রেসিপি: শিশুদের জন্য মজাদার সবজি খিচুড়ি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার,১৬ নভেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে আমি একটি করে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি কিন্তু আজকের রেসিপিটা একটু ভিন্ন। সব সময় আমরা বড়দের জন্যই বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেম এখানে শেয়ার করি। কিন্তু আজকে আমি বাচ্চাদের একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আমার জানামতে কম বেশি এখানে প্রত্যেকের বাড়িতেই ছোট-বড় বাচ্চা রয়েছে। আর সব সময় বাচ্চাদের জন্য আলাদা করে কোনো খাবার রান্না করা হয়।অনেক বাচ্চারা আছে সাবু অথবা সুজি খেতে চায় না। তাদেরকে আমরা যদি এই খাবারটি রান্না করে দেই তাহলে কিন্তু বেশ ভালো হয়। আমার বাচ্চাকে আমি মাঝে মাঝে এই রেসিপিটা তৈরি করে দেই। বলতে পারেন এটি বাচ্চাদের সবজি খিচুড়ি। আমার বাচ্চাকে মাঝে মাঝে রান্না করে দিলে খেতে পছন্দ করে। তবে নিয়মিত দিলে একদমই খেতে চাই না। এইতো কয়েকদিন আগে আমি এই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম । ভাবছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাই ছবিগুলো তুলেছি। এখান থেকে যদি আপনার আমাকে আরো কোন টিপস দিতে পারেন। সেই আশাতেই আমার আজকের এই পোস্ট। এই খাবার বাচ্চার জন্য কতটুকু ভালো এবং কোনটা কতটুকু দিলে বেশি ভালো হবে অনেকেই খুবই ভালো জানেন। আশা করছি আপনারা সবটুকু দিয়ে আমাকে উৎসাহ দিবেন এবং সঠিক পদ্ধতি জানাবেন। কিভাবে আমি এই রেসিপিটা তৈরি করেছি সেটা এখন শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | সাধারণ চাল |
২ | পোলাও চাল |
৩ | ছোলা ডাল |
৪ | মুগ ডাল |
৫ | কলাই ডাল |
৬ | মসুর ডাল |
৭ | আলু |
৮ | ফুল কপি |
৯ | তেল |
১০ | মিষ্টি কুমড়া |
১১ | পেঁয়াজ কুচি |
১২ | জিরা ও ধনিয়া বাটা |
১৩ | কাঁচা মরিচ |
১৪ | লবণ |
১৫ | আদা |
ধাপ-১
প্রথমে আমি সাধারণ চাল নিলাম চার চামচ এবং পোলাও এর চাল নিলাম চার চামচ। এরপর মসুর ডাল নিলাম তিন চামচ, ছোলার ডাল এক চামচ, কলাইয়ের ডাল হাফ চামচ,মুগ ডাল দুই চামচ। এরপর আমি ছোট দেখে দুই টুকরা মিষ্টি কুমড়া নিয়ে নিলাম। তারপর ছোট ছোট ৩-৪ টুকরা ফুলকপি নিয়ে নিলাম।
ধাপ-২
এরপর হাফ চামচ ধনিয়া ও হাফ চামচ জিরা নিয়ে নিলাম। তার সাথে একটুখানি পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিলাম। এখানে আমি অল্প একটু আদা বেটে নিয়েছি। এরপর আরো কিছু পেঁয়াজ কুচি ও একটি কাঁচা মরিচ নিয়ে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপর আমি একটি ছোট আলু কেটে কয়েক টুকরো করে নিলাম। তারপর সবগুলো উপকরণ পরিষ্কারভাবে ধুয়ে প্রেসার কুকারের মধ্যে দিয়ে দিলাম। আলু ,মিষ্টি কুমড়া ও ফুলকপি আমি একসাথে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। তারপর স্বাদমতো লবণ ও পরিমাণ মতো তেল দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিলাম।
ধাপ-৫
এরপর প্রেসার কুকার চুলায় বসিয়ে 6 থেকে 7 টা শিস তুলে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ পরে প্রেসার কুকার খুলে একটি বাটিতে খিচুড়ি গুলো নামিয়ে নিলাম।
ধাপ-৬
আর এর মধ্যে সম্পূর্ণ আমরা আজকের রেসিপি। শিশুদের এভাবে রেসিপি তৈরি করে আমি মাঝেমধ্যেই খাওয়াই। তবে বড়রাও চাইলে এভাবে খিচুড়ি রান্না করে খেতে পারে। আজকে এখানে শেষ করছি। আমার আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার মেয়ে যখন ছোট ছিল এই একই জিনিস রোজ বানাতাম। আর ওর সাথে আমিও খেয়ে নিতাম। আপনার পোস্ট দেখে আমার ওইদিনগুলো মনে পড়ছে। জানেন আমার মেয়েকে এই খিচুড়ি আজও দিলে আনন্দ করে খায়। মাঝে মাঝে ভাবি ও বড়ই হয়নি। হা হা হা।
