ছোটবেলার রূপকথা।
আমাদের মধ্যে সবাই ছোটবেলার স্মৃতির বন্ধনে আবদ্ধ । এটা বলতে গেলে একটা নিয়মই হয়ে গিয়েছে। ওই যে কথায় আছে না" যায় দিন ভালো যায় , আসে দিনই খারাপ আসে" . তেমনি ভাবে দিন বারার সাথে সাথে নিজের উপর দায়িত্ব গুলোও অনেক বেড়ে যায়। তখন দেখা যায় একসময় ক্লান্ত হয়ে সবাই সেই স্বাধীন জীবনের ফিরে যেতে চায়।
আমি ঢাকায় প্রায় ১২ বছর হয়ে গিয়েছে। বয়স যখন ৫ তখনি গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসি। ৫ বছর , একদম ছোটও ছিলাম না। আজও মনে আছে প্রথম শহরে পা রাখার দিন গুলোর কথা। সত্যিই মনে হচ্ছিলো যেন একটা আবদ্ধ ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে আছি। এমন বন্দি বন্দি ভাবটা যেতেই প্রায় মাস খানেক সময় লেগে গিয়েছিলো। যাক , এইগুলো হচ্ছে শহরে আসার পরের ঘটনা।
গ্রামে থাকাকালীন সবাই যেন একত্রে ছিলাম। অর্থাৎ গ্রামের সব ছেলে মেয়েরা একসাথে একসময় একই জায়গায় খেলা করতাম। কোনো ভেদাভেদ ছিল না। এখন যদি তাদের খোঁজ নিতে যাই তখন দেখা যাবে কেউই এখন আর গ্রামে নেই। কেউ হয়তো বেরিয়ে পড়েছে উচ্চ শিক্ষার উদ্যেশে আবার কেউ হয়তো নিজের পরিবারকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টায়। মেয়েদের কথা বললে বেশির ভাগই এখন শশুর বাড়িতে। এখনো সেই বাল্য বিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়নি।
আর সব থেকে বেশি অবাক লাগে যখন পুরো গ্রাম বিয়ের জন্য জোড়া জোড়ি করে। যেমন আপনার বাসায় একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি মেয়ে আছে যার বয়স কিনা ১৫ বা ১৬ হবে তখন থেকেই আপনি না চাইতেও গ্রামের মানুষজন উঠেপড়ে লাগবে আপনার পেছনে মেয়ের বিয়ের জন্য। আচ্ছা ঐদিকে না গড়াই আমরা।
এখন যখন গ্রামে যাই সেই আমেজটাই যেন এখন হারিয়ে গিয়েছে। তাও মাঝে মধ্যে গ্রামে গেলে বিকেলে যখন হাটি রাস্তা দিয়ে সত্যিই সব ক্লান্তি যেন নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। মনে হয় এ যেন পৃথিবীর বুকে এক স্বর্গ। কথা দিয়ে বুঝানোটা একটু মুশকিল। কিন্তু হ্যা , এমন মনোরম দৃশ্য সত্যিই অনেক কম দেখতে পাওয়া যায়।
শহরে গিয়েও দেখছি আপনি নিজের মাতৃভূমির মায়া এখন পর্যন্ত ছাড়তে পারেননি আসলে নিজের মাতৃভূমির মায়া কেউ কখনো ছাড়তে পারে না। শহরের চার দেয়ালের মাঝে নিজেকে বন্দী রাতে রাতে একটা সময় মনে হয় এটা যেন একটা জেলখানা। বর্তমান অনেক পিতা-মাতাই নিজেদের মেয়েদের এখন আর বাল্য বিবাহের দিকে ঠেলে দেয় না প্রাপ্ত বয়স হবার পরেই তাদেরকে বিয়ের পিঁড়িতে বসায়। সে যাই হোক শহর থেকে যখন গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয় তখন আপনা আপনি মন ভালো হয়ে যায় এবং নিজ গ্রামে যখন হাটাহাটি করা হয় তখন মনের মধ্যে প্রশান্তি কাজ করে।
গ্রামের কিছু কিছু জায়গায় এখনো এইসব প্রথা চালু রয়েছে। যদিও এটা অনেকটাই কমে গিয়েছে তাও সম্পূর্ণ রূপে দমন করা এখনো সম্ভব হয়নি। ধন্যবাদ ভাইয়া ।
একটা সময় বাল্য বিবাহ বেশি ছিল এবং এখনো আছে তবে সেটি ১ থেকে ২%। কারণ মানুষ এখন সচেতন আর বাল্য বিবাহ কে সাপোর্ট করে না এবং সবাই চায় যার যার সন্তানকে সুশিক্ষিত করার। ধন্যবাদ বাস্তবে একটি পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
তা ঠিক , কিন্তু আমাদের নজরের আড়ালে এখনো অনেক জায়গায় এইসব রীতি চালিয়ে যাচ্ছে মানুষজন।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য ।
করোনার কালের পরে বাল্য বিবাহ যেন আরো বেশি বেড়ে গেছে। সেটা চোখে পড়ার বেড়েছে বলেই গ্রাম গুলো অবিবাহিত মেয়ে শূন্য হয়ে পড়ছে। যেটা দুর্ভাগ্য জনক।
ভাই জেনারেল রাইটিং করার হলে কমপক্ষে ৩০০ শব্দের ব্যবহার করতে হবে। বিষয়টি মেনে চলবেন।
করোনা শুধু আমাদের বিশ্ব সাস্থ নয় , বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থাকেও হযবরল করে দিয়েছে।
আচ্ছা ভাইয়া , নেক্সট টাইম থেকে এমনটা হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে।