গল্প: ডঃ কিম্ভুত কিমার।( শয়তানের পূজারী) || Story: Dr. Kimbhut Kimar. (Devil Worshiper) Part 5
শয়তানের পূজারী (পর্ব: ৫) |
---|
কিম্ভূতকিমাকার রাত দিন পরিশ্রম করে চলেছে শুধুমাত্র এমন কঠিন এবং অদ্ভুত রোগ আবিষ্কার করার জন্য যার দরুন মানুষ জন্তু জানোয়ারে পরিণত হবে এবং ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে। সে তার পুরো জীবনের সমস্ত গবেষণা এবং সাধনা কাজে লাগিয়ে একদমই তার উদ্দেশ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। প্রথমে সে তার নিজের উপর পরীক্ষা করতে চায় কারন আর কোন উপায় হাতে নেই। তবে এই মারাত্মক পরীক্ষা করার আগে তাকে এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে হবে, একটু মাথা খাটিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে ঠিক কিমার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে। এখন দেখার বিষয় রোগটা কিভাবে এবং কতটুকু যন্ত্রণা দিতে পারে, তাছাড়াও প্রতিষেধক কতটুকু ভালোভাবে কাজ করে সেটাও বোঝার ব্যাপার রয়েছে।
পরদিন সকালে প্রথমেই কিম্ভূতকিমাকার তার শয়তান দেবতার পূজা করে নিল এবং তার চমৎকারি শিঙ্গায় ফু দিয়ে পরিবেশটা মোহনীয় করে তুলেছে। এবার তার পরীক্ষা শুরু ধীরে ধীরে ছোট্ট সূচ এবং বাঁশের তৈরি সিরিন্জ দিয়ে তার শরীরে জীবাণু ঢুকিয়ে দেয় সে নিজেই। ধীরে ধীরে তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসতে থাকে এবং প্রচন্ড পানি পিপাসা পেতে থাকে, সেইসাথে ঘামে পুরো শরীর ভিজে যেতে শুরু করে। এরপর সে হঠাৎ করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
কতক্ষন ঘুমিয়ে আছে সে বলতেই পারবেনা, তার শরীর প্রচন্ড ভারি ভারি লাগছিলো। হঠাৎ সে লাফ দিয়ে উঠে বসে যায়, অদ্ভুতভাবে সে খেয়াল করলো তার একটা লেজ গজিয়েছে। আর মুখটা অনেকটাই বানরের মতো হয়ে গেছে। দৌড়ে ঘর থেকে বের হবে মনে হচ্ছে আগের মতো হাঁটতে পারছে না। কেমন যেন লাফিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে। যাইহোক সে লাফিয়ে লাফিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না, সে একটা বানর হয়ে গেছে।
যাইহোক তার এই বানর হয়ে যাওয়াতে সে ভীষণ খুশি, কিন্তু সপ্তাহ খানেক এভাবে থাকলে সে কখনোই মানুষ হতে পারবেনা। তাছাড়াও সে সপ্তম দিনের পর মারা যাবে। সে নাছোড়বান্দা লোক এবং সে এর ভয়াবহতা কতটা পরীক্ষা না করে প্রতিষেধক নেবে না। দুদিন গাছের ডালে আর ঘরে বেড়াতে ভালোই লাগছিলো কিন্তু তৃতীয় দিন শরীর ধীরে খারাপ হতে থাকে। বিশেষ করে প্রচন্ড পানি পিপাসা এবং লালা পরতে শুরু করে। সেইসাথে খাবারের প্রতি অরুচি শুরু হয়ে যায়। চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে সে এক্কেবারেই বিছানায় শুয়ে গেছে এবং হাত পা ক্রমশ অবশ হতে থাকে। কিমার চোখের দৃষ্টি হারাতে থাকে এবং মৃত্যুর অন্ধকার চারিদিক থেকে ধেয়ে আসতে থাকে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ডঃ কিম্ভুত কিমারের পঞ্চম পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। কিম্ভূতকিমাকার রাত দিন পরিশ্রম করে ওষুধ তৈরি করেছে এবং সেবন করে বানরে রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু তার জন্য কঠিন পরীক্ষা হতে চলছে, সময় মতো প্রতিষেধক তৈরি না করে খেলে হয়তো তার অবস্থা কঠিনও হতে পারে। ডঃ কিম্ভুত কিমারের মৃত্যু অতি নিকটে।