাড়ি চলে যাওয়া হয়।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা অসুস্থ হলে মা বাবার দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। কিন্তু আপনারা ভালোভাবে খেয়াল রাখেন জেনে খুশি হলাম। কারণ বাচ্চার যত বেশি যত্ন নেওয়া হয় ততই বাচ্চা বৃদ্ধি পায়। আপনারা বাচ্চাকে নুডুলস খাওয়ান আমার মনে হয় নুডুলস এর পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দিলে আরো বাঁচার জন্য ভালো হবে। আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
আপু কিছুই খায় না পরবর্তীতে আমরা নুডুলস খাওয়ার চেষ্টা করি তখন নুডুলস খেতে পছন্দ করে তাই নুডুলস খাওয়াই। তবে এখন নুডুলসের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে খুবই খারাপ লাগে মায়েদের।চোখের সামনে বাচ্চার কষ্ট সহ্য করা যায় না। বড়রা অসুস্থ হলে একদম নেতিয়ে পড়ে আর ও তো ছোট বাচ্চা। দোয়া করি আপু আপনার বাবু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে যায়।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু বড়রা অসুস্থ হলে তেমন একটা কষ্ট হয়না কিন্তু বাচ্চারা অসুস্থ হলে ভীষণ খারাপ লাগে।
সন্তান অসুস্থ হলে মা বাবার অনেক টেনশন হয়। বর্তমানে যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা আছে সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব ছোট বাচ্চারা সহ্য করতে পারছে না। যাইহোক ঠিকঠাকভাবে আবু রায়হানের যত্ন নিবেন। ধন্যবাদ।