ছুটির বিকেলে কাশফুলের সাথে||@shy-fox 10% beneficiary
- ২৭ আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- ১২ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
- ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৪ হিজরি
- বুধবার
- শরৎকাল
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছো আশা করছি আমার বাংলা ব্লগের সাথে সবাই খুব ভালো সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি, আজকে আমি তোমাদের সামনে হাজির হয়েছি আমার নতুন একটি লেখা নিয়ে। তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি আমার নতুন লেখা ছুটির বিকেলে কাশফুলের সাথে। আশা করছি আমার আজকের পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
লোকেশন
যথারীতি এবারও ছুটির দিনে বাসার বাইরে কোথাও সময় কাটাতে মন চাচ্ছিল, কোথায় যাবো চিন্তা করতে করতে মাথায় আসলো আমার বাসার কিছু দূরেই আফতাব নগরের কথা। আফতাব নগরের শেষ দিকে হাওরের মত জলাধার রয়েছে যার পাড়ে অবস্থিত কাশবন, যেখানে এই সময় বিশেষ করে শরৎকালে জায়গাগুলোর সৌন্দর্য অন্য মাত্রা পায়। এখন যেহেতু শরৎকাল, ছুটির দিনের বিকেলটা ওইখানে উপভোগ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম।
বিকাল পাঁচটার দিকে সস্ত্রীক বাসা থেকে বের হয়ে আমরা রামপুরা বাজারে গিয়ে সেখান থেকে সরাসরি আফতাব নগর যাওয়ার জন্য একটি রিক্সা ঠিক করলাম। মূলত আফতাব নগরের অবস্থান হচ্ছে রামপুরা বাজার থেকে বাড্ডার দিকে যাওয়ার যে রোড আছে সেটার ডানপাশে জহুরুল হক সিটি নামক একটি গেট আছে সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আফতাবনগর যাওয়া যাবে। আমরা আফতাব নগরের যে জায়গাটিতে গিয়েছিলাম সেটার অবস্থান ছিল,এম ব্লক,ডেসকো সাবস্টেশন নামক স্থান। ওই স্থানের রোডের দুই পাশে কাশফুলে পরিপূর্ণ ছিল। চারিদিকে শুধু কাশফুল আর কাশফুল, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, পাশে হাওরের মত জলাধার এবং তার পাশ দিয়ে শুভ্র কাঁশফুল প্রকৃতি যেন অপরূপ রূপে সেজেছে যা আসলে না দেখলে বলে বুঝানো যাবে না। আমার কাছে মনে হয়েছে শরতের আসল সৌন্দর্য আমি অবলোকন করেছি।
লোকেশন
ভিতরে প্রবেশ করে আমরা প্রথমে রিক্সা ছেড়ে দিলাম তারপর হাঁটতে হাঁটতে জলাধার এর পাশে গিয়ে কিছু ছবি তুললাম। এ জায়গাটিতে অনেক এলাকাজুড়ে কাশফুল রয়েছে যেখানে সৌন্দর্যপিপাসুরা বিকালের দিকে ভিড় জমায়। হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পেলাম একদল মানুষ যারা ফটো শুটের কাজ করছে কাশফুলের সাথে। বিকাল হওয়ার কারণে লোকজনের সমাগম একটু বেশি ছিল, কেউ পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছে, কেউ প্রীয়জন নিয়ে আবার কেউ ওয়াইফ নিয়ে ঘুরতে এসেছে। কাশফুলের এই সৌন্দর্যকে স্মৃতি করে রাখতে সবাই ছবি তুলচ্ছিল।
লোকেশন
আফতাব নগরের এই জায়গাটিতে আমি আগেও এসেছি কিন্তু তখন কাশফুলের সময় ছিল না। কাশফুল যেহেতু বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে দেখতে পাওয়া যায় সেজন্য শহরের ব্যস্ত মানুষের কিছুটা অবসর সময় কাটানোর জন্য বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে কাশফুল দেখার জন্য শরতের সময়টায় বেশি আসে। যাইহোক জলাধারের পাশে বসে আমরা দুজনে গল্প করে সময় অতিবাহিত করলাম, গল্পের ফাকে এখানকার কিছু স্ট্রিট ফুড কিছুক্ষণ পরপর খেয়েছি। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে কাশফুলের পাশে যে জলাধারটি রয়েছে সেটার সৌন্দর্য। আমরা কিছু সময় বসে থাকার পর কাশফুলের ভিতরে যে ছোট ছোট রাস্তা রয়েছে সেগুলোর মাঝে হেঁটে হেঁটে কিছু ছবি এবং ভিডিও করে নিলাম। এরই মধ্যে আমার ওয়াইফ বায়না ধরেছে সে ফুচকা খাবে, আমার জানা মতে ওই জায়গার ফুচকা গুলোর স্বাদ খুব বেশি ভালো না, তার অনুরোধের কারণে এক প্লেট ফুচকা নিলাম। উদ্দেশ্য ছিল যদি ভাল হয় তাহলে আবার অর্ডার করবো কিন্তু ওই ফুচকা খেয়ে আমরা হতাশ হলাম শুধুমাত্র, পুনরায় আর অর্ডার করিনি।
লোকেশন
ঘুরতে ঘুরতে আমরা দেখতে পেলাম পশ্চিম আকাশে সূর্য ডুবতে বসেছে অর্থাৎ সন্ধ্যা লেগে যাচ্ছে, ওই মুহূর্তে প্রকৃতি আরও চমৎকার সাজে সেজে উঠেছে সোনালী মেঘের আভায়, তখনকার সৌন্দর্যের সাথে আমরা আরও কিছু ছবি তুলে নিলাম। তারপর জলাধার থেকে হাঁটতে হাঁটতে পাকা রাস্তায় এসে রিক্সা ঠিক করে ফেরার পথে রিক্সার উপর বসে আরও কিছু ছবি এবং ভিডিও করে নিলাম। ফেরার পথে সেখানকার সৌন্দর্য অন্যরকমভাবে অবলোকন করলাম, রাস্তার দু'পাশের ল্যাম্পপোস্টের আলোয় কাশফুল গুলো চমৎকার লেগেছিল। দুচোখ যতদূর দৃষ্টি গোচর হয় শুধু কাশফুল আর কাশফুল দেখা যাচ্ছে। তারপার সরাসরি আফতাব নগর মেইন রোডে চলে আসলাম। রিক্সা থেকে নেমে মেইন রোড থেকে আবার একটা রিক্সা রামপুরা বাজার পর্যন্ত ঠিক করলাম। রামপুরা বাজারে এসে সিপি ফাইভ স্টার থেকে কিছু খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি,পরবর্তী কোন এক সময় আবার আপনাদের সামনে হাজির হব আমার নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য।
VOTE @bangla.witness as witness
আমিও ভাবছি ব্যস্ততার ফাঁকে কিছু সময় পেলে কাশফুলের সাথে ছবি তুলতে যাব। কারণ শরৎকাল মানেই কাশফুলের সৌন্দর্য। জীবনের হাজারো ব্যস্ততার কারণে আমার গত বছরও কাশফুলের সাথে কোন রকমের ছবি তোলা হয়নি। তবে এইবার ভাবছি অবশ্যই চেষ্টা করে দেখব। আর আপনার পোস্টটি লেখার ধরন এবং শুরু করার ধরন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এভাবেই ভাল কাজগুলো নিয়ে এগিয়ে যান।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ খুশি হলাম। এভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘের বেলাতে কাশফুলের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে সত্যি কাশফুলের সৌন্দর্য সবাইকে খুব বেশি মুগ্ধ করে। এত চমৎকার নিরিবিরি প্রাকৃতিক পরিবেশে কাশফুলের সাথে কিছুক্ষণ অবস্থান করতে পারলেই সত্যি মন খুব ভালো হয়ে যেত। আসলে আপনার পুরো পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো । এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
প্রকৃতির সাথে সময় কাটালে নিজের কাছে বেশ ভালো লাগা কাজ করে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটিকে সহকারে ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য।
কাশফুল এমন একটি ফুলে ফুলকে ভালোবাসে না এমন লোক খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। নদীতে গেলে কাশফুল দেখে আসলে মন ভরে যায় শরতের কাশফুল যেন নদীর চর অপরূপ সৌন্দর্যে যে ভরিয়ে রাখে।
আপনি বেশ ভালই বলেছেন ভাইয়া, কাশফুল বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় দেখা যায় বলে এর কদর বেশি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।