গল্প:-পরিবারের বোঝা।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সদয় গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000046168.jpg

আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে ভূতের গল্প পড়তে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কারণ সে ধরনের গল্প গুলোর মধ্যে অনেক বেশি কৌতূহল জাগে। তাছাড়া সবাই গল্প শেয়ার করে সেই গল্পগুলো পড়েও খুবই ভালো লাগে। আজকে আমি নতুন আরেকটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি হচ্ছে পরিবারের বোঝা। মানুষ এখন বৃদ্ধ হয়েছে তখন মানুষ অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের বোঝা হয়ে যায়। আজকে সেরকম একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

খুবই সুন্দর একটি পরিবার ছিল। পরিবারের মানুষ অনেক হাসিখুশি একটি পরিবার ছিল। পরিবারের তারা তিন ভাইয়ের ছিল এবং তাদের তিন ভাইয়ের বউ বাচ্চা ছিল। এবং তাদের বাবা ছিল তাদের মা অনেক দিন আগে মৃত্যুবরণ করেছিল। আপনারা তিন ভাই মিলে মিশে খুবই সুন্দরভাবে সংসারের চলত। কিন্তু তাদের কোন সমস্যা ছিল তাদের বাবা। ভিডিওটি দেখতে ছিলেন পরিবার পর বাজার এবং নাতি নাতনিদের নিয়ে তার দিন কাটত। তিনি চাইতেন সংসারে খুবই সুন্দর ভাবে হাসিখুশি ভাবে জীবন কাটাতে তাই তিনি নাতি-নাত নিয়ে এবং বাজার সংসারের টুকটাক কাজকর্ম করতে পছন্দ করতেন। কিন্তু তার ছেলের বউদের এই বিষয়টাই তুমি পছন্দ ছিল না।

তাই ছেলের বউরা তার সব রকম কর্মকান্ডে খুবই বিরক্ত হতেন। এবং তাকে অনেক কথাই বলতেন। কানে একটু খুব শুনতে এখানে তার ছেলের বউরা তার সামনে তাকে নিয়ে অনেক বাজে কথা বলতো। তিনি কখন এইসব কথার প্রতিবাদ করতেন না। তিনি এসব ধরনের কথাগুলোই নিজে শুনতে না কিন্তু কখনো এসব ধরনের কথাগুলো রিঅ্যাকশন করার নেই। এ কারণে তার ছেলের কানে কম শুনে পারে শুনতে পান না। এবং কি তার ছেলেরাও তাকে নিয়ে অনেক ধরনের বাজে কথা বলতো। নিজে কাজটা করতেন তার ছেলে বউদের সেই কাজটা একদমই পছন্দ হতো না। স্ত্রী বাজার করতে যেতাম তার বাজার করা তার ছেলের বউদের একটু পছন্দ ছিল না।

তার কাজে বিরক্ত হয়ে তার ছেলে এবং তাদের বউ ঠিক করে যে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসবে। আর এসব বিষয় সবকিছুই তিনি বুঝতে পারেন। সব কিছু বুঝতে পেরে তিনি তার জায়গা জমি সবকিছুই একটা বৃদ্ধাশ্রমের জন্য দান করে দেন। এরপর একদিন যখন তার ছেলে বগুড়া জানতে পারি এসব কিছু দিয়ে দান করে দিয়েছেন। তখন দাড়াও নেই চিন্তায় পড়েছে এবং বলতে থাকে যে তারা কোথায় থাকবে তাহলে পরবর্তীতে তিনি বলেন যে তোমরা নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরা করাটা আমি আমার সবকিছু দান করে দিয়েছি অসহায় মানুষদের জন্য। আসলে তারই সম্পত্তির মধ্যে থেকে তারা তাকে তাদের পরিবারের বোঝা মনে করেছে। যখন বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন সবাই তাকে পরিবারের বোঝা মনে করে। এই ছিল আবার আজকের একটি গল্প আশা করি আপনাদের কাছে আমার গল্পটি ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

1000041574.jpg

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 15 hours ago 

গল্পটি ভালো লাগলো আপু। তবে ভদ্রলোক খুব ভালো ছিলেন। না হলে তার সবকিছু বৃদ্ধাশ্রমে দান করে দিতে পারতেন না। আসলে আমার মনে হয় এটা প্রজন্মগত বিরোধ। আর প্রতিটি প্রজন্মে এই বিরোধ চলতেই থাকে। আজ প্রজন্মের সঙ্গে আরেক প্রজন্মের দ্বন্দ্ব নিয়েই আমাদের জীবন কাটাতে হয়। তবে ভদ্রলোক খুব আনন্দেই বাঁচতে চাইতেন তা বুঝতে পারলাম। সুন্দর লিখলেন।

 14 hours ago 

আসলে বাবা মা বৃদ্ধ হয়ে গেলে তাদেরকে কেন পরিবারের বোঝা মনে করা হয়, এই বিষয়টা এখনও পর্যন্ত বুঝিনা। এই গল্পেও ঠিক ওইরকমই হয়েছে। তবে ওই বৃদ্ধ লোকটা একেবারে ভালো করেছে, নিজের সব সম্পত্তি বৃদ্ধাশ্রম এর জন্য দান করে। অনেক সুন্দর করে আপনি এই গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটা আমার কাছে পড়তে ভালো লেগেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.18
JST 0.033
BTC 87757.32
ETH 3103.63
USDT 1.00
SBD 2.75