শিক্ষামূলকঃ পর্ব ০৮ || ভোটিং পাওয়ারের আদ্যোপান্ত (All about Voting Power) [১০% স্বত্বভোগী @shy-fox]
সূচনাঃ
আজকে আবারো স্টিম ব্লকচেইনের একটি বেসিক টিউটোরিয়াল শেয়ার করতে চলেছি। আসলে আজকের বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপূর্ন যে প্রত্যেকের এই বিষয়টা জানা থাকা জরুরি। যারা স্টিমিট (steemit) এ কাজ করেন তাদের প্রায় সবারই এ বিষয়ে ধারণা রয়েছে তবে কিছু নতুন ব্যবহারকারী থাকতে পারেন যাদের হয়তোবা এ বিষয়ে ধারণা নেই তাই তাদের জন্য আজকে বিস্তারিত শেয়ার করব।
নতুনদের অনেকেই আছে যারা হয়তো এভাবে চিন্তা করতে পারেন যে, @rme দাদা তো কোটি কোটি টাকা এখানে বিনিয়োগ করেছে। তো দাদা কেন আমাদের সবাইকে (যাদের পোস্ট ভাল হচ্ছে) প্রতিদিন ভোট দিতে পারছে না। কিংবা কেউ কেউ ভাবতে পারে, দাদার যদি এতগুলো স্টিম পাওয়ার জমা থাকে তাহলে প্রতিদিন আমাদের সবাইকে কেন সাপোর্ট দিতে পারছে না প্রত্যেকটি পোস্টে কিংবা কারো কারো মনে এরকম ধারনাও আসতে পারে যে, আমাদের পোস্টে ভোটের পরিমাণ কেন 25 শতাংশ বা 30 শতাংশ বা 50 শতাংশ। ১০০% কেন নয়। দাদা সবাইকে ভোট দিয়ে দিলে অসুবিধা কোথায়? এরকম নানা প্রশ্ন যাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের এই প্রশ্নগুলোর সমাধান এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যা আজকে পেতে চলেছেন কারণ আজকের টপিক হচ্ছে ভোটিং পাওয়ার।
পর্ব ০৮: ভোটিং পাওয়ার বিস্তারিত হিসাব নিকাশ
ভোটিং পাওয়ার কিঃ
আমরা যারা স্টিমিটে কাজ করি তাদের ওয়ালেটে স্টিম পাওয়ার (SP) থাকে। যার যত বেশি পাওয়ার সে কাউকে ভোট দিলে ততো বেশি পরিমাণে রিওয়ার্ড পাবে। এটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলেই কাউকে বা একদিনে অনেককে ভোট দিতে পারবেন না। কারণ আপনি যখনই ভোট দিচ্ছেন তখন আপনার ভোটিং পাওয়ার কমে যাচ্ছে এবং এই ভোটিং পাওয়ার আগের অবস্থানে অর্থাৎ রিফিল হতে সময় দিতে হয়।
তার মানে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট যদি দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভোটিং পাওয়ারটি আগের অবস্থানে অক্ষুন্ন থাকবে। আর যদি আপনি ধারাবাহিকভাবে ভোট দিতে থাকেন তাহলে আপনার ভোটিং পাওয়ার কমতেই থাকবে। এমন করে একসময় হয়তোবা শূণ্য হয়ে যাবে আর তখন আপনি আর চাইলেও ভোট দিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে কারণ ভোটিং পাওয়ার মূলত সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। তাহলে ভোটিং পাওয়ার হ্রাস পাবে ভোট দিলে অর্থাৎ আপনি যখনই ভোট দিবেন তখনই আপনার ভোটিং পাওয়ার কিছুটা কমবে আর আপনি যখন অপেক্ষা করবেন অর্থাৎ সময় দিবেন (ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন) তখনই আপনার ভোটিং পাওয়ার আস্তে আস্তে রিফিল বা পূর্ণ হতে থাকবে।
