অন্তর্বেদনা
আসসালামু আলাইকুম,
সবদিক থেকে এতো চাপের মধ্যে থাকতে থাকতে আমার মনে একটা প্রশ্নই এসেছে,আমাদের বড় হতে হবে কেন?সবসময় কি ছোট থাকা যেতোনা!হেসে-খেলে সেই ছোটবেলার মতো করে সময়টা কাটানো যেতোনা! আজকে লিখতে বসলাম এখানে।তবে বিশ্বাস করেন,কোনোদিক থেকেই এখনো চাপমুক্ত হতে পারিনি।আর এই চাপগুলো নিতে নিতে আমার ব্যক্তিগত রুটিন,মন-মানসিকতা সবই পাল্টে গেছে।আমার উপর যে এগুলো কতটা বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে তা বলে বুঝানোর মতো না।
আমার এইচ,এস,সি এক্সামের বাকি আছে আর দুই মাসের একটু বেশি।কলেজে তো এক্সাম চলছেই।স্বাভাবিকভাবেই একজন স্টুডেন্ট এই সময়টা দেবে তার পড়াশুনায়।কিন্তু আমি তা পারছিনা।অদৃশ্য কিছু চাপ ঘিরে রেখেছে আমার চারপাশটা।
লাস্ট পোস্টে বলেছিলাম আমার মামাতো বোন অন্তকে নিয়ে যে ও চারতলা থেকে পড়ে গিয়ে চার হাত-পা'ই ভেঙে ফেলেছে।আলহামদুলিল্লাহ,এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।হাসপাতালে ওকে দেখতে যাওয়া,খাবার নিয়ে যাওয়া মোটামুটি অনেককিছুই করতে হচ্ছে।এর চেয়ে বড় পেইন হলো,কলেজ থেকে বলেছে যদি টেস্ট এক্সামে ও এটেন্ড না করে তাহলে ওকে এইচ,এস,সি দিতে দিবেনা।ছোট থেকে বড় হলাম।একসাথে, পড়লাম একসাথে আর আজ কলেজ থেকে বলছে ওকে এক্সাম দিতে দিবেনা।টেস্ট এক্সামের বাকি আছে আর সাতদিন এবং ও পা ফেলতে পারবে আরো দেড় মাস পর।এই বিষয়টাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে আমায়।
তারপর মানুষের তো কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকেই।আমিও তার ব্যতিক্রম নই।যেহেতু বাড়ির বড় ছেলে তাই বুঝতে না চাইলেও সমস্যাগুলো বুঝতে হয়।আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু পারি সবদিক থেকেই মানিয়ে চলার চেষ্টা করি।সহ্যসীমা অতিক্রম করে গেলে মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে'ও উঠতে হয়।
প্রতিদিন অফলাইনে তো দুইটা প্রাইভেট আছেই,পাশাপাশি অনলাইনেও চারটা কোর্স নেয়া আছে।সবগুলা সামলাইতে মোটামুটি ১০ ঘন্টার মতো লাগেই।আবার কলেজের এক্সামে আড়াই ঘন্টা।এতোকিছু করার পর নিজে পড়ার জন্য যে এনার্জিটা আনবো সেটা আর পারিনা।
বাবা-মা,পরিবারের সবাই আমাকে নিয়ে ভালোই স্বপ্ন দেখে।রাতে ঘুমানোর আগে এই লোকগুলোর কথা খুব মনে হয়।আর তারপরেই চোখ থেকে ঘুম চলে যায়।ফিউচার জিনিসটা ইদানীং খুব প্যারা দিচ্ছে।
অনেকেই হয়তো ভাববেন এগুলো কোনো চাপ হতে পারে!এর চেয়ে বড় চাপের মাঝে আমরাই থাকি।আমার কাছে এগুলোই অনেক বেশি।সব তো বলা যায়না,মাঝে মাঝে চিৎকার করতে মন চায়।লাইফ বড্ড বেশি কঠিন মনে হয়।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন-
আল্লাহ হাফেজ
©@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.22/05/23
আপনার মামাতো বোনকে নিয়ে পোস্টটি পড়েছিলাম।জানার কৌতুহল ছিল কিন্তু জানবো কিভাবে জানা ছিল না।আপনার পোস্ট অনেকদিন পর পেয়ে আজ জানলাম।বোনের জন্য খারাপই লাগছে।যাই হোক জীবন বড়ই কষ্টের বেশীর ভাগ মানুষের জন্য ই।ফুলের বিছানা পেয়ে খুব কম মানুষ ই জন্মগ্রহণ করে।চাপ সব কাজেই থাকবে।চাপ না নিয়ে রিলাক্স মুডে এগিয়ে যান আল্লাহ সহায় হবেন।ভালো থাকবেন সব সময়।🤗
হ্যাঁ হ্যাঁ, অলটাইম প্যারা নাই চিল😍।ভালোবাসা অবিরাম আপু।
বেশ অনেকদনি পর আপনাকে পড়লাম। আসলে আপনার মামাতো বোনের বিষয়টি পড়ে বেশ খারাপই লাগছে। আসলে সত্য বলতে বাস্তব জীবন অনেক কঠিন। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে আমাদের কে এগিয়ে যেতে হয়। তবে আসা করবো সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠে আপনি আগামীর সুন্দর পথেরে দিকে এগিয়ে যাবেন এটাই কামনা। শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।
ধন্যবাদ আপু, কৃতজ্ঞতা জানাই।
