গল্প: ডঃ কিম্ভুত কিমার।( শয়তানের পূজারী) || Story: Dr. Kimbhut Kimar. (Devil Worshiper) Part 3
শয়তানের পূজারী (পর্ব: ৩) |
---|
কিমার জঙ্গলে একা বসবাস শুরু করে, তার প্রধান খাবার ছিল গাছের ফল ফলাদি। আর মাঝে মাঝে অদ্ভুত সব যন্ত্রপাতি তৈরি করে পশু পাখি শিকার করতো, সেটাই আগুনে ঝলসে খেতো। দিন দিন সে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পদার্থ ঘাঁটাঘাঁটি করেই চলেছে, তাছাড়াও অদ্ভুতভাবে বিভিন্ন শয়তানি তন্ত্র মন্ত্র শিখতে শুরু করেছে। পাথরের তৈরি অদ্ভুত এবং কদাকার দেখতে একটা মূর্তি তৈরি করে সেটাকেই সে পূজা করতে শুরু করে। দিনকে দিন সে জৈব বিদ্যা এবং তন্ত্র বিদ্যা দুটোতেই মহারথ হাসিল করতে থাকে।এক কথায় বলতে গেলে এই দুটোর সমান্বয়ে সে তন্ত্র জৈব বিদ্যায় ভীষণ দক্ষ হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন প্রাণীদের উপর তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে দেয়।
সবথেকে বড় ব্যাপার সে যে বিষয় নিয়েই কাজ করে তা শতভাগ সফল হতে শুরু করে, তাই দিন দিন সে বেশি বেশি শয়তানের পূজা শুরু করে দেয়। যাইহোক এভাবেই ধীরে ধীরে কিম্ভূতকিমাকার বড় হতে থাকে। সে প্রথমেই টার্গেট নেয় সেই মানুষটিকে হত্যা করার, যে ধর্মগুরু তাদের মা ছেলেকে আগুনে পুড়িয়ে মারার কথা বলেছিল। লোকটার নাম রম্বোলা, যার এখন বেশ বয়স হয়েছে। রম্বোলার একটি পোষা বিড়াল ছিল, যাকে সকাল বিকাল খাবার খাওয়াতো এবং ভীষণ আদর করতো। কিম্ভূতকিমাকার অন্য একটি পোষা বিড়াল দিয়ে সেই বিড়ালে মারাত্মক ভাইরাস ধরিয়ে দেয়, যা মারাত্বক ছোঁয়াচে।
পরদিন সকালে যখন ধর্মগুরু তার পোশা প্রানীকে খাবার দিচ্ছিল হঠাৎ করেই সে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পরে। সেদিন সমস্ত রাত কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং পরদিন সকাল থেকে রক্ত বোমি শুরু হয়ে যায়। তাছাড়াও ডাইরিয়া এবং মাথাব্যথা শুরু হয়, ধীরে ধীরে ধর্মগুরু রম্বোলার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। মোটামুটি তিনদিন পর রম্বোলা খাবার খাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং চতুর্থ দিন দুপুরে মারা যায়। শুধু সে নয় হঠাৎ করেই আশেপাশে প্রায় পনেরো জন মানুষ জীবন ত্যাগ ঠিক একইভাবে। আতঙ্কিত মানুষেরা সবাইকে বেশ সতর্কতার সাথে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তাদের লাশ ভস্মিভূত করে দেয়।
কিম্ভূতকিমাকার কিমার এই প্রথম তার জৈব অস্ত্র কোন মানুষকে ঘায়েল করতে পেরেছে। ভেতরে ভেতরে সে অত্যন্ত আনন্দিত হয় এবং পরবর্তী পরিকল্পনা সাজাতে থাকে। এবার ধীরে ধীরে পুরো শহরের মানুষের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করতে থাকে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
কিম্ভূতকিমাকার বেশ পরিকল্পনা করে এগুচ্ছে। তবে দেখছি বেশ শয়তানি বুদ্ধি। এধরনের ভিন্ন রকম গল্প গুলো পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। সামনের পর্বে না জানি নতুন কি ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে। নতুন পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ডঃ কিম্ভুত কিমার শয়তানের পূজারী তৃতীয় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এই ধরনের গল্পগুলো যত পড়ি ততোই ভালো লাগে। কিম্ভূতকিমাকার অনেক বুদ্ধিমান তাই অন্য একটি পোষা বিড়াল দিয়ে সেই মারাত্বক ছোঁয়াচে রোগ বিড়ালের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেখা যাক আগামী পর্বগুলোতে জৈব অস্ত্র দিয়ে কি কি পরিকল্পনা সাজায়।