গল্প: ডঃ কিম্ভুত কিমার।( শয়তানের পূজারী) || Story: Dr. Kimbhut Kimar. (Devil Worshiper) Part 2
শয়তানের পূজারী (পর্ব: ২) |
---|
কাসফ্লান শহরে নতুন রোগ এসেছে, ধীরে ধীরে অদ্ভুতভাবে মানুষজন জন্তু জানোয়ারে পরিণত হচ্ছে। চারিদিকে হাহাকার তৈরি হয়েছে, শান্ত শহরটা হঠাৎ অশান্ত হয়ে উঠেছে। মানুষজন পাগলের মতো চারিদিকে ছুটতে ছুটতে পালিয়ে যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু মানুষ শহরে থেকে যাচ্ছে একমাত্র তার পরিবারের কেউ যদি প্রাণী হয়ে থাকে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টায়। চল্লিশ হাজার মানুষের শহর হঠাৎ করেই পাঁচ হাজার মানুষের আবাসে পরিণত হয়েছে। কারন একমাত্র এই অদ্ভুত রোগ, আর এই রোগ সুন্দর শহরটায় সুনসান নীরবতা এনে দিয়েছে।
রোগটা মারাত্মক ছোঁয়াচে এবং ধীরে ধীরে সবাই জন্তু জানোয়ারে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এতোক্ষণ যা নিয়ে কথা তা শুধুমাত্র একটি রোগ নয় এটা একজন মানুষের খারাপ প্রবৃদ্ধি দ্বারা সৃষ্ট। বিস্তারিত বর্ননা করতে চলুন ঘটনার পেছনের ঘটনা জেনে আসি। কিম্ভুত কিমারের জন্ম এই কাসফ্লান শহরে, জন্মের সময় তার মা এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে কিমারের জন্ম দেয়। কিন্তু মায়ের রোগের খেসারত দিতে হয় এই ছোট্ট শিশুকে, সে জন্মলাভ করে অদ্ভুত এবং কদাকার দেহ নিয়ে। পুরো শহরের মানুষ তার নাম দেয় কিম্ভূতকিমাকার। যতটা সময় গড়িয়ে যাচ্ছে কিমার বড় হচ্ছে এবং বিচক্ষণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু কিমার আরো কদাকার দেখতে হচ্ছে। একটা সময় হঠাৎ গাম্ভিস বসন্ত নামে এক অদ্ভুত রোগ দেখা দেয়। শহরের মানুষ আবারো অশান্ত এবং অস্থির হতে থাকে, এরপর সবাই মিলে ধর্মপূজারি রম্বোলার কাছে যায়। রোগটা এমন পুরো শরীরে বড় বড় গোটা হতে থাকে। রম্বোলা পূজা আর্চনার পর সবাইকে জানায় এই রোগ কিম্ভূতকিমাকার থেকে সৃষ্টি হয়েছে তাই তাকে সহ তার পুরো পরিবারকে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে হবে।
আতঙ্কিত মানুষেরা কিম্ভূতকিমাকার কিমারের বাড়ি ঘেরাও করে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিম্ভূতকিমাকারের মা অনেক কষ্টে কিমারকে বাঁচাতে সক্ষম হয় কিন্তু সে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এই ঘটনায় কিম্ভূতকিমাকার ভীষণভাবে মানসিক আঘাত পায় এবং এই শহরের মানুষকে চরম শিক্ষা দেয়ার শপথ নেয়। কিম্ভূতকিমাকার দূরে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়, যখন সে একা জঙ্গলে ছুটতে থাকে। ছুটতে ছুটতে একটি অদ্ভুত গুহার মধ্যে ঢুকে যায়।
চারিদিকে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক জিনিস ছড়িয়ে রয়েছে, আর দেয়ালে অদ্ভুত সব আঁকিবুঁকি রয়েছে। কিম্ভূতকিমাকার ধীরে ধীরে শয়তানের পূজারী হয়ে উঠে এবং জৈব রাসায়নিক জ্ঞান অর্জন করে। সে প্রতিজ্ঞা করে কাসফ্লান শহর এবং তার মানুষজনকে ধ্বংস করে দেবে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনার গল্পটা বেশ ভয়ানক মনে হচ্ছে। সত্যি কিম্ভূতকিমাকার তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াতে অনেক কষ্ট পেয়েছে। তারজন্য হয়তো সে প্রতিজ্ঞা নিয়েছে কাসফ্লান শহরকে ধ্বংস করে দেবে।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
কিম্ভুত কিমার শয়তানের পূজারী দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং ভয় পেলাম। মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগের কারণে শহর ছেড়ে সবাই পলায়ন করছে। তার জন্য চল্লিশ হাজার মানুষের শহর হঠাৎ করেই পাঁচ হাজার মানুষে পরিণত হয়। দেখা যাক কিম্ভূতকিমাকার এর প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ হয় কিনা। অপেক্ষায় রইলাম দ্বিতীয় পর্বের আশায়।