লাইফস্টাইলঃ নিজের হাতে আবু রায়হানের জন্য খাবার তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার,১৭ জুন ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি বেশ ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজকে আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনেক পরিশ্রমের একটা কাজের উদাহরণ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছে। এই কাজটা যে কতটা পরিশ্রমের সেটা শুধুমাত্র মেয়েরাই বুঝতে পারবে। কারণ আপনারা যারা এভাবে নিজেরা ছেলে অথবা মেয়ের জন্য খাবার তৈরি করেছেন তারা জানেন যে এটা তৈরি করা কতটা পরিশ্রমের কাজ। আবু রায়হান বড় হচ্ছে আর এখন তার আস্তে আস্তে বাইরের খাবারের প্রয়োজন হচ্ছে। যেহেতু তাকে প্রথমবারের মতো বাইরের খাবার দিতে হবে তাই আমি চিন্তা করলাম বাইরের খাবার যদিও আমি দিবো তারপরেও সেটা ঘরে তৈরি করা খাবার। কারণ বাজার থেকে যদি এত ছোট ছেলেকে খাবার কিনে খাওয়াতে হয় তাহলে সেটা তার জন্য খারাপও হতে পারে। এজন্য আমি বাইরের কিনা খাবারের পরিবর্তে নিজে তৈরি করা খাবারটাকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম।
এই খাবার তৈরি করার জন্য আমি শুধুমাত্র চাউল ব্যবহার করেছি। এখানে তৈরি করার জন্য বাড়িতে থাকা সাধারণ চাউল অথবা পোলাও এর চাউল ব্যবহার করা যেতে পারে। ওখানে এটা কি খুবই ভালোভাবে ধুয়ে কিছু সময় শুকিয়ে দিতে হয়।
শুকানো হয়ে যাবার পরে সেই চাউল গুলোকে সিল পাটা দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিয়েছি। সিল পাটা দিয়ে চাউল বেটে নেমে আছে কতটা পরিশ্রমের কাজ আপনারা যারা করেছেন শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন। তারপরে ছেলের খাবার বলে কথা যত পরিশ্রম হোক না কেন স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তো তৈরি করতেই হবে তাই কষ্টটাকে কষ্ট মনে করলাম না। যদিও এটা তৈরি করতে আমাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে তারপরও আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবে খাবারটা তৈরি করতে।
সিল পাটা দিয়ে বেটে নেয়া হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলোকে একটা ছাকনি দিয়ে খুবই ভালোভাবে ছেঁকে নিয়েছি। কারণ এই খাবারের মধ্যে যদি বড় বড় অংশ থাকে তাহলে সেটা ছোট ছেলের পক্ষে খাওয়া অনেক কষ্টের হয়ে যাবে। আর এভাবেই দীর্ঘ সময় ব্যয় করার পরে আমি আবু রায়হানের জন্য এই খাবার তৈরি করতে পেরেছি। এতক্ষণ আমি বললাম যে কিভাবে এবং কোন উপকরণ ব্যবহার করে এই খাবারটা তৈরি করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত এই খাবারটির নাম আপনাদেরকে বলিনি। আমাদের এলাকাতে এই খাবারটিকে সুজি বলা হয়ে থাকে।
যারা মেয়েরা আছেন তারা আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন আপনারা কি এভাবে কোন সময়ই নিজের হাতে সুজি তৈরি করেছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এ পর্যন্তই শেয়ার করছি। পরবর্তী দিনে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। সে পর্যন্ত আপনারা সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নিজের হাতে আপনার ছেলে আবু রায়হানের জন্য খাবার তৈরি করে। আপনার তৈরি পোস্ট দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ছেলের খাবার জিনিসগুলো এত সুন্দর ভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাইরে তৈরি করা খাবারের দিকে নিজে বাড়িতে খাবার তৈরি করলে বেশি ভালো হয় ধন্যবাদ।
রায়হান যেহেতু বড় হচ্ছে তাই বাবুর জন্য আলাদা খাবার তৈরি করা ভালো হবে। আর নিজের হাতে আপনি যেহেতু খাবার গুলো তৈরি করেছেন আশা করছি খাবারগুলো খুবই পুষ্টিকর হবে। আর আপনার বাচ্চা সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠবে। ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট দেখে।
আপু বাইরে থেকে কেনা খাবারগুলো আমার কাছে কেমন একটা লাগে তাই বাড়িতেই তৈরি করার চেষ্টা করি।
এভাবে খাবার তৈরি করতে পারলে বাবুদের জন্য অনেক ভালো হয়। বাইরের খাবারের চেয়ে জাতীয় খাবার গুলো বেশি মানসম্মত ও শরীরের জন্য উপকার। বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে খাবার তৈরি করতে দেখে।
আমি যেহেতু প্রথম খাবারটি তৈরি করছি তাই আপনাদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধন্যবাদ।
ভীষণ সুন্দর ও পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসন্মতো খাবার বানিয়েছেন আপু আপনার ছেলের জন্য। একদমই ঠিক বলেছেন আপনি বাইরের খাবার খেতে নানান সমস্যার সমূখীন হতে পারে বাচ্চা তাই এই ভালো যে আপনি বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে বানিয়েছেন খাবার।বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু বাহিরে খাবার খেলে সমস্যা হয় কিন্তু বাড়িতে তৈরি করতে হলে আবার সঠিক এবং পরিষ্কারভাবে তৈরি করতে হবে।
সুস্বাদু দেখতে একটি খাবার তৈরি করেছেন আপনি এবং বাঁচার জন্য এই সুস্বাদু খাবার তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তার জন্য অনেকটাই উপকারী হবে এবং তার জন্য এই খাবার অনেকটাই স্বাস্থ্যসম্মত হবে। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হাতে তৈরি করা খাবারগুলো বাচ্চাদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যসম্মত হয় ভাইয়া ধন্যবাদ।
বাহিরের কেনা খাবারের থেকে নিজের হাতে তৈরি করা খাবারের পুষ্টিগুণ বেশি। কারন নিজের ইচ্ছা মতো করে নানা রকম পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার দিয়ে বাচ্চাদের খাবার তৈরি করে নেয়া যায়। বাইরের খাবার খাওয়া বাচ্চাদের জন্য খুব একটা ভালো না। আমি আমার ছেলেকেও নিজের হাতের তৈরি করার সুজি খাইয়েছিলাম। আপনি আপনার সন্তানের জন্য যে উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন তার সত্যি অনেক প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ
নিজের হাতে আবু রায়হানের জন্য খাবার তৈরি করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।এভাবে বাচ্চাদের চালের গুড়া করে তৈরি করে খাওয়ালে বাচ্চাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। আর এই খাবার তৈরি করতে খুবই পরিশ্রম হয়। আমি নিজেও আমার মেয়ের জন্য এই খাবার তৈরি করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।