কেমন ছিল আমার কলেজের ওরিয়েন্টেশন!(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
ব্রো,আমি এখন স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে গেছি😏কলেজে পড়ি।আহা,বলতেই কি লাগছে😇!!
দীর্ঘ ১২ বছর স্কুল লাইফ কাটিয়ে আজ আমি কলেজে উঠেছি।এটাকে কি অর্জন বলা চলে?সে যাইহোক গে,ভাবলেই অর্জন না ভাবলেই নয়😁।আমার কলেজের নাম আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ,যাকে সংক্ষেপে apbn নামেই চেনে সবাই।বগুড়া জেলার মধ্যে বেশ নামকরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি।এ বছর এইচ,এস,সি তেও বেশ ভালো ফলাফল করেছে রাজশাহী বোর্ডের ভেতর।
তো গত পর্শু ছিল আমাদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান।সব কলেজে ২/৩ তারিখের ভেতরই নবীন বরণ অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছিল।তো ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে দেখতাম তাদের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি ভিডিও। সেগুলো দেখে ভাবতাম আমার কলেজেও হয়তো এমন হবে।মানে কল্পনা করেই এক্সাইটমেন্ট চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতাম।ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের নবীন বরণে বড় আপুরা মিষ্টি খায়িয়ে জুনিয়রদের কলেজের ভেতরে ঢুকাইছিল,আদমজি ক্যান্টনমেন্টে আপুরা ফুলের তোরা দিয়ে নবীনদের বরণ করেছিল।এসব দেখে আমিও ভেবেছিলাম এমন কিছু হবে।মানে কল্পনা করে আকাশে উড়ছিলাম।
তো আসলো ৫ তারিখ।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে নাস্তা সেরে নিয়েছিলাম।তারপর ইউনিফর্ম পরে বাবু হয়ে কলেজের উদ্দ্যেশ্যে বেরিয়ে পরেছিলাম।মেস থেকে মিনিট ১০ এর ভেতর পৌঁছে গিয়েছিলাম কলেজে।ভেবেছিলাম গেট বেলুন দিয়ে সাজানো থাকবে।ওমা,সে দেখি অভিভাবকদের ভিড় গেটের সামনে🙂।পরে জানলাম প্লে নার্সারির বাচ্চদের বাবা মা তারা।হোক মেনে নিয়ে ভেতরে গেলাম।হল রুমে গিয়ে সিটে বসে থেকে ভাবছিলাম আমার কল্পনাগুলো নিয়ে।কি ভাবলাম আর কি হচ্ছে!!
একটু পর ফর্ম টিচার এসে আমাদের সবাইকে অডিটোরিয়ামে নিয়ে গিয়েছিল।তো তার আগে কয়জন বন্ধু মিলে একটু ছবি তুলেছিলাম।হাজার হোক,একে তো কলেজের প্রথম দিন আর এরপরে কলেজে ফোন নিয়ে যাওয়াও পাপ।
এতো দুঃখের মাঝে আরেকটি দুঃখ হলো চুল বড় রাখতে দেবেনা।কেমন বোকাসোকা টাইপ লাগছে না!?😑কি আর করার,সবাইকেই কাটতে হবে শুধু তো আর আমি একা নই।
তো অডিটোরিয়ামে গিয়ে কিছুক্ষন বসার পর একের পর এক অতিথি তাদের বক্তব্য শুনাচ্ছিলো।একদম পেছনে বসেছিলাম তাই ওদিক খুব একটা কান দিয়েছিলাম না।একটু পর আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।অন্য কলেজে দেখলাম আপুরা মিষ্টি খাওয়াচ্ছিলো,ফুল দিচ্ছিলো।মাশাল্লাহ আমার তো সে কপাল হয়িনি আর গোলাপের আশা করে পেয়েছিলাম একটা করে রজনীগন্ধার স্টিক তাও স্কাউটের ভাইদের হাত থেকে।ভাবলাম এই ফুলেই বোধয় শেষ।কিন্তু উপর ওয়ালার রহমতে একটা করে কমলাও পেয়েছিলাম🙂।সালা,ভেবে গিয়েছিলাম কি আর হচ্ছিলো কি!!
নিজেকে কি বলে শান্তনা দিচ্ছিলাম জানেন?অন্যান্য কলেজে তো মিষ্টি দিচ্ছে আর সাথে দিচ্ছে গোলাপ।তো আমি ভাবলাম অনেকের জন্য মিষ্টি ক্ষতিকর তাই সেই ভাবনা থেকে আমাদের মিষ্টি দেয়নি।আর কমলা তো সবার জন্যই উপকারী।
আবার গোলাপ দিলে অনেকেই হয়তো তার ভালোবাসার মানুষকে দিয়ে দিতো আর এতে করে কি ক্ষতি হতো তা তো বুঝতেছেনই।তো এভাবে ভাবলে আমার কলেজই ভালো করেছে😊।
তবে কষ্ট হচ্ছিলো এটা ভেবে যে,ভর্তির সময় ২০০০০ করে টাকা নিয়েও এমন ওরিয়েন্টেশন!!
যাইহোক,আমার করার কিছুই নেই।পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছি,সে কাজ ভালোভাবে হলেই আমার মিটে গেলো।দোয়া রাখবেন❣️।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.07/03/22
ভাইয়া আপনার কলেজের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি আপনার নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পা রেখেছেন এটা দেখে ভালো লেগেছে আপনার। আপনার আগামীর পথ চলা অনেক সুন্দর হোক ও ভালোভাবে পড়াশোনা করেন এই প্রত্যাশা করছি। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে যখন কল্পনা আর স্বপ্নগুলো বাস্তবতার দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয় তখন ঠিক এরকমটাই হয় সবার কাছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই নতুন অভিজ্ঞতার গল্প শুনে। তবে আপনার প্রতি একটাই অনুরোধ রইল লেখার মধ্যে এরকম অতিরিক্ত ইমোজি ব্যবহার না করার জন্য। এতে লেখার মান যেমন কমে যায় ঠিক লেখাগুলো পাঠকের কাছে হাস্যরসাত্মক হয়ে ওঠে।