আপু মায়ের কাছে সন্তানরা কখনোই বড় হয় না। সত্যিই এই খিচুড়িতে অনেক পুষ্টি।
রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপু বাচ্চাদের এভাবে খিচুড়ি খাওয়ালে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ভালো। বিশেষ করে বাইরের খাবার গুলো না দিয়ে যদি প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন কিছু আইটেম তৈরি করে খাওয়ান তাহলে বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনি বেশ উপকারী একটি রেসিপি শেয়ার করলেন।
ধন্যবাদ এই রেসিপিটা কিন্তু বড় ছেলেমেয়েদেরও খাওয়ানো যাবে।
বেশ ভালো লাগলো দেখে এত সুন্দর ভাবে বাচ্চাদের সবজি রেসিপি তৈরি করা। এখন থেকে বাবুর জন্য এভাবে সবজি রেসিপি তৈরি করে খাওয়ালে বাবুর জন্য অনেক ভালো হবে। আমিও ভেবেছি আমার বাবুর এভাবে সবজি রান্না করে খাওয়াতে বলবো।
নিশ্চয়ই খাওয়াবেন ছয় মাসের পর থেকে এরকম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে তুলবেন।
অনেক সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করেছো দেখলাম। বাবুদের এই সময়ে এভাবে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ালে তাদের খাওয়ার প্রতি চাহিদা বাড়ে এবং সুস্থ থাকে। তোমার বাবুর জন্য অনেক দোয়া করি এবং এভাবে খাওয়াতে থাকো।
রান্না করতে তো অসুবিধা না আপু কিন্তু বাচ্চা যে খেতে চায় না।
বাচ্চাদের এমন খিচুড়ি খাওয়ানো অনেক ভালো। আমিও মাঝেমধ্যে এমন খিচুড়ি রান্না করে আমার মাহাদিকে খাওয়াই। কিন্তু এর ভেতর আমি পুইয়ের শাক ব্যবহার করে থাকি। আজকে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করেছেন ।ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল।
আপু এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করা যাবে। ধন্যবাদ আপু।
আমিও আমার মেয়েকে ছোট বেলায় এই রকম করে নানান সবজি দিয়ে সুস্বাদু পুষ্টিকর রেসিপিটি করে দিতাম।আপনি আপনার বাচ্চাকে এই পুষ্টিকর খিচুড়ি রান্না করে দেন জেনে ভালো লাগলো।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিদিন তৈরি করা হয় না মাঝে মাঝে তৈরি করা হয়। ধন্যবাদ আপু।
সবজি খিচুড়ি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে আমার ছেলেটা কেন জানি ছোটবেলা থেকেই খিচুড়ি খেতে একদমই পছন্দ করত না। কিন্তু আমি বাসায় যে তরকারি রান্না করতাম সেটা দিয়ে বাবুকে খাইয়ে দিতাম।ধন্যবাদ আপু ছোট বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমার ছেলে ছোটবেলায় একটু খিচুড়ি খেতো কিন্তু এখন তাকে কোনো ভাবেই খাওয়ানো যায় না। শীতের সময়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায় আর সেগুলো দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে তা খুবই পুষ্টিকর হয়। রেসিপি তৈরি ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জাস্ট ওয়াও আপু আপনি অনেক সময় নিয়ে ধৈর্য্য সহকারে শিশুদের জন্য মজাদার সবজি খিচুড়ি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা প্রত্যেকটা মায়ের জন্য খুবই জরুরী। তাছাড়া আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম তখন এই ধরনের রেসিপির জন্য বাইস্কোপ দেখানো হতো। আর গ্রামের সবাই বলতো বকুল খিচুড়ি। যাইহোক আপু আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে ছোটদের জন্য তৈরি খিচুড়িটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম সচেতন মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।