এখন আমাদের জন্য এটা জানা জরুরী যে আমরা কতক্ষণ অপেক্ষা করলে আমাদের ভোটিং পাওয়ার কতটুকু রিফিল হবে এবং কত পার্সেন্ট ভোট দিলে আমাদের ভোটিং পাওয়ার কতটুকু কমে যাবে। আর যদি আমরা এই হিসাব নিকাশটা বুঝে ফেলতে পারি তাহলে আমরা ভোট দিয়ে কিউরেশন রিওয়ার্ড আয় করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমানে (অর্থাৎ সর্বোচ্চ) আয় করতে পারবো। জেনে বুঝে কাজ করলে মজাটাই হচ্ছে এরকম যে আপনি যখন কাজ করবেন তখন সেখান থেকে আপনি সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারবেন। তো চলুন হিসাব-নিকাশ গুলো একবার দেখে নেওয়া যাক।
ভোটিং পাওয়ার এর হিসাবঃ
ভোটিং পাওয়ার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সময়টি হচ্ছে ২৪ ঘন্টায় ২০ শতাংশ। অর্থাৎ আপনি যদি ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করেন তাহলে আপনার ভোটিং পাওয়ার ২০% বৃদ্ধি পাবে। তার মানে প্রতি ২.৪ ঘন্টায়(২ ঘন্টা ২৪ মিনিট) আপনার ১% ভোটিং পাওয়ার বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যদি কোন পোস্টে শতভাগ ভোট দিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার বর্তমান যা পাওয়ার আছে তার ২ শতাংশ হারে কমবে। যেমন ১০০ বর্তমান থাকলে ২% কমবে। আবার যদি আপনার ৫০% ভোটিং পাওয়ার থাকে তাহলে ১০০% ভোট দিলে (৫০ এর ২% ) = ১% কমে ৪৯% হয়ে যাবে ভোটিং পাওয়ার। আর এভাবেই চলতে থাকবে। অর্থাৎ বর্তমান ভোটিং পাওয়ার এর দুই শতাংশ হারে কমবে। যারা ভালো কিউরেটর রয়েছে তারা এই ২.৪ ঘন্টা সময় মেনটেন করে করে ভোট দিয়ে থাকে। কারণ তারা ভোটিং থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ কেউরেশন রিওয়ার্ড পেতে চায়। আপনার জন্য হয়তোবা এটা মেইনটেন করা খুব কঠিন হবে। কারণ রাতে ঘুমাতে হবে, দিনের বেলা বিভিন্ন সময়ে ব্যস্ত থাকতে হবে তাই প্রতি ২.৪ ঘণ্টা পরপর আপনার পক্ষে ভোট দেওয়া সম্ভব নয় আর আপনি অত বেশি পরিমাণ ইনভেস্টও এখানে করেননি। তাই আপনি একদিনের জন্য হিসাবটা মাথায় রাখতে পারেন।
একদিনের জন্য হিসাবটা নিম্নরূপঃ
২৪ ঘন্টায় যেহেতু আপনার ২০% ভোটিং পাওয়ার রিফিল হবে তার মানে প্রতিদিন আপনি আপনার ২০% শতাংশ ভোটিং পাওয়ার হারাতে পারেন যেটা পরবর্তী দিনেই আবার রিফিল হয়ে যাবে।
২০% ভোটিং পাওয়ার খরচ করার জন্য আপনাকে ১০ টি পোস্টে ১০০% করে করে ভোট দিতে হবে যদি ২.৪ ঘন্টা পরপর ভোট দেন। যদি ২.৪ ঘন্টা মেন্টেন করতে না পারেন তাহলেও আনুমানিক ৯-১১ টি পোস্টে সারাদিনে আপনি সর্বমোট ১০০০% পার্সেন্ট এর মত ভোট দিতে পারবেন। এখন যদি আপনি প্রতি পোস্টে ১০০% করে ভোট দেন তাহলে দিনে মাত্র ১০ টি পোস্টে ভোট দিতে পারবেন যদি আপনার ভোটিং পাওয়ার আপনি স্ট্যাবল শতভাগ এর কাছাকাছি রাখতে চান। আর যদি আপনি ৫০% করে ভোট দেন, তাহলে সারাদিনে ২০টি পোস্টে আর যদি আপনি ২৫% করে ভোট দেন তাহলে ৪০ টি পোস্টে ভোট দিতে পারবেন।
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে @rme দাদা কেন সবার পোস্টে শতভাগ করে একদিনে ভোট দিতে পারছেন না। এই হিসেবটা শুধুমাত্র বড় ইনভেস্টর যেমন দাদা-দের জন্য নয় বরং প্রত্যেকের জন্যই প্রযোজ্য। আপনার হয়তো পাওয়ার কম আছে কিন্তু সেই কম এর জন্য হিসাবটা একই রকম।
ভোটিং পাওয়ার সংক্রান্ত আরো কিছু হিসাবঃ
ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্সেন্টেজ(শতকরা) কমিয়ে দিলে যে রিওয়ার্ড আসে সেটি একেবারে সরল আনুপাতিক হিসাব। অর্থাৎ আপনি কোন পোস্টে শতভাগ ভোট দিলে রিওয়ার্ড ৩০ সেন্ট আসলে ৫০% ভোট দিলে ১৫ সেন্ট আসবে। এটি একেবারে সরল সমীকরন।
তাহলে আপনার ভোটিং পাওয়ার চলে যাচ্ছে ভোট দেওয়ার সাথে সাথে আর এটা অর্জন হচ্ছে যখন আপনি অপেক্ষা করছেন। আশা করি এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
আরেকভাবে আপনার ভোটিং পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে পারে আর এটি হবে তৎক্ষণাৎ পাওয়ার আপ এর মাধ্যমে। যেমন @rex-sumon ভাইয়ের ওয়ালেটে ৫০০০ স্টিম পাওয়ার আছে। মনে করুন এখন ভাইয়ের ভোটিং পাওয়ার হচ্ছে ৫০ শতাংশ। ভাই যদি এখন আরও ৫০০০ স্টিম পাওয়ার আপ করেন তাহলে সাথে সাথে ভোটিং পাওয়ার ১০০% হয়ে যাবে।
অর্থাৎ আপনার ওয়ালেটে যে পরিমাণ স্টিম পাওয়ার আছে সেটির আনুপাতিক হারে যতটুকু আপনি পাওয়ার আপ করবেন আপনার ভোটিং পাওয়ার আনুপাতিক হারে ঠিক ততটুকুই বৃদ্ধি পাবে এবং এটা হবে সাথে সাথেই। তাহলে ভোটিং পাওয়ার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরেকটি উপায় হচ্ছে পাওয়ার আপ করা।
এখানে অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন যে, সুমন ভাই ৫০০০ স্টিম পাওয়ার আপ করার পরও মাত্র ৫০% কেন ভোটিং পাওয়ার বৃদ্ধি পেল। আসলে যাদের ওয়ালেটে কম স্টিম পাওয়ার আছে তাদের ভোটিং ইনফ্লুয়েন্স কম তাই সবার ক্ষেত্রেই স্টিম পাওয়ার এর সাপেক্ষে সরল সমীকরনে বাড়বে। তার মানে বুঝা গেল ভোটিং পাওয়ার এর সাথে স্টিম পাওয়ার এর একটা সম্পর্ক রয়েছে।
ভোটিং পাওয়ার কমে গেলে কি অসুবিধাঃ
ধরুন আপনার এখন বর্তমানে ভোটিং পাওয়ার হচ্ছে ১০০%। আপনি যদি কোন পোস্টে ১০০% ভোট দেন তাহলে ১ ডলার পরিমাণ রিওয়ার্ড জেনারেট হয়। কিন্তু যদি আপনি ৫০% শতাংশ ভোট দেন তাহলে কিন্তু ৫০ সেণ্ট জেনারেট হবে যেটি আগেই পরিস্কার করেছি।
অন্যদিকে যদি আপনার ভোটিং পাওয়ার হয়ে থাকে ৫০%। তাহলে আপনি যদি ১০০% তেও ভোট দেন তাহলেও রিওয়ার্ড হবে ৫০ সেন্ট। আর যদি ৫০% ভোট দিয়ে থাকেন তাহলে রিওয়ার্ড হবে ২৫ সেন্ট। তাহলে এখন আপনি বুঝতেই পারছেন যে, আপনার ভোটিং পাওয়ার যত কমে যাবে সেই অনুপাতে আপনার ভোট দেওয়ার ভ্যালুটাও কমে যাবে। তাই আপনার ভোটিং পাওয়ারটা-কে শতভাগ এর আশেপাশে রাখতে পারাটাই সবচেয়ে ভালো কারণ আপনি ভোট দিয়ে বেশি পরিমাণ রিওয়ার্ড অর্জন করতে পারবেন।
আপনি কিভাবে সর্বোচ্চ লাভ করতে পারবেনঃ
ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে লস করা কিংবা লাভ করা নির্ভর করছে আপনি হিসাবটা ঠিকঠাক বুঝেছেন কিনা। আপনি যদি কোনো কারণে একদিনে বেশি ভোট দিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার ভোটিং পাওয়ার অনেক কমে যাবে যেটা পরবর্তী একদিনে সম্পূর্ণ রিফিল হবে না। তাই আপনি ভোট দিয়ে কম রিওয়ার্ড পাবেন।
যেমনটি উপরের উদাহরণে দেখতে পেলেন।
