ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার,১৫ নভেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন । আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি । প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।গত কয়েকদিন আবু রায়হান কিছুটা অসুস্থ ছিল। আবু রায়হান অসুস্থ থাকার কারণে তাকে নিয়ে আমরা হসপিটালে গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য। ডাক্তারের কাছে যাবার পরে আমরা অনেক বেশি পরিমানে ভোগান্তির শিকার হয়েছিলাম গত দিনে। যেহেতু আমি আগে থেকেই জানতাম যে শিশু ডাক্তার দেখানোর জন্য একটু বড় লাইন দাঁড়াতে হয় তাই আমরা সকালের দিকেই পৌঁছে গিয়েছিলাম হসপিটালে। সকালের দিকে হসপিটালে পৌঁছানোর কারণে আমাদের সিরিয়াল ছিল ৮ নম্বরে। যেহেতু ৮ নম্বর সিরিয়ালে নিজের অবস্থান পেলাম তাই মনে করেছিলাম যে কোন ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হবে না অল্প সময়ই আমরা ডাক্তার দেখিয়ে চলে আসতে পারবো।
কিন্তু আমার ধারনাটা পুরোটাই ভুল ছিল। তবে আমার আশা করাটা ঠিক যেন না এর আগে আমরা ১২ নম্বর সিরিয়ালে থেকে প্রায় বারোটার মধ্যে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। তবে গতকাল ডাক্তারের আসতে অনেক দেরি হয়ে যায়। প্রতিদিন ডাক্তার আসে দশটায় কিন্তু ওইদিন আসে এগারোটায়। যখন আস্তে আস্তে সিরিয়াল আরো বেড়ে যেতে লাগলো। তখন একজন ডাক্তারের কাছে কল দিলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন কখন আসবে। তখন ডক্টর বলল ওনার চাচা মারা গেছে তাই আসতে একটু দেরি হবে। আমি তো কথাটি শুনেই বসে পড়লাম। কেননা ডাক্তার এসে দেখতে দেখতে অনেক দেরি হয়ে যাবে এতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। এরপর বসে থাকতে থাকতে 11:00 টায় ডাক্তার আসলো। তবে ডাক্তার দেরি করে আসাতে অন্য ডাক্তাররা দেখতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা দেখাইনি। কেননা পরবর্তীতে যদি আবার অন্য কোন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সব সময় চেষ্টা করি শিশুকে যেকোনো একটি ডাক্তার দেখাতে।
অনেকক্ষণ বসে থাকার পর আমার তো ধৈর্যের প্রায় শেষ হবার সময়। এর মধ্যে যখন আমার সিরিয়ালটা দেখা হল তখন একটু স্বস্তি পেলাম। আর বাবুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার বাবুকে দেখে একটি মলম ও কিছু ঔষধ লিখলেন। তারপর ওখান থেকে আবার আমার ডাক্তার দেখাতে গেলাম। সেখানে গিয়েও বড় এক লাইন। লাইন দেখে আমি তো মনে করেছিলাম আজকে আর ডাক্তারি দেখাবো না বাড়িতে চলে আসব। কিন্তু পরবর্তীতে আবারো বাচ্চাকে নিয়ে আসা লাগবে সেই কারণে বিরক্তবোধ হয়েও ডাক্তার দেখাতে হল। আবার সিরিয়াল করে দাঁড়াতে হলো লম্বা লাইনে। আপনারা দুইটি লাইন দেখতে পাচ্ছেন একটি শিশু ও একটি বড়দের। বড়দের লাইনে আমার সিরিয়াল পরল ১১২। তবে আমি আগে যদি সকাল-সকাল সিরিয়ালটা কেটে রাখতাম তাহলে হয়তোবা একটু কম ভোগান্তির শিকার হতাম। যাইহোক পরবর্তীতে আমার ডাক্তার দেখাতে প্রায় ২ টা বেজে গেল।
এরপর ক্লান্ত শরীর নিয়ে গেলাম ঔষধের দোকানে ঔষধ কিনতে। সেখানে গিয়েও দেখলাম অনেক ভিড়। তারপর ওখান থেকে ঔষধ নিয়ে বাসায় আসতে আসতে তিনটা বেজে গেল। সারাদিন অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করলাম। যার কারণে রাতে আর আপনাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করতে পারেনি। গতকালের দিনটা সত্যি অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছে। আমার কাছে তো মনে হয় সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে এরকম লম্বা লাইন পরে। আর প্রত্যেকেরই এরকম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তবে এর মধ্যে আমার সবথেকে ভালো লাগে যদি সঠিক ভাবে ডাক্তার দেখানো যায়। কেননা সরকারি হাসপাতালগুলোর ডাক্তার গুলো বেশ ভালো। যাইহোক আমার ভোগান্তি নিয়ে আজকে এখানে শেষ করছি। আশা করছি এর পরবর্তী থেকে আপনাদের মাঝে নিয়মিত পোস্ট শেয়ার করতে পারব। সবাই ভাল ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডাক্তার দেখাতে গেলে ভোগান্তির শেষ নেই। তারপর আবার ডাক্তারের চাচা মারা গিয়েছে। যাইহোক অবশেষে ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আর বাচ্চাদের এক ডাক্তার দেখান উত্তম। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এক ডাক্তার দেখাবো বলেই তো এত ভোগান্তি আপু।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাচ্চাদের নিয়ে গেলে অনেক সমস্যা। দীর্ঘ সিরিয়াল দিয়ে থাকতে হয় মানুষের চেঁচামেচি। এজন্য আমি আমার বাবুকে সব সময় ক্লিনিক বাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে দেখানোর চেষ্টা করতাম। যাইহোক আপনার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া করি। সুস্থ হয়ে যান আপনাদের মুখে হাসি রাখতে পারে এবং দ্রুত আগের মত অবস্থায় চলে আসে।
আপু একটু ধৈর্য ধরে যদি সরকারি হাসপাতালগুলো দিয়ে ডাক্তার দেখানো যায় তাহলে খুবই ভালো হয়।
বর্তমান সময়ে একজন রোগীর থেকে অসুখ হওয়া যতটা বেদনাদায়ক তার চাইতে আরো অনেক বেশি কষ্টের বিষয় হচ্ছে হাসপাতালে যেয়ে ডাক্তার দেখাতে যত ভোগান্তির শিকার হতে হয়। খুবই খারাপ লাগে আসলে বিষয়টা। রোগ না হলে খুব শান্তিতে থাকি আমরা। বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
ঠিক বলেছেন আপু রোগ না হলে আমরা বেশ শান্তিতে থাকি। তবে রোগ হলে এর ভোগান্তি তো নিতে হয়।
বাচ্চারা অসুস্থ হলে খুবই খারাপ লাগে। আমিও বেশ কিছু দিন ভুগেছি বাবুর অসুস্থতা নিয়ে। কিন্তু আবারো নানার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে না জানি রোগ নিয়ে আসে। যাই হোক তোমার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো।
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়াতে আমার বাবু এখন সুস্থ আছে।
এখন হসপিটাল এবং ক্লিনিকগুলোতে গেলে একদমই ভালো লাগেনা।অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যেমনটা আপনি আপনার বাচ্চাকে নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন।এই সময়টাতে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে আপু। আমার ছেলে অনেক অসুস্থ। আপনার বাচ্চার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।