সবাই চায় ছোট্টবেলার জীবনটা উপভোগ করতে ফিরে যেতে। আসলে জীবনের এই অগ্রযাত্রা কখনো থেমে থাকে না বড় হয়ে বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন কঠিন পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে ।এইচ এস সি পরীক্ষার প্রস্তুতি আপনার মামাতো বোনের জন্য অনেক পরিশ্রম করছেন আসলে কি আর করার কখন কিভাবে কোন পরিস্থিতি সামনে চলে আসে সেটা তো কেউ বলতে পারে না। সেজন্যই আপনার উপর দিয়ে এত প্রেসার চলছে । যাই হোক, আপনার জীবনে এমন এক সময় আসবে সুখের সময় তখন এই দিনগুলোর কথা মনে পড়বে।
আল্লাহ আপনার কথা কবুল করুক।অশেষ ভালোবাসা।
অনেকদিন পর আবার কাজে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো আপনার মামাতো বোন অনেকটা সুস্থ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আমার মনে হয় এখন আপনার সবকিছু ভুলে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া উচিত। কারণ অন্যান্য কাজ পরে করতে পারলেও এই পরীক্ষা জীবনে আর আসবে না। সেজন্য সবকিছু ফেলে পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রিপারেশন নেয়াটাই এখন বেশি জরুরী। শুভকামনা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
সব চিন্তা ভাবনার উদ্ভব ওই পড়াশুনা থেকেই,সমাধানও সেই পড়াশুনার মাঝেই নিহিত।ধন্যবাদ আপু☺️।
আসলে মানুষের জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা খুবই কঠিন। একটা মানুষ তার জীবনকে যতটা সহজ মনে করে ততটা ও সহজ তার জীবনটা হয় না। জীবনের সাথে লড়াই করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় প্রত্যেকটা মানুষকে। আপনার মামাতো বোন অন্তর ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পোস্টটি করেছিলাম। এখন তিনি ভালো আছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। নিজের মনের ভেতর সাহস রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আশা করছি সামনে সফলতা অবশ্যই আসবে।
অনুপ্রেরণা পেলাম আপু☺️,ভালোবাসা অবিরাম।
আসলে এই চাপগুলো বড্ড পেইন দেয়। সেটা আমিও খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি। সত্যি লাইফের এই সময়টাতে নিজের ভালো মন্দ সবকিছু একদম ক্লিয়ার ভাবে বোঝা যায়। যার কারণে এত পেইন সহ্য করতে হয়। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর দোয়া করি যেন সব চাপগুলো খুব ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করতে পারেন।
ইনশাল্লাহ ভাইয়া,দোয়া রাখবেন।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষের ব্যক্তিগত একটা জীবন রয়েছে সেই জীবন অনেক বেশি চাপের হয়। আপনি কয়েকদিন পর্যন্ত বেশ চাপের মধ্যে ছিলেন যার কারণে আমাদের মাঝে এতদিন অ্যাক্টিভ থাকতে পারেননি। আপনি যেহেতু পরিবারের বড় ছেলে তাই আপনার বাবা-মা আপনাকে নিয়ে অনেক রকমের স্বপ্ন দেখছে। আপনার মামাতো বোন ছাদ থেকে পড়ে হাত-পা ভেঙে ফেলেছিল এই পোস্টটা আমি দেখেছিলাম। যেহেতু দুইজনে ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হয়েছিলেন তাই আপনার মামাতো বোনের এই অবস্থা দেখে আপনার অনেক খারাপ লেগেছিল এবং তার পরীক্ষার ব্যাপার নিয়ে আপনি অনেক চিন্তা করেছিলেন। যাই হোক প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কিছু প্রবলেম থাকে। আশা করছি আপনি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ইনশাল্লাহ ভাইয়া,আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক😊।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে অনেক সমস্যা আসে। বিভিন্ন রকম ঝট ঝাপটা আসে মানুষের জীবনে সেই ঝট ঝাপটা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হয় সামনের দিকে। বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত চাপের মধ্যে ছিলেন যার কারণে অনেকদিন পরে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আপনার মামাতো বোনের কথা পড়েছিলাম আপনার একটি পোস্টে। তিনি এখন আগের থেকে অনেক ভালো আছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনি যেন আপনার জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন খুবই সুন্দরভাবে সেই কামনাটাই করছি।
দোয়া রাখবেন, ভালোবাসা নিরন্তর💜।