অন্যদিকে সারাদিনে আপনি যদি বেশি পরিমাণ ভোট না দিয়ে অল্প ভোট দেন তাহলে আপনার ভোটিং পাওয়ার আগেভাগেই শতভাগ হয়ে যাবে এবং বাকি সময়টা নষ্ট হবে। অর্থাৎ আপনার স্টিম পাওয়ার এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবেন না। যেমন ধরুন আপনি কোন একদিনে মাত্র ৫ টি পোস্টে ১০০% করে ভোট দিলেন তাহলে আপনার ভোটিং পাওয়ার কিন্তু ১২ ঘণ্টায় রিফিল হয়ে যাবে। বাকী সময়টা আপনার স্টিম পাওয়ার এর আপচয় হবে যেহেতু ১০০% এর বেশি ভোটিং পাওয়ার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে সবার উচিত নিজেদের ভোটিং পাওয়ার এর ক্ষেত্রে এক দিনের হিসাবটা খেয়াল রাখা ও অন্তত ১০০০% ভোট প্রতিদিন দেয়া। তাহলেই স্টিম পাওয়ার এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা এখানে যারা এই পোস্ট করছি তাদের জন্য ২.৪ ঘন্টার সেই হিসাবটি সব সময় মেনটেন করা সম্ভব হবে না তাই তাদের জন্য ২৪ ঘণ্টার হিসাবটা মেনটেন করাটা সহজ ও বুদ্ধিমানের হবে।
কোথায় ও কিভাবে ভোটিং পাওয়ার দেখবেনঃ
অনেক ওয়েবসাইটে আপনি এই তথ্য দেখতে পারেন। আমি ৪টি শেয়ার করছেই এখানে।
- ১।স্টিম-ডিঃ
নিচের ঠিকানায় প্রবেশ করে আপনার ইউজারনেম দিলেই দেখতে পারেন আপনার বর্তমান ভোটিং পাওয়ার। ২.৪ ঘন্টা পর গিয়ে একবার দেখে নিয়েন তাহলে বুঝতে পারবেন বাড়ছে কিনা।
https://steemd.com/
এছাড়াও আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ন ঠিকানা দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি খুব সহজে ও বিস্তারিতভাবে আপনার ভোটিং পাওয়ার এর তথ্য দেখতে পারবেন।
- ২। স্টীম নাওঃ
https://steemnow.com/@engrsayful
- ৩ স্টীম ওয়ার্ল্ডঃ
https://steemworld.org/@engrsayful
- ৪ স্টিম-ইইঃ
https://steemyy.com/
উপরের ঠিকানায় গিয়ে ইউজারনেম দিয়ে Tools=> Account Information । এখানে ভোটিং ম্যানা (mana) বলা হয় পাওয়ারকে
শেষকথাঃ
পরিশেষে সবাইকে আহবান জানাবো, আপনি ভোটিং পাওয়ার সম্বন্ধে ধারণা অর্জন করে তারপরে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করুন যাতে করে আপনাকে লস করতে না হয় এবং এই প্লাটফর্মে যেহেতু আপনি দীর্ঘদিন কাজ করবেন তাই এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আপনার জন্য জানা জরুরী। তাই অবশ্যই জেনে বুঝে কাজ করুন তাহলে ভালো কাজ করতে পারবেন।
লিখাটি পড়ে যদি নতুন কিছু শিখে থাকেন তাহলে কমেন্টে জানাবেন। এই লিখা থেকে যদি একজনও উপকৃত হতে পারেন তাহলে এই লিখা ও লেখক সার্থক। শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের লিখাগুলোর লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। ভাল লাগলে সেগুলোও চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ।
শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের পোস্টের তালিকাঃ
এই পোস্টের লিখা কোথাও থেকে কপি করা হয়নি। কোন তথ্য বা ছবি অন্য কোন উৎস হতে নিয়ে থাকলে সোর্স দেয়া হয়েছে
আমি কেঃ
ভোট দিন, মতামত থাকতে মন্তব্য করুন, পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন এবং আমাকে ফলো করুন @engrsayful
অন্যান্য মিডিয়াতে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেনঃ
Youtube | ThreeSpeak | DTube |
খুবই সুন্দর একটা শিক্ষামুলক পোষ্ট লিখেছেন ভাই। অনেক সময় নিয়ে লিখেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
তবে একটা বিষয় একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে, আরেকটু চেক করে দেখেন।
১০০% ভোটিং পাওয়ার এ ভোট দিলে ২% পাওয়ার কমে, ১% না। ১০০% করে ভোট দিলে দিনে ১০ জনকে ভোট দিলে টোটাল ২০% কমবে।
আমি আরেকবার রিচেক করে দেখছি। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে এই মোতাবেক পুরো পোস্ট এডিট করে দিব। আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন। এখানে একটু ভুল হয়ে গেছে এবং আমি এটা আমি কারেকশন করে দিচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আসলে আগের যে জ্ঞান আছে সেটা থেকে লিখে ফেলেছিলাম। তাই সঠিক সংখ্যাটি মনে ছিল না। একবার দেখে নিলে এই ভুলটা আর হতো না। আবারো ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
ওঁকে ভাই। নো প্রব্লেম।
ভোটিং পাওয়ার নিয়ে এতো বিস্তারিত তথ্য, আগে কোথাও দেখি নাই, আপনার ব্লগটি অনেক তথ্যবহুল এবং সবাইকে বেশ ভালো আইডিয়া দিতে সক্ষম।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল কারণ আপনি পুরাতন হওয়ার পরও আমার পোস্টগুলো নিয়মিত পড়ে যাচ্ছেন যদিও আমি এগুলো নতুনদের কে উদ্দেশ্য করে লিখছি। ভালো থাকবেন
ভোটিং পাওয়ার নিয়ে এত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন যা আমার কাছে সত্যিই অবাক লেগেছে। আমিও নতুন কিছু সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপনি অনেক কষ্ট করে অনেক সময় নিয়ে আমাদের জন্য এসব পোস্ট তৈরি করেন যা আমাদের জ্ঞান অর্জনের জন্য অনেকটা সুবিধা হয়। অনেক নতুন ইউজার আছে যারা এই সম্পর্কে একদমই জানেন না তারা খুব সহজেই আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই সবকিছু জানতে পারবে।। আমি যখন প্রথম এই প্লাটফর্মে যোগদান করি তখন এভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার মত কেউ ছিল না বা কোন পোস্ট পাইনি আমি। আপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং যারা নতুন ইউজার আছে তাদের জন্য সত্যিই অনেক সৌভাগ্যের বিষয়।।
খুব খুশি হয়েছি আপনি পুরাতন ব্যবহারকারী হওয়ার পরেও আমার পোষ্টটি খুব ভালোভাবে পড়েছেন। আসলে এখানে সফল হওয়ার অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে একজনের পোস্ট আরেকজন বেশি বেশি পড়া এবং সেই মোতাবেক কমেন্ট করা। সেজন্য আমি একটি পোস্ট করেছিলাম তারপরও দেখি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমেন্ট স্পামিং করে যাচ্ছে। শুরু থেকেই আপনার পোস্টগুলো আমার ভালো লাগে এবং আপনি বিস্তারিত হবে পোস্ট বর্ণনা করেন এবং পাশাপাশি কমেন্টে অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বড় কমেন্ট করেন। ধন্যবাদ আপনাকে এবং আপনার পথ চলা শুভ হোক আর যেহেতু আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার আমার জাতি সেহেতো আপনার জন্য আরও অনেক বেশী শুভকামনা ভাই
আমি ভাই আপনার কথার সাথে একমত কারণ আপনি যখন অন্যের পোস্টগুলো পড়বেন তখন আপনি সেখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন, সেগুলো কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিভাবে লেখা হয়েছে সেই লেখা গুলো কোন কোন কাজে আমরা ব্যবহার করতে পারি সবকিছুর মিলিয়ে নিজের স্কিল ডেভলপমেন্ট করতে অনেকটাই সাহায্য করে।
আপনার ওই পোস্টটি পড়ে ছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনার ওই পোস্টে কিছু কিছু কমেন্ট স্পামিং কমেন্ট হয়েছে যা সত্যি হাস্যকর একটি বিষয়।
আপনি বরাবরেই অনেক ভালো মানের পোস্ট করেন এবং আপনার প্রত্যেকটি প্রত্যেকেই কিছু না কিছু শিক্ষনীয় বিষয় থাকে। আপনার এই পোস্টে ভোটিং সম্পর্কে আমি অনেক কিছু জানতাম না একদম সত্যি কথা, আমি নতুন অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এখান থেকে, এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
আমি শুনে অনেক আনন্দিত হলাম, আপনি আমার পোস্ট পড়েন এবং সেখানে কমেন্ট করেন। এটি আমার জন্য সত্যি সৌভাগ্যের বিষয়, সর্বোপরি আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো আমার জন্য সব সময় দোয়া করবেন। আমি যেন এই প্লাটফর্ম থেকে ভালো কিছু করতে পারি।
আসলে ভাই আমি খুব বেশি সময় দিতে পারি না তবে যখন আপনার পোস্ট সামনে আসে তখন অবশ্যই পড়ার চেষ্টা করি এবং এই পর্যন্ত যতগুলো পড়েছি আমার মনে আছে আপনি খুব ভালো ভালো পোস্ট করেন। আমার কাছেও হাস্যকর লেগেছিল যে আমি কমেন্টস স্প্যামিং বুঝাতে চেয়েছিলাম সেই পোষ্টের কমেন্টে কিছু স্প্যাম কমেন্ট করেছে। তবে একটা মজার বিষয় লক্ষণীয় ছিল ওই পোস্টের কমেন্টগুলো অনেক গুলো খুব বড় বড় ছিল কারণ সবাই বিষয়টা তখন সাথে সাথে অনুধাবন করতে পেরেছিল।
ওই পোস্টটাতে আর হাফিজ ভাইয়ের হ্যাঙ্গআউট এর রিপোর্ট পোষ্টের কমেন্ট গুলা খুব বড় বড়। আর বাকি পোষ্টের কমেন্ট সব ছোট ছোট। কিছু একটা বোঝা যায় এই ধরনের কমেন্ট এর অবস্থা দেখে।
জি ভাই ঠিক বলেছেন।। সবাই ভালো ভাবে কাজ করলে পরিবেশ টা অনেক ভালো থাকতো।
ভোটিং পাওয়ার সম্পর্কে আগে কিছুটা ধারণা ছিল। কিন্তু আজ আপনার এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছি।সত্যি বুঝতে পারলাম যে আমি সারাদিনে কত জনকে কত শতাংশ ভোট দিলে দিনশেষে আমার ভোটের পর আবার 100 শতাংশ হবে। আপনার প্রতিটা টিউটোরিয়াল খুব সুন্দর হয় ভাই আশা করছি এরকম আরো অনেক অজানা বিষয়ে টিউটোরিয়াল আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্টে ছোটখাটো একটি ভুল ছিল যেটি কারেকশন করে দিয়েছি। বর্তমান যে হিসাব কি আছে সেটি সঠিক এবং এটি আপনি মাথায় রাখতে পারেন
ধন্যবাদ ভাই।
আমি নতুন হওয়ায় ভোটিং পাওয়ার সম্পর্কে আমার ধারণা ছিলো শূন্য। কিন্তু আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমি ভোটিং পাওয়ার সম্পর্কে ধারণা মোটামুটি পরিস্কার হয়ে গেল।ধন্যবাদ এই ধরনের শিক্ষামূলক পোস্ট করে নতুনদের জানার সুযোগ দেওয়ার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ এবং আপনি নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগছে। পোস্টে সামান্য ভুল ছিল যেটা আমি এডিট করে দিয়েছি। এখন সঠিক হিসাব টা দেখে নিতে পারেন
অনেক সুন্দর একটি সিরিজ আপনি চালিয়ে যাচ্ছেন ভাই। দু-য়েকটা বাদে সবগুলোই আমি পড়েছি ভাই। আসলেই একজন নতুন আগত যদি এসব মন দিয়ে পড়ে একদিনেই সে বেস্ট স্টিমিয়ান হয়ে যাবে।
আমি চেষ্টা করি বিস্তারিতভাবে এবং সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে যাতে করে নতুনরা খুব সহজেই এই বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে পারে আর এছাড়া কমেন্ট বক্স তো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে। যে কেউ কিছু না বুঝলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারে। আসলে নতুনরা উপকৃত হলেই এই পোষ্ট লিখার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
জ্বি ভাই। আপনার স্বার্থকতাতেই আমাদের ও স্বার্থকতা।
ভালোবাসা অবিরাম❤
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন একটি স্টিম পাওয়ার আপ এর গঠনমূলক পোষ্টের খুবই দরকার ছিল আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এটি পাওয়ার আপ বিষয়ে না বরং ভোটিং পাওয়ার বিষয়ে ছিল
ভাই বুঝতে পেরেছি।পাওয়ার আপ না করলে ভোটিং পাওয়ার কোথা থেকে আসবে। পাওয়ার আপের গুরুত্ব। ধন্যবাদ ভাই।
আপনি বুঝতে পেরেছেন এটাই অনেক বড় বিষয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
আমি নিয়মগুলো সম্পূর্ণ জানতাম তবে মাঝে মাঝে অনেককিছু নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভুগী। আজকে সব সমস্যা এক্কেবারেই দূর হয়ে গেলো।আসলেই সুন্দর হয়েছে পোস্টটি।
আপনার অস্বচ্ছ ধারণাগুলোকে স্বচ্ছ করতে পেরেছি এটা জেনে ভালো লাগলো।
আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। হয়তো এর আগে এই বিষয়গুলো আমাদের মনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। আজ আপনার পোস্টটি পড়ে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি শিক্ষামুলক পোস্ট করার জন্য।
আপনি উপকৃত হতে পেরেছেন এবং আপনার পূর্বের ধারণাকে এখানে স্পষ্ট করতে পেরেছেন এটাই হচ্ছে এ পোস্ট এর সার্থকতা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য এবং আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
নতুন আরেকটি বিষয় জানতে পেরেছি ভাইয়া।তবে সুমন ভাইয়ের ভোটিং পাওয়ারের ম্যাথ এর মতো হিসাবটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।এতো স্টিম থাকার পরে ১০০% ভোট দিতে পারেনা।তবে ভোটিং পাওয়ার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি ভাইয়া।ধন্যবাদ
হান্ডেট পার্সেন্ট ভোট যে কেউ দিতে পারে তার অ্যাকাউন্টে যত পাওয়ার থাকুক না কেন। এটা আসলে সময়ের সাথে বেশি নির্ভরশীল। ধন্যবাদ
জি ভাইয়া বুঝতে পেরেছি।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