গল্প:- ছিচকে চোর এর ভালো মানুষ হয়ে ওঠার গল্প।(পর্ব ২)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ছিচকে চোর এর ভালো মানুষ হয়ে ওঠার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
গত পর্বে আমি এই গল্পটির প্রথম কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এই গল্পটির আরো কিছু অংশ শেয়ার করতে চলে এলাম। গর্ভবতী এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। গতকালকে আমি শেয়ার করেছিলাম ঈদের ছুটি কি করতে করতেই সে বড় হয়ে যায় বড় হয়ে যাওয়ার পর শুয়ে থাকো না বিয়ে করে তখন তার কাছে খুবই লজ্জা লাগে কারণ শশুর বাড়ির লোকজন থাকে বলে সম্বন্ধন করে। আরে লোকটা যায় সে চিন্তা করে যে সে আর চুরি করবে না ভালো মানুষ হয়ে জীবন কাটাবে। চলছিল তার পরিবারে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের পর্বটি চলুন শুরু করা যাক।
তুইও তাই কর। পরিশ্রম কর কাজ কর টাকাই রোজগার কর। তাহলে তো সংসারটা অনেক সুন্দর ভাবে চলে। তখন সে আর তার খালাতো ভাই চুরি বাদ দিয়ে পরিশ্রম করে কাজ করা রোজগার করা শুরু করে। কিন্তু তারা যেভাবে পরিশ্রম করে রোজগার করছিল অর্থাৎ যেটুকু তারা রোজগার করছিল তাতে তাদের সংসার কোনোমতেই চলছিল না। দুই জন এ মিলে কাজ করে তাদের দুই পরিবার দুই পরিবার তো এই কম রোজগারে একেবারেই চলছিল না। তারা আবার খাদ্য রসিক ছিল। খাওয়া দাওয়া করতে তারা অনেক বেশি পছন্দ করত। একদিন খেতে বসে, সে তার বউ এবং ছোট ভাই মিলে তেতুল আচার খাওয়ার কথা বলে। এদিকে তাদের মা আবার এই ধরনের আচারগুলো ভালো বানাতে পারে।
মা আচার বানানোর পর সবাই মিলে খুব মজা করে তেতুলের আচার খেয়েছিল। আচার খেতে খেতে এবার আচার খেতে খেতে আবার বউয়ের সাথে আড্ডাও দিচ্ছিল কথা বলছিল সবাই মিলে। হঠাৎ বলে ওঠে যে রোজগার করছি তাতে তো সংসার ঠিকভাবে চলছে না কি করবো সেটাই বুঝতে পারছি না।তখন তার মা বলে ওঠে আমাদের তো একটা কলাবাগান রয়েছে তোর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তো সেই কলা বাগানে আর কখনো যাওয়াই হয়নি। কে করবে কে যাবে আমি বয়স্ক মানুষ আমি তোমার এই ধরনের কাজকর্ম করতে পারি না। তাছাড়া তুইও কখনো সেখানে যাস না। তখন সে বলে তাহলে আমি কালকেই একবার কলাবাগানে যাব সেখানে কি অবস্থা দেখব।
এরপর যথারীতি পরদিন সকালবেলা তুই ভাই মিলে সেই কলাবাগানে যায়। এ তো দেখি সেখানে বন জঙ্গল লাগাছে পুরো ভরে গেছে। যদিও কলা গাছগুলো এখনো রয়েছে। এরপর সেখানে দুই ভাই মিলে কলা বাগানটা ভালো করে পরিষ্কার করে। এবং ঠিক করে যে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তাদের কলা বাগানে যদি আবার আগের মতো কলা চাষ করা হয় তাহলে সেই কলা বিক্রয় করে কিছুটা টাকা পাওয়া যাবে এবং সংসারটাও কিছুটা ভালোভাবেই চলবে। এই লক্ষ্যে তারা কাজ করতে থাকে। পরদিন আবার অন্যান্য কাজগুলো সেরে বিকেলের দিকে কলাবাগানে গিয়ে দুই ভাইয়ে মিলে কলাগাছ রোপন করেন।
এভাবেই দিনের পর দিন চলতে থাকে অন্যান্য কাজ ছেড়ে বিকেলবেলা কলাবাগানে গিয়ে কাজকর্ম করে। তারা এখনো অনেক বেশি পরিশ্রম করে। কলা গাছগুলোর অনেক বেশি যত্ন করে যাতে সেগুলোতে ভালো ফলন হয়। এদিকে মাঝে মধ্যে তার বউও তাদেরকে দেখতে এবং খাবার দিয়ে আসতে কলা বাগানে যেত। একদিন খাবার নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর তারা সবাই মিলে খাবার খাচ্ছিল এবং বসে বসে কথা বলছিল। তখনই হঠাৎ তার ছোট ভাই বলে ওঠে যে রোজগার করছি তা তো ঠিকই আছে কিন্তু তুই সংসার ঠিকভাবে এখনো চলছে না। আমাদের ইনকাম আরো বাড়াতে হবে আমাদেরকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে ।আরো বেশি টাকা রোজগার করতে হবে যাতে দুইটা সংসারী খুব ভালোভাবেই চলে। (চলবে ....)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/APatwary88409/status/1883547324158468280?t=_2w5VxcF9Cb-_HpYMFk6GA&s=19