গল্প: ডঃ কিম্ভুত কিমার।( শয়তানের পূজারী) || Story: Dr. Kimbhut Kimar. (Devil Worshiper) Part 4
শয়তানের পূজারী (পর্ব: ৪) |
---|
ধর্মগুরু রম্বোলার মৃত্যুর পর পুরো কাসফ্লান শহরে কেমন যেন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সত্যি বলতে এই রম্বোলা বিভিন্ন ভেষজ উপাদান হিসেবে আজোয়া শরবত তৈরি করে পুরো শহরের মানুষের মাঝে বিতরণ করতেন, আর এই শরবত সৃষ্টিকর্তার বরদান পানীয় হিসেবে সবাই গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে উঠতো বিভিন্ন রোগে। সেই ধর্মগুরু আজ নেই, সবাই মিলে উনোসা নামক আরেকজন গুরুকে সমস্ত দায়িত্ব দেন। কিন্তু দূরভাগ্য একটাই সেই আজোয়া পানীয়র উপাদান একমাত্র রম্বোলা জানতেন। তবুও সবাই অনেক আশা নিয়ে উনোসাকে ধর্মগুরুর আসনে বসিয়ে দেয়।
যাইহোক কিমার গোপনে গোপনে সব খবর রাখছে এবং পুরো শহরের মানুষকে ধ্বংস করার গোপন খেলায় মেতেছে। কিম্ভূতকিমাকার এমন একটা জীবাণু ছড়াতে চায় যা একেবারে পুরো শহরে ছড়িয়ে যাবে এবং যা প্রাণঘাতী হবে। কিমার বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন প্রানী নিয়ে গবেষণা করে চলেছে কিন্তু এমন মরণ কামড় দেয়ার মতো কোন কিছু পেলো না। এরপর সে চিন্তা করলো আচ্ছা আমি যদি মানুষকেই অদ্ভুত জন্তু জানোয়ারে পরিণত করতে পারি, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে। কিমার হাতে তুড়ি মেরে লাফ দিয়ে ওঠে। এটাই হবে এদের চরম শাস্তি কারন এরা তার মাকে পশুর মতো আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করেছে।
এবার গবেষণায় লেগে গেছে কিমার, নাওয়া খাওয়া সব বাদ দিয়ে শুধু সেই জটিল কাজে মনোযোগ দিয়ে চলছে। কিন্তু কিছুতেই সফল হচ্ছে না। একদিন রাতে ঘুমের মধ্যে কিমার তার শয়তান দেবতার সাক্ষাৎ পায়, আর সেই শয়তান দেবতা তাকে বেশ কিছু পূজা করতে বলে। আর একটা অদ্ভুত সিঙ্গা উপহার দেয়। কিমার লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে সত্যিই একটা সিঙ্গা তার মাথার পাশে পরে রয়েছে। এবার ঘুম থেকে উঠে সেই শয়তান দেবতার পূজা আর্চনার কাজ শুরু করে দেয়।
যতটাই সে পূজায় মনোনিবেশ করছে তার মাথার ব্রেন ততটাই খুলছে, মানে সে জৈব রাসায়নিক জীবাণু তৈরি করার দ্বার প্রান্তে পৌঁছাতে থাকে। প্রায় ছয়মাস পর তার গবেষণা শেষের পথে, এবার তার তৈরি জৈব অস্ত্র পরীক্ষার পালা। কিন্তু কার উপর প্রয়োগ করবে এই গবেষণা? অবশেষে সে সিদ্ধান্ত নেয় প্রথমে নিজের উপর গবেষণা করবে সে। কিন্তু তার আগে তাকে শতভাগ কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করতে হবে।।।।